চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে কাস্টমস ভবনে সোনালি ব্যাংক বুথে কর্মরত উত্তম চক্রবর্তী, কাস্টমসের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও বিমল চন্দ্র দাসের যোগসাজশে ভারতগামী যাত্রীদের দেওয়া ভ্রমণ করের টাকা দীর্ঘদিন থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর এতে করে সরকার বিপুল পরিমান হারাচ্ছে রাজস্ব।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী পারাপার হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার জন। এসময় ভারতগামী যাত্রী প্রতি ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয়।
অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের সেই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে এই অসাধু চক্র। এই চক্রটি ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া ভ্রমণ করের রশিদ সংগ্রহ করে পুনরায় অন্য যাত্রীকে দিয়ে দিচ্ছে ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি এপথে ৫ জন ভারতীয় নাগরিক ভারত ফেরার পথে ভ্রমণ ট্যাক্সের রশিদে পাসপোর্ট নম্বর দেখে ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে রশিদসহ ওই ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। কারণ তাদের ভ্রমণ করের রশিদে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া ছিলো। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগেও এমন জালিয়াতি রশিদ ধরা পরলেও ওই চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই।
কাস্টমসের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনকে ফোন করা হলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। আর বিমল চন্দ্র দাসের ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। বিষয়টি আমার জানা নেই। ৫জন যাত্রী আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সামান্য সমস্যা ছিলো। সমস্যা সমাধানের পর তারা চলে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিঃ থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রæটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে যাদের ভারতের বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১২টা) দেশড় থেকে ২’শ জন যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। এতে দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট করেন বেশি। এসময় তারা যাত্রী ছাউনী ও গাছ তলায় বসে সময় কাটান।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোন যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও শূণ্য রেখায় যাই।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তারা আমাদেরকে বলেন, যে সকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিন বিমানের টিকেট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকেট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ খাইরুল আলম আরও বলেন, বেলা সোয়া দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মাদক পাচারকারী হলো কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত দেঠৎ মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রকাশ রয়েল(৩৮)।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এস. আই মোঃ মোবারক আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ এলাকার নোয়ামোড়া- গোপীনাথপুর সড়কের থেকে মোঃ আমিনুল ইসলামকে আটক করে। তাকে তল্লাশী করে প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমিনুলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ২টি মাদক মামলা ও ০১টি অন্যান্য ধারায় মামলা সহ ০৩টি মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় হুজুরের উপর হামলা মামলায় আটক সুমন ও রিমনের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চাওড়া দৌলতবাড়ি গ্রামে সুমনের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনায় সুমন ও রিমনকে নির্দোষ দাবি করেন তাদের স্বজনরা। শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় মানবিক কারণে তাদের জামিন এবং মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুমনের বৃদ্ধ পিতা-মাতা, স্ত্রী, শিশু সন্তান এবং রিপনের মা উপস্থিত ছিলেন। সুমন ও রিমন সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
এসময় সুমনের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন আমার স্বামী একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে পঙ্গু অবস্থায় আছে। হুজুরের হামলার সাথে আমার স্বামী জড়িত নয়। চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার পঙ্গু স্বামীর জামিন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমার সংসারে রোজগার করার মতো কেউ নাই। ৪ টি শিশু সন্তান, বৃদ্ধ শশুড়-শাশুড়িসহ ১০/১২ জন মানুষ নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সুমন ও রিমনের স্বজনরা আহজারি করে বলেন তাদের জামিন না হলে অনাহারে বিষ খেয়ে মরা ছাড়া উপায় থাকবে না।
এসময় রিমনের মা তাহমিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী নাই। ছেলে মেয়ে নিয়া বাবার বাড়িতে থাকি। হুজুরের হামলার ঘটনার সাথে আমার ছেলে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমার ছেলের জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শনিবার রাতে আখাউড়ার আজমপুর এলাকায় মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী নামে এক হুজুরের উপর হামলায় হয়। হামলা হুজুরের জিহ্বায় আঘাত লাগে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি একটি মাহফিল থেকে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় সুমন ও রিমনসহ চারজনকে আটক করে র্যাব। বর্তমানে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের হাজতে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে পালানোর সময় নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান হারুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৭ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান হারুন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ওলুকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার ওলুকান্দি গ্রামের আলফু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম। তিনি জানান, কেউ যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে- সেজন্য আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যাদের পাসপোর্টে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদেরকে আমরা ইমিগ্রেশন করতে দিচ্ছি না। ওই ছাত্রলীগ নেতার নামেও নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীন খান পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট। ৭ জানুয়ারি রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ আসনে আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ দুই হাজার ৫৮৭ জন। আসনটির ৪৪ ভোট কেন্দ্রের ২৬৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।