অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তাদের বিনামুল্যে অফিস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। প্রথম ছয় মাস পাঁচ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোরসহ ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে পঞ্চম চট্টগ্রাম আইটি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামকে আমরা স্মার্ট, গ্রিন ও ক্লিন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। চট্টগ্রাম থেকে যদি কোনো তরুণ-তরুণী প্রযুক্তিখাতে উদ্যোক্তা হতে চায় সরকার তাদের সুযোগ-সুবিধা দিবে।
এ ছাড়া আমরা চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলব, যেখানে লক্ষাধিক তরুণ-তরুণী তথ্য ও প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, মেলায় চট্টগ্রামের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৬৪টি স্টল রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মেলায় অংশ নিচ্ছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও আয়ারল্যান্ডের মালিকানাধীন আইটি ও সলিউশনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে। এক সময় যে সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তরে কেবল হাতে কলমে কাজ হত সেখানেও এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে নানা বয়সের দর্শনার্থীরা ভিড় করছে মেলার বিভিন্ন স্টলে। মেলায় দেশি-বিদেশি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করছে। ফলে নতুন নতুন প্রযুক্তি স¤পর্কে জানতে পারছে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।
সোসাইটি অব চিটাগং আইটি প্রফেশনালসের সভাপতি মো. আবদুল্লাহ ফরিদ বলেন, আমরা চট্টগ্রামের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তুলে ধরতে চাই। নতুন নতুন প্রযুক্তি স¤পর্কে জানতে পারবে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। এ ছাড়াও মেলার পাশাপাশি আমরা তিনদিনে তিনটি বিশেষ সেমিনার করবো। আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এই মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুককে জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদুত হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আমার সঙ্গে এটিই তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন তখন আমার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এটি তার রুটিন সাক্ষাৎ। হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করছেন, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে তার আগের এরিয়া (ডিএফআইডি) নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। নিজেই সেটা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনি অবকাঠামোর অনেক কিছুই ব্রিটিশ আইনের ওপর নির্ভরশীল। এখন আইনের ক্ষেত্রে অনেকরকম উন্নয়ন হয়েছে এবং এটি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে আমাদের যে জুডিশিয়াল অফিসার ও আইনজীবী আছেন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমরা আলাপ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লন্ডনে থাকা তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা করছে সরকার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করি, তারপর আপনাদের কাছে ফিরে আসব।’
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। উনি শুধু বলেছেন, আমি খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমি তাকে বলেছি, এখন কম-বেশি আমাদের মনোযোগ নির্বাচন ঘিরে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভায়োলেন্সফ্রি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনগণের কাছে শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের গভর্নেন্স উপদেষ্টা রফিকুজ্জামান, ব্রিটিশ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ ৩ মে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে মামুনুলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের চার মামলা ও হাটহাজারীর এক মামলায় হাইকোর্ট মামুনুল হকের জামিনের বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন। এই পাঁচ মামলায় রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর তাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন।
খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলা হয়। একই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে ঘেরাও করা হয়। একপর্যায়ে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুনারুঘাট উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৮টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দোকান মালিকদের। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ততক্ষণে দোকানে থাকা বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষীপুর বাজারে একটি দোকান ঘরে হঠাৎ করেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান তারা। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা জগ, মগ ও বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তেই থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় অন্তত ৮টি দোকানের মালামাল। দোকান মালিকদের দাবি আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের। যদিও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টশার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ রাশেদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ। মেডিটেশন দিবস উপলক্ষে এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সারাদেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেবেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিন দিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সাত বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। তিনি ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর এ সম্পর্কে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ।