চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা ওয়ারি জোনের ডিসি (উপ-কমিশনার) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতিকালে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে এক আনন্দ আড্ডায় মিলিত হন। এ সময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা, সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আরজু, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত মোঃ সাবেরিন ভূঞা লিটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আজ আমরা রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি-লুটপাটের কথা বলছি, হাসিনার ফ্যাসিবাদের কথা বলছি। হাসিনা ফ্যাসিস্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী দেশের আমলাতন্ত্র।
তিনি বলেন, এসপি-ডিসিরা বহাল তবিয়তে আছেন। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দেশ ছেড়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ও গ্রেফতার হয়েছেন। কয়জন এসপি-ডিসি গ্রেফতার হয়েছেন? কয়জন ইউএনও-ওসি গ্রেফতার হয়েছেন? এই ইউএনও, ওসি, এসপি ও ডিসিরা হাসিনার আকাম-কুকামের সহযোগী ছিলেন। হাসিনার বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনেও যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের ন্যূনতম বিচারের মুখোমুখি অবশ্যই করতে হবে।
২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জন-আকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রূপ মিয়া হোসাইন রাজ, আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান, ঢাকা বারের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার বিকালে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাঙ্গণে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সভাপতি ডা. মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী।
ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. হিমেল খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম ও ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. আমান উল্লাহ আমান, ডা. এ.এস.এম. মুসা, সহ-সভাপতি ডা. রহিমা খাতুন শেফালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আকতার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মনির হোসেন, ডা. পিবি রায় সুপ্রিয়, ডা. কাজী শান্তুনু সায়হম অর্নব ও দপ্তর সম্পাদক ডা.কাজী আশরাফুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্য ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডা. জাকিয়া সুলতানা রুনা, ডা. মাহবুবুর রহমান এমিল, ডা. মাইনুল হক উপল, ডা. সারোয়ার, ডা. কিরণ, ডা. সাদ্দাম, ডা. রাকিব, ডা. তৌফিকা তামান্না প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এটা চিরন্তন সত্য। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন মারা গেছেন তখন তার বাসায় একটি স্যুটকেস পাওয়া যায়নি কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় তখন তার হেলিকপ্টারে ১৪টি ব্রিফকেসে করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘরে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
মোস্তাক আহমেদের ছেলে সজিব আহমেদ বলেন, আমার বাবার শহরের নিউ মার্কেটে কাপড়ের দোকান আছে। আমি একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজারের চাকরি করি। এছাড়া বাসায় আমার ছোট ভাই ও মা থাকেন। আমরা বাগানবাড়ি এলাকায় একটি ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকি।
তিনি বলেন, বিকেলে ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দিয়ে মাকে নিয়ে বাসার বাইরে যায় আমার ছোট ভাই। সে খেলতে চলে যায় এবং আম্মা চলে যান ডাক্তারের চেম্বারে। তারা সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখেন ওয়ারড্রবের ড্রয়ার সব খোলা এবং কাপড়চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তারা দেখেন আলমারির ভেতরে থাকা ডিজিটাল লকার এবং সিন্দুক ভাঙা। পরে তল্লাশি করে দেখা যায়, লকারে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সিন্দুকে থাকা আম্মার সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেই। খবর পেয়ে আমি এসে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদের একটি দল আসে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বাড়িটি একটি নির্জন এলাকায় এবং সেখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ভবিষ্যতে যারা চাঁদাবাজি করবে, যারা গুম–হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে, যারা অন্যের জমি দখল করবে, যারা লুটতরাজ চালাবে, যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত করবে, তাদেরও কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিদায় হতে হবে। এমন কাজ করবেন না, যাতে ভবিষ্যতে এমনভাবে আমাদেরও বিদায় হতে হয়।’
৩০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের মেড্ডা সিও অফিস হল রুমে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ভবিষ্যতে যারা চাঁদাবাজি করবে, যারা খুন-হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে, যারা অন্যের জমি দখল করবে তাদেরকে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিদায় হতে হবে। আজকে এই শোক সভার মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের সর্তক করে দিতে চাই। যে আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ক্ষমতায় ছিল তাদের কিন্তু এসব ভুলের জন্য বিদায় নিতে হয়েছে। সে ভুল পুনরায় করে আমাদেরকে যেন তাদের মতো বিদায় না হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা, এবি এম মমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, আলী আজম, মাইনুল ইসলাম চপল, নজরুল ইসলাম, মাইনুল ইসলাম, নিয়ামুল হক, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, জামাল হোসেন কাউন্সিলর। পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, যুবদল নেতা জসীম উদ্দিন, রাশেদুল হক, জালাল উদ্দিন, জিয়াউল, ছাত্রদল নেতা, সাঈদ হাসান সানি, ফুজায়েল, হৃদয়, সানি।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুলবারী, জেলা বিএনপির ও যুবদল, শ্রমিক, ছাত্রদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ পরিবর্তিত নাম ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করছেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক পরিয়েদেন এবং রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’’ বা ‘‘মানবতার মা’’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮’’ কার্যকর করে।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য আল-মামুন সরকার ২০২০ সালে প্রথমবারের মত এই পদকের জন্য জাতীয় ভাবে মনোনিত হন। পরবর্তীতে নামকরণ জটিলতায় ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদ সভায় নামকরণ পরিবর্তন করে, ‘‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’’ নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মাননায় পঁচিশগ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা পত্র এবং নগদ দুই লক্ষ টাকার চেক অন্তর্ভূক্ত।