অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক বলেছেন, যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেলের যাতায়াতের সময় ১০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৮ মিনিটে নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে তা কার্যকর হবে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে ‘সিগন্যাল সিস্টেমে’ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সকালে ট্রেন চলাচল শুরুর পর চারটি ট্রিপ শেষে এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ সমস্যার কারণে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়নি, যাত্রা বিলম্ব হয়।
এম এন ছিদ্দিক বলেন, আর কিছুদিন পরেই রমজান শুরু হবে। তখন আমরা কিছু কর্মসূচি দেব। কারণ তখন অফিস টাইম চেঞ্জ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন ১৫২ বার ট্রেন যাতায়াত করছে। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় আমরা আরো ২৬ বার যাতায়াত বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। যে সময়টায় পিক আওয়ার হয়, তখন হেডওয়ের সময়টা ১০ মিনিট থেকে ৮ মিনিটে নিয়ে এসেছি, যা আগামী শনিবার থেকে কার্যকর হবে।
বর্তমানে মেট্রোরেলে গড়ে ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী চলাচল করছে জানিয়ে জনাব সিদ্দিক বলেন, সবার ভেতরে একটা কনফিউশন থাকে যে, কোন ট্রেন কখন উত্তরা বা মতিঝিল থেকে ছাড়ে? আমরা এ ব্যাপারটা পৃথক করে দিয়েছি। উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে যে ট্রেন যাওয়া আসা করে, সেখানে আগে ১০ মিনিট পরপর ২টি ট্রেন যাতায়াত করত। এখন তিনটি ট্রেন যাতায়াত করবে। আর মতিঝিল থেকে উত্তরার দিকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা পর্যন্ত ১০ মিনিট পরপর ট্রেন পাওয়া যাবে। এটা স্পেশাল অফ পিক। তারপর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে কয়লাভর্তি একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নদের ভাটপাড়া খেয়াঘাটে এমভি পূর্বাঞ্চল-৭ নামের জাহাজটির তলা ফেটে পানি প্রবেশ করে। জাহাজে ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল।
জাহাজটির মাস্টার মো. এনায়েত জানান, ৬ জানুয়ারি মংলা থেকে ৭০০ টন কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। পরদিন সন্ধ্যায় জাহাজটি নওয়াপাড়া বন্দরে পৌঁছালেও সিরিয়াল পায়নি। ফলে সেটি সরিয়ে ভাটপাড়া খেয়াঘাটের অদূরে নোঙ্গর করে রাখা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টারদিকে জাহাজটি ডুবতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা কয়লা খালাসের চেষ্টা চালিয়েছি।
নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ জানান, লাইটার জাহাজটিতে জেএইচএম গ্রুপের আমদানিকৃত কয়লা ছিল। ঘাটে সিরিয়াল না পাওয়ায় সেটি নদের ভেতর নোঙ্গর করে রাখা হয়েছিল। আমরা দুপুরে সেটি ডুবতে শুরু করার খবর পাই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাহাজের কয়লা আনলোড করে জাহাজটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। স্বাভাবিক আছে নৌ চলাচল। তবে কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।
জেএইচএম’র নওয়াপাড়া অফিসের কর্মকর্তা জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরির প্রক্রিয়া চলছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের কয়লা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম বলেন, ভৈরব নদের ভাটপাড়া খেয়াঘাটে একটি জাহাজটির তলা ফেটে পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সরকারি চাকরিসহ ৪ দফা দাবিতে ফের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা। এসময় আইএরএসটি প্রধানের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষাক্ষর্থীরা। লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুমকী দেন বিক্ষুব্ধরা।
আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে আইএলএসটি ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক স্টুডেন্ট ফেডারেশন নাসিরনগর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেশকিছুধিন ধরে ক্লাশ বর্জন করে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে আসছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি মেনে না নিলে সারা দেশে আইএলএসটির পুরো কার্যক্রম বন্ধ করে দিবেন বলে জানা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বক্তব্য বিডিএলএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়াতুল্লাহ খান শিহাব, নাসিরনগর শাখার সভাপতি আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ নিশাত ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল হক আরফান ও ফারাহ সাদিয়া পুতুল।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক (আইএলএসটি) অধিদপ্তরের ২০২০সালে গঠিত অর্গানোগ্রামে দু’হাজারের উপরে নতুন পদ সৃস্টি করা হয়েছে। যা ডিপ্লোমাধারীদের জন্য মুখ্য পদ। কিন্তু এ পদে তাদের বাদ দিয়ে নন-টেকনিক্যাল প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ২০২৩ এর অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের জন্য ৭২টি পদ সৃস্টি করা হয়েছে। সেখানেও তাদের নিয়োগ না দিয়ে নন-টেকনিক্যাল প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, এখন পর্যন্ত চারটি ব্যাচ আইএলএসটি থেকে পাস করেও চাকরী পায়নি। তারা বেকার। নুতন চারটি ব্যাচ বের হবে। তাদেরও চাকরীর নিশ্চয়তা নেই। আর কোন শিক্ষার্থী পড়তে আসছেনা। এটি বেকার তৈরির একটি কারখানা।
বক্তারা আরও বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে পড়ালেখা করেও চাকরী না পেয়ে বিপদগামী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হয় তাহলে আমাদের সার্টিফিকের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হোক। আরো নতুন নতুন ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ করছে। প্রতি বছর হাজার হাজার বেকার যুবকই বের হবে।
শিক্ষার্থীদের চার ধফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো-অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগবিধি মোতাবেক উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন ও প্রাণিস্বাস্থ্য) পদে দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা কার্যকর করা। ভিএফ ও সমমানের পদে ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক থেকে পাস করে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে ৭০ শতাংশ পদে অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চুড়ান্ত করা। ওভারশিয়ার (কৃষি, বায়ার এবং ডেইরি) বায়ার ওভারশিয়ার ও ডেমনস্ট্রেটর পদসমূহে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। নবসৃষ্ট গ্রেড-৩, গ্রেড-৫, গ্রেড-৬ ও গ্রেড-৯ পদ সমূহের বিপরীতে খসড়া নিয়োগবিধির আলোকে পূরণকৃত সকল নিয়োগ এবং পদোন্নতি বাতিল করা।
নাসিরনগর শাখার সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, বিছুদিন আগে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু আমাদের আইএলএসটির শিক্ষার্থীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নন-টেকনিক্যাল লোকদের নেওয়া হচ্ছে। ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক (আইএলএসটি) অধ্যক্ষ ডাঃ কাজী রফিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষাথীদের সকল দাবিই যৌক্তিক। কিন্তু উপর মহলকে তাদের দাবির গুরুত্বটি বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জ শহরের চাষি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নানা অসংগতি পাওয়ায় জরিমানা করা হয় মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে আলু বিক্রয় না করা, ক্রেতাদের ভাউচার প্রদান না করা, মূল্য তালিকা আপডেট না করার কারণে তিনটি আলুর আড়তের মালিককে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকে সহযোগিতা করেন আনসার ব্যাটালিয়নের একটি টিম। দেবানন্দ সিনহা জানান, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি ব্রিজের জন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা সুপারি গাছ দিয়ে দীর্ঘদিন ব্রিজটি ব্যবহার করলেও প্রায় একমাস ধরে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে স্থানীয়দের। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, বরাদ্ধ না থাকায় নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের প্রতন্ত গ্রাম চন্ডিপুর। এই গ্রামের দাউরা খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি ভেঙে যায় প্রায় ৪ বছর আগে। স্থানীয় গ্রামবাসি সুপারি গাছ দিয়ে মেরামত করে ব্রিজটি ব্যবহার করছিলো। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সে সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই ব্রিজটি দিয়ে বাধ্য হয়ে পার হতেন, চন্ডিপুর, পূর্ব চন্ডিপুর, বড় জামুয়া, ছোট জামুয়া, কাছিকাটা, চড়গোপালপুরসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তবে গত একমাস ধরে ব্রিজটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। এরপর থেকে নৌকায় করে খাল পার হচ্ছেন ব্রিজটির দু’পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দাসহ স্কুল ও মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ নারী ও শিশুরা। এমন অবস্থায় ঝুকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী।
চন্ডিপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমেনা খাতুন বলেন, এই ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তি। নৌকায় করে খাল পার হওয়ার সময় আমাদের ভয় লাগে। কিছুদিন আগে আমাদের এক বন্ধু নৌকা থেকে পড়ে যায়। পরে নৌকার মাঝি তাকে উদ্ধার করে। একই গ্রামের শিক্ষার্থী সজিব জোমাদ্দার বলে, অনেক সময় আমরা নৌকা পায়ই না। তখন বাধ্য হয়ে খাল সাতড়ে আমাদের পাড় হওয়ায় লাগে।
পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, এই ব্রিজটির জন্য আমাদের আশপাশের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চড়ম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা গ্রামবাসি চাঁদা তুলে সুপারি গাছ গিয়ে ব্রিজটি কোনমতে মেরামত করে ব্যবহার করতে থাকি। কিন্তু প্রায় একমাস ধরে সেটাও ভেঙে যাওয়ার পর আমাদের নৌকা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জামাল শেখ বলেন, দাউরা খালের উপর ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে পরে আছে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। এই ব্রিজটির জন্য হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত যেন ব্রিজটি মেরামত করা হয়।
বাগেরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান বলেন, ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে মাটি পরীক্ষাসহ আনুসঙ্গিক কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়ে। তবে অর্থ বরাদ্ধ না হওয়ায় নির্মাণ করা যাচ্ছে না। বরাদ্ধ পেলে আগামী অর্থ বছরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
খাগড়াছড়িতে অবৈধ পথে আসা ৬ লাখ টাকার ভারতীয় সিগারেটসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার চলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় চোলাই মদ, চুরি হওয়া বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ছয় লাখ টাকার ভারতীয় সিগারেট, চোলাই মদ, চুরিকৃত ব্যাটারি উদ্ধারসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে শহরের শান্তি নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯০ কার্টুন সিগারেট উদ্ধার জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসময় দুটি ইজিবাইকসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- হলেন জেলা সদরের পেরাছড়া এলাকার অরুণ জ্যোতি চাকমা (২৫), দীঘিনালার ধনগোলা চাকমা (৩৪)।
অন্য আটক আসামিরা হলেন- চোলাই মদসহ সদরের ভাইবোনছড়া এলাকার বাসিন্দা প্রভাব চাকমা (২০)। শহরের গঞ্জপাড়া এলাকা থেকে ইজিবাইকের ব্যাটারিসহ মো. সুজন (২৬)। এছাড়া পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম (৪১), মোহাম্মদ আকবর আলী সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অপরাধী চক্র সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।