ঢাকা ওয়ারি জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে ফুলেল শুভেচ্ছা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 February 2024, 883 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা ওয়ারি জোনের ডিসি (উপ-কমিশনার) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতিকালে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে এক আনন্দ আড্ডায় মিলিত হন। এ সময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা, সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আরজু, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত মোঃ সাবেরিন ভূঞা লিটন।

banner

Leave a Reply

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গণহত্যা দিবস পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 March 2025, 299 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ২৫ মার্চ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

banner

জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এহসান মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আবদুল মতিন, সিভিল সার্জন ডা: মো: নোমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এহসান মুরাদ বলেন, ১৭ মার্চ টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক কর্মসূচির মাধ্যমে বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালনার নীলনকশা তৈরি করে। ২৫ মার্চ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরতম গণহত্যা, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়। ইয়াহিয়া খাঁন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো ২৫ মার্চ গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হত্যা করে বহু মানুষ। পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালায় ও নৃশংসভাবে গণহত্যা ঘটায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৫ শে মার্চের রাত ‘কালরাত্রি’ নামে পরিচিত। এ দিবসটি এখন ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় পাকিস্তানি সশস্ত্র সেনাদের সঙ্গে বাঙালি, আনসার ও নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের এক অসম লড়াই, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারুল হক; বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মো: রতন মিয়া; বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম।

জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় চার শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে ‘অদ্বৈত উৎসব’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 January 2025, 375 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
অমর কথাশিল্পী তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে তাঁর জন্মভিটায় নানা কর্মসূচি পালন করেছে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ।

banner

আজ ১ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে প্রধান সড়ক থেকে অদ্বৈত জন্মভিটায় সংগঠনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও শিশুদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি এস সি তাপসী রায়ের সভাপতিত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, কার্যকরী সদস্য আনিসুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন ও প্রিয়ন্তি।

সাহিত্য একাডেমির পরিচালক রম্য-লেখক পরিমল ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক শাহ মো. সানাউল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমিন শাহীন, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সহসভাপতি ডা. অরুনাভ পোদ্দার, নারী নেত্রী নন্দীতা গুহ, ফজিলাতুন্নাহার, ফারুক আহমেদ ভূইয়া, কবি শিরীন আক্তার, কবি আমির হোসেন, এম. এ হানিফ, কবি শাহজাদা জালাল, নেলী আক্তার, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য সচিব মো. হুমায়ূন কবীর, কবি মো. ইউনুছ সরকার, মাসুদ আহমেদ, জামিনুর রহমান, মো. মঈন উদ্দিন, নির্জয় হাসান সোহেল, নির্মল বর্মণ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন এবং সদস্য নুসরাত জাহান বুশরা।

অদ্বৈত মল্লবর্মণ ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গোকর্ণ গ্রামের ধীবর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৩৭ বছরের জীবনে অদ্বৈত মল্লবর্মণ সামান্য কটি উপন্যাস, গোটা চারেক গল্প এবং গোটা কয়েক প্রবন্ধ রচনা করলেও তার রচনার প্রসাদ গুণের কারণে তিনি বিদগ্ধ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।

আবুল কাসেম ফজলুল হককে “সোনালী কাবিন” পদক প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 February 2025, 340 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পথিকৃৎ মহাকালের কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব ২০২৫ এর আজ ছিলো সমাপনী দিন। তিন দিনব্যাপী নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমবারের মতো এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে সোনালী কাবিন পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ছিলো একটি পদক ও আর্থিক চেক।

banner

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাপনী দিনে, সকাল ১০টায় স্বরচিত কবিতা পাঠ, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সন্ধ্যা ৬টায় সোনালি কাবিন পদক প্রদান করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছর সোনালি কাবিন পদক গ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মহিবুর রহিম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কবি মোবারক হোসেন আকন্দ, কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, নবীনগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।

বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক সোনালী কাবিন পদক গ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, আল মাহমুদের কবিতার ভাষা বেশ বিশ্বস্ত। তাঁর কবিতায় জীবন শুধু দুঃখময়ই নয়, জীবন যাপনযোগ্য এবং সৌন্দর্যমন্ডিত। তিনি হতাশাবাদীদের মতাদর্শ গ্রহণ করেননি। এখানেই তিনি স্বাতন্ত্র্য একটি সাহিত্য জগত তৈরী করেছেন। বাংলা সাহিত্য আজ আল মাহমুদকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অবশ্যই দিতে হবে। কারণ তাঁর লেখা ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে একটা সময় আল মাহমুদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, অথবা তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি বলবো আল মাহমুদকে দূরে রাখার প্রবণতাই এজন্য দায়ী। তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ তাকে কবি হিসেবে দেখা। আল মাহমুদ অনেক বড় মাপের একজন মানুষ ও কবি। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল মাহমুদের একটা জীবনী রচনা করার দায়িত্ব আজকের তরুণদের নিতে হবে। তাঁর কবিতা ও কবি জীবন নিয়ে লেখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। আমরা যদি তাঁর একটা রচনাবলী প্রকাশ করি, তবেই আমরা বুঝতে পারবো তিনি কত বড় মাপের কবি ও মানুষ ছিলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও জনজীবনকে উন্নত করতে হবে। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ, সাহিত্য একাডেমি, আবরণী, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সাগর মিউজিক প্লাস এবং নৃত্য পরিবেশন করবেন জিয়া আমিন।

আগামীকাল আল মাহমুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলা দূরীকরণে স্মরণীয় কর্মসূচি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 20 September 2024, 575 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং “সোনালী কাবিন” খ্যাত কবি আল মাহমুদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আগামীকাল ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার, সকাল ১১ টায় এক বিশাল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র জনতার জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌড়াইলস্থ কবি আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন, গার্ড অফ অনার প্রদান এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিএনসিসি সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করবেন।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, কবি আল মাহমুদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা এবং তাঁর সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের জনগণকে কবি আল মাহমুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে অনুপ্রাণিত করবে এবং তার অনন্য সাহিত্য ও সংগ্রামী জীবনের প্রতিফলন নতুন প্রজন্মের মনে গভীরভাবে প্রোথিত করবে। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করবে। কর্মসূচী সমূহে উপস্থিত থাকতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত। একজন ভাষা সৈনিক, রণাঙ্গণের বীরমুক্তিযোদ্ধা, প্রতিথযশা সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের প্রধান কবি হয়েও মূলধারার কবিদের সঙ্গে আল মাহমুদের (১৯৩৬-২০১৯) তফাতটা কোথায়, তা কবিতা দিয়েই বোঝা সম্ভব।‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘সোনালি কাবিন’-এর আল মাহমুদকে অপ্রধান বলার সুযোগ এখন পর্যন্ত ঘটেনি। তিনি বিভিন্ন কারণে এদেশের রাষ্ট্রের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই বিশ্ববিশ্রুত কবির প্রতি আমাদের অগাধ ঋণ। এই বৈষম্য থেকে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার প্রয়াসে আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র জনতার জমায়েত। সেখান থেকে মৌড়াইলে আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা। কবরে পু®পস্তবক অর্পণ এবং প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন। গার্ড অব অনার প্রদান ও দোয়া।

এসবই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো আল মাহমুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান নিশ্চিত করা এবং এই নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁকে তুলে ধরা।

আমরা এখন বিশ্ব উন্নয়নের অংশীদার: মোকতাদির চৌধুরী এমপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 18 December 2022, 1737 Views,

ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’য় মহান বিজয়ের আলোচনা সভা

banner

স্টাফ রিপোর্টার :
দেশের শিক্ষার্থী সমাজকে স্বাধীনতার চেতনায় সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন- ১৯৭১ সালে মৃত্যুর সন্নিকট থেকে ফিরে এসে জীবনের সন্ধান পেয়েছিলাম এই বিজয় দিবসে। এর যে অনুভূতি, তার কোনো তুলনা হয় না। এটা বর্তমান প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছি বলে দাবি করি, ২০২৩ সালের মধ্যে অন্যান্য সূচকগুলোকে যদি আমরা প্রতিপালন করতে পারি তাহলে সত্যি সত্যি আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব, ২০৩০ সালে স্থায়ীভাবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব এবং ২০৪১ সালে আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হব।

গত শুক্রবার ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি এ কথা বলেন। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণী ও জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক আহম্মদ উল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, আমরা এখন বিশ্ব উন্নয়নের অংশীদার। বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অংশীদার আমরা। কিন্তু এটিই শেষ নয় আমাদের আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। আর এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে বই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।