অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়নি। রিজার্ভ নিয়েও দেশে কোনো সংকট নেই। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রিববার দুপুরে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা সর্বত্রই বিরাজমান। এটা দূরীকরণে বর্তমান মন্ত্রীসভা কাজ করবে। দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত কাজগুলো করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। আর সুন্দর ও ভালো কাজ করতে গিয়ে হয়তো বিলম্বিত হয়। প্রকল্পে সমন্বয়ের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হয় উল্লেখ করে রাজশাহীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বয় সাধনে তিনি কাজ করছেন বলে জানান। আরডিএ থেকে অনুমোদন না নিয়ে কেউ আবাসন গড়ে তুললে সেটা বে-আইনি কাজ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। সুতরাং, জেলা প্রশাসক এটা দেখুক। এরআগে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পাঁচ পরিচালককে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৭ জুলাই রোববার র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
বদলি আদেশে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলামকে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক, র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমানকে র্যাব সদর দপ্তরের অপারেশনস উইংয়ের পরিচালক, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল কাজী যুবায়ের আলম শোভনকে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক, র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌসকে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক ও র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফিরোজ কবীরকে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নগরকান্দা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন ইসলাম অফিস থেকে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সাহার মোটর সাইকেল যোগে ফরিদপুরের যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাটকৃষ্ণপুর সড়কের স্বাধীপুর ব্রিজে ঢাল ওঠার সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, আইরিন ফরিদপুর শহরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। অফিস থেকে মোটরসাইকেলযোগে ফরিদপুরের বাসায় পথে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আজ ১৪ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সকল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম পরামর্শে বলেন, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলও’র নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য আমাদের একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরি করতে হবে। এই সামাজিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হবে- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য যে, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলও’র দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক দুটি নতুন মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন, একটি বড়ো শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে।’
শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আটটি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এ সংশোধন করা হয়েছে। এ বছর নাগাদ শ্রম আইন, ২০০৬-এ আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োগর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া, সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের কারখানাগুলোর জন্য একটি ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
৪ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বারেরা এলাকার ফোর স্টার ফ্লাওয়ার মিল সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. অনিক খান (১৮) গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের জালাল উদ্দিন খাঁন কবিরাজের ৪র্থ ছেলে এবং কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল।
অনিক তার পরিবারের সঙ্গে পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
নিহতের বড় ভাই অপূর্ব জানায়, গত ৬ মাস আগে তাদের মা মারা যান। তাদের পরিবার এখনও সেই শোক বয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে আদরের ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হলো।
অপূর্ব আরও জানায়, বুধবার রাতে বারেরা এলাকায় একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পথে ভেজা সড়কে পিছলে পড়লে একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আফসার বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদায় ২০২৪, স্বাগত ২০২৫। শুভ হোক নতুন বছর। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও আমাদের অগণিত পাঠকদের জানাই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। রাজনৈতিক সহিংসতা, নানা দুর্যোগ-দুর্ঘটনা আর ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইংরেজি ২০২৪ সাল। মহাকালে মিলিয়ে গেল আরো একটি খ্রিস্টীয় বছর। সেইন্ট গ্রেগরি প্রবর্তিত ক্যালেন্ডারের হিসাবে ২০২৪ সাল শেষ হয়ে শুরু হয়েছে ২০২৫ সাল। সারাবিশ্বের মানুষ আনন্দ-উল্লাস করে পালন করছে এই নতুন বছরের শুরুর ক্ষণটিকে।
মহাকালের অতল গর্ভে হারিয়ে গেছে অনেক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সাক্ষী হয়ে থাকা আরো একটি বছর। আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।/ তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে। – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতই দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। নতুন বছরটি যেন সমাজ জীবন থেকে, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে আমাদের প্রিয় স্বদেশ যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে। নতুন বছরটি আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক-এই প্রত্যাশা। শুভ নববর্ষ ২০২৫!