মামলাজট কমাতে বিচারক বৃদ্ধি ও আদালত প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 22 February 2024, 252 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
দেশে মামলাজট কমানোর জন্য বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন আদালত প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোার্টের বিচারক সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান মামলাজট কমানোর জন্য সম্প্রতি সহায়ক জনবলসহ ৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৭টি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, গাজীপুর ও রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ২টি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৩০টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ২২টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৬২টি অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ও ১১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও একটি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এবং গাজীপুর, রংপুর ও বরিশালে ৩টি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ৩টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও ৩টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত সৃজন করা হয়েছে।

এছাড়া ১১টি যুগ্ম জেলা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১৭টি অর্থঋণ আদালত, ২১৪টি সহকারী জজ আদালত, ১৩টি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, ৫৪টি ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম জেলায় ৩টি অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৭টি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং মাদক সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য স্বতন্ত্র ৩০টি অতিরিক্ত জেলা জজ, ২৪টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, ৬৬টি যুগ্ম জেলা জজ ও ৩২টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকের নতুন পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অধস্তন আদালতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৩৫৯টি বিচারকের পদ ও এক হাজার ৯৯৯টি সহায়ক পদ সৃজন করা হয়েছে। অপরদিকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মাত্র ২৫টি বিচারকের পদ এবং ১৩৩টি সহায়ক জনবলের পদ তৈরি করা হয়।

তিনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৬ জন বিচারক (সহকারী জজ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট আমলে অধস্তন আদালতে মাত্র ১৯০ জন বিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল।

সাব-রেজিস্ট্রার পদ সংক্রান্ত

সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলি আইন ও বিচার বিভাগ হতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী আনিসুল হক।

স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি আরো জানান, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়াদি আইন ও বিচার বিভাগের কর্মপরিধিভুক্ত।

ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়। ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সঙ্গে সাব-রেজিস্টার অফিসের একটি আন্তঃসংযোগ স্থাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব-স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃসংযোগে যুক্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ৪ হাজার ১১৬টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।

পূর্বে দলিল নিবন্ধনের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ল্যান্ড ট্রান্সফার (এলটি) নোটিশ প্রেরণ করতে বিলম্ব হতো। ই-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলটি নোটিশ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে প্রেরিত হয়। এর মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস দ্রুততম সময়ে নামজারি কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন। অপরদিকে এই আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রারগণ কোনো দলিল নিবন্ধনের পূর্বে নামজারির সর্বশেষ অবস্থান দেখতে পান। ফলে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।
বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত

বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সরকারি দলের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভাড়াটিয়াদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত এবং বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১’ বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোন আইন প্রণয়ন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের বিধানসমূহ পর্যালোচনা করা হবে।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 10 March 2024, 216 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) অতি-আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি, জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে সাজিয়ে একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করছে।

তিনি বলেন, ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না। কোস্ট গার্ড বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। ’

আজ ১০ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে ‘২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং কোস্ট গার্ড দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ডের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ছয়টি স্টেশন ও আউটপোস্ট এবং তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট ও দ্রতুগতিসম্পন্ন বোট।

পাশাপাশি সমুদ্র নির্ভর পেশায় নিয়োজিত জনসাধারণের ও নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি, ২টি মেরিটাইম ভার্সন হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভি-স্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি যা কোস্ট গার্ডকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর যোগাযোগ এবং অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি দুটি হেলিকপ্টার উইংসহ এভিয়েশন উইং গঠনের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছি, যা সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে ৪টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেলসহ বিভিন্ন আকারের ১৬টি জাহাজ ও ১৩৮টি বোট কোস্ট গার্ড বহরে সংযোজিত হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১’ এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য আজ কোস্ট গার্ডের নবসংযোজিত ভিস্যাটনেট সিস্টেম ও ঢাকা জোন, পূর্ব জোন এবং দক্ষিণ জোনের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ১৯৯৫ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৯ বছরে আজ একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের আনীত বিলের কারণেই ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ একটি আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ড-এর স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন আকারের জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্ট গার্ড-এর জোনসমূহে কর্মরত সদস্যগণের বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস তৈরির মাধ্যমে কোস্ট গার্ড-এর জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তিনি নিজেই ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ নামে কমিশন করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর জন্য ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল, ফ্লোটিং ক্রেন, ট্যাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে। এ বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ ও সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তি এ বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বাহিনীর অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই জরিমানা : আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 30 April 2024, 143 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা হিসেবে জরিমানা পাঁচ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি।

তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে, সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল।

সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে।

আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগেও শ্রম আইন নিয়ে আইএলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আজকেও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছে এ বিষয়টিকে আপনারা কিভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দর কষাকষির মধ্যে নেই। আইএলও হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি সংগঠন। এখানে সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে তাদের বক্তব্য সব সময় তাদের থাকে। তাদের সঙ্গে আমরা আজকে বসেছিলাম।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা এখন শ্রম আইন সংশোধন করছি। এটা সংশোধিত হয়েছিল গত সংসদে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়, সেখানে পৌঁছানোর পরে দেখা যায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, যে জন্য এটা আবার ফেরত আনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন বিশ্বের প্রাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। সেখানে আইএলওয়ের একটি অংশগ্রহণ থাকে। আপনারা এও জানেন যে, আইএলওয়ের যে গর্ভনিং বডিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কিছু দেশ নালিশ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর আমরা বহুবার আইএলওয়ের গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে বলেছি, আমাদের শ্রমিকদের শুধু অধিকার রক্ষাই হয়নি। শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক একটা নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ও আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের সঙ্গে বসেছি।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটাকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সংশোধন না করছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্টেক হোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে, যারা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শোনাব। তার কারণ হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী, তার নির্দেশনা অনুযায়ী যে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়। তার সঙ্গে নতুন যারা পরামর্শ দিচ্ছেন তার কোনো মৌলিক পার্থক্য আছে কি না। আমরা কিন্তু কোনো মৌলিক পার্থক্য খোঁজে পাইনি।

আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় সেজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, সংরক্ষণসহ যা কিছু করার জন্য যার যার কথা শোনা দরকার আমরা শোনাবো। সেই কারণেই আমরা আলোচনায় বসেছি। আমরা তাদের পরামর্শ শুনেছি। আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলওয়ের যে কিছু পরামর্শ আছে সেটা তারা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যে টেকনিক্যাল কমিটি আছে সেখানে তারা উপস্থাপন করবেন। ১২ মে সেটা সম্পন্ন করার জন্য একটি সভা ডাকবো এবং সেখানে আমরা শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলওয়ের যে বক্তব্য বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখবো।

আইএলওয়ের কি পরামর্শ ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে তারা যে পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলোর সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আগে ৩০ হাজারের অধিক শ্রম আছে যেসব কারখানায় সেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করতে হলে ২০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা কমিয়ে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা তাদেরটা মেনে নিয়েছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানে সংঘ কিছু সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটা করা হবে।

আইএলও তো ১০ শতাংশের কথা বলেছিল, সেটার কি হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে কোনো কথা হয়নি। তারা ১৫ শতাংশেই রাজি হয়েছেন। কারণ আমি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, এখন ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া সেটা আমরা ধীরে ধীরে যাবো।

আইএলও মালিকদের সাজার জরিমানা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে, এখানে মালিকদের সাজা বাড়ানোর কথা ঠিক না। বিষয়টা হচ্ছে, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে, তবে সেটা সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, মালিক, শ্রমিক এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আইএলওয়ের সর্বশেষ মিটিংয়ে আমরা আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয়নি, আমাদের সাথে তাদের কোনো পার্থক্য আছে। আমরাও চাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের শ্রমিকদের সব চাহিদা পূর্ণ করে, শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে কাজ করবো? আইএলও যেসব পরামর্শ দিচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের আইন একই আছে। কোনো পার্থক্য আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা চাচ্ছি, শ্রমিকদের ভালো রাখতে। এরমধ্যে যদি তাদের কোনো পরামর্শ থাকে যদি সেটা নেওয়ার মতো হয় তাহলে নেবো।

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ল

জাতীয়, 27 March 2023, 926 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হজের নিবন্ধন করা যাবে। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সময় বাড়ানো হলো। কোটা পূরণ না হওয়ায় সরকার সময় বাড়িয়েছে। ২৭ মার্চ সোমবার নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধ আজই শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। কথা ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হবে। কিন্তু নিবন্ধনে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সময় প্রথমে পাঁচদিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও নিবন্ধনের হার ছিল খুবই কম। এ অবস্থায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। এভাবে বেশ কয়েকদফা সময় বাড়ানোর পর আজ ষষ্ঠবারের মত সময় বাড়ানো হল।

পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

দাফনের ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ!

জাতীয়, 26 September 2023, 443 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন হাসি বেগম নামে এক গৃহবধূ। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলায় পাওয়া যায় এক নারীর অর্ধগলিত লাশ। লাশটি হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তার মা। পরে ওই লাশ দাফন করে হাসি বেগমের পরিবার। এদিকে দাফনের পাঁচ দিন পর হাসি বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর নিয়ে আসেন। হাসি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহ আলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের সাত বছর বয়সি একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

এ ঘটনায় হাসি বেগমের বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন জামাতা মোতালেব শেখ। এর দুই দিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর মোতালেব সদরপুর থানায় পালটা একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গেছেন।

এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার কচুরিপানার ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে হাসি বেগমের মা সালমা বেগম ওই লাশটি হাসির বলে শনাক্ত করেন। এরপর ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী কবরস্থানে ওই লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে পালটাপালটি অভিযোগের তদন্ত চলা অবস্থায় শনিবার হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানান তিনি জীবিত আছেন। এরপর সোমবার সদরপুর থানার পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. খবির মোল্যা বলেন, এ রকম খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত তেমন কিছু জানি না।

এ বিষয়ে সদরপুর থানার ওসি মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসিকে নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়। ঘটনাটি ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার। ফলে সব তথ্য পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড জব্দ, একজনের কারাদণ্ড

জাতীয়, 9 April 2023, 916 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড জব্দ হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল রবিবার নগরের বহদ্দারহাট এলাকার শামসু কলোনিতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

এ সময় নকল পণ্য তৈরির অপরাধে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শামসু কলোনিতে গিয়ে পিলে চমকানোর মতো অনিয়ম-কারসাজির প্রমাণ পাই। সেখানে গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি নানা নকলসামগ্রী ব্যবহার করে হারপিক ও ভিম লিকুইড তৈরি করছিলেন। নোংরা পরিবেশের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড তিনি তৈরি করে রেখেছিলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে।

এ অবস্থায় আবদুর রহমানকে হাতেনাতে আটক করা হয় বলে জানান তিনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করায় তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

প্রতীক দত্ত জানান, আবদুর রহমান ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছেন, ৬ মাস ধরে সেখানে তিনি নকল নানা সামগ্রী তৈরি করছিলেন। এরপর তা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন। এরই মধ্যে নকল বেশকিছু পণ্য বিক্রি করেছেন অনেক এলাকায়।

এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪০০ বোতল নকল হারপিক ও ২০০ বোতল নকল ভিম লিকুইড জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা পণ্য আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।