অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণী সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শামীম মাদবরের।
সেখানে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে জাঁকজমকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রেমযুগলের।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশীয় তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানান তিনি। ভীনদেশি তরুণীকে বিয়ের বিষয়টি প্রথমে শামীমের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে অনলাইনে ওই তরুণীরর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিয়ের হয় শামীম-ইহফার।
শামীম মাদবরের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়েটা খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসেন। ’
এদিকে ইন্দোনেশীয় তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।
শামীমের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কয়েকদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।
ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিচ্ছেদের পরও বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলেছেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও। বাসস্থান আলাদা হলেও এখনো তাদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে ছেলে আজাদের জন্য। আজাদের ওপর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিলো কিনা তা নিয়েই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন কিরণ রাও।
আরও পড়ুন
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অ্যাঞ্জেলিনা জোলি খুলে দিয়েছেন বাড়ি
বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম থেকেই খোলাখুলি কথা বলেন সাবেক আমিরপত্নী। কিরণ বলেন, বিচ্ছেদ মানে কোনো দড়ি কেটে ফেলা নয়; বরং দড়িতে গিঁট পড়লে সেটি ছাড়ানোর নামই বিচ্ছেদ। তিনি বলেন, আমাদের খুব সহজভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছিলো। তার কারণ আমরা বিচ্ছেদের জন্য ততোদিনে প্রস্তুত ছিলাম। বিবাহিত থাকাকালীন আমাদের মধ্যে সব ঠিকই ছিল। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও আমরা ভেবেচিন্তেই নিয়েছিলাম। কখনই আমরা ঝগড়া করিনি। তর্ক করেছি, যা ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত আমাদের বাবা-মায়ের সাথেও হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন
তরুণীর গায়ে মদ ঢেলে তারকার টক্সিক জন্মদিন!
আমির ও কিরণ বরাবর সতর্ক থেকেছেন, আজাদের যাতে কোনো কিছুতে খারাপ না লাগে। সন্তানের এ প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছুই ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি, যাতে একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা
বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্ব নিয়ে সাবেক আমিরপত্নী বলেন, আমরা বিবাহিত হয়ে থাকতে চাই না ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয়, আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি না। সঙ্গীর বহু জিনিসই অপছন্দ হতে পারে, তার জন্য ঝগড়াও হতে পারে। কিন্তু এমন কারণও থাকে, যার জন্য সঙ্গীকে আপনি ভালোবাসবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন আমির ও কিরণ। ২০২১ সালে তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি, ছবি আঁকা ও নাচসহ বহু গুণে গুণান্বিতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সব সময় সরব থাকেন। সেখানে সাহসী অবতারে ধরা দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে উত্তাপ ছড়িয়ে দেন তিনি।
অভিনেত্রী ভাবনা জানালেন, বিসিএস ক্যাডার বিয়ে করতে চান। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান ভাবনা। ইতোমধ্যে নেটদুনিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে ভাবনাকে প্রশ্ন করা হয়, বিয়ের জন্য কেমন পাত্র বেঁছে নেবেন তিনি? সাথে দুটি অপশনও ছুঁড়ে দেয়া হয়, একজন বড় মাপের ইউটিউবার নাকি বিসিএস ক্যাডার? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘বিসিএস ক্যাডার!’
শুধু তাই নয়, নিজেও বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবেন বলেও জানান ভাবনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মা-বাবা এখনও বলেন যে তুমি বিসিএস পরীক্ষাটা দাও, আমি দিতেও পারি। গেল বছরও আব্বু আমাকে বিসিএসের কথা বলেছে। যদিও আমার বয়স আছে এখনও বিসিএস দেওয়ার।
বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত হয়ে ভাবনা বলেন, ওয়াও, আমি বিসিএস পরীক্ষা দেব।
অভিনেত্রী আরো জানান, অনেক ছোট বয়স থেকেই নাকি তার পেছনে ছেলেরাই পিছু নিয়েছে। আর সেটা তার খুব ভীষণ ভালোও লাগে! কিন্তু কাউকে ধোঁকা দেয়ার পর কেমন লাগে? জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, আমি কাউকে ধোঁকা দেইনি।
প্রসঙ্গত, ‘নট আউট’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে পা রাখেন ভাবনা। পরে একের পর এক টিভি ধারাবাহিকে কাজ করতে থাকেন তিনি। ২০১৭ সালে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভাবনার রূপালি পর্দায় অভিষেক হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিষয়টা অনুমিতই ছিল। সাকিব আল হাসান ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই বলেছিলেন নেতৃত্বে আর থাকবেন না। তবে সাকিব সব ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়বেন, নাকি কেবল ওয়ানডেতে সেটাই ছিল দেখার।
অবশেষে জানা গেলো, তিন ফরম্যাটেই দায়িত্ব ছেড়েছেন সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এর আগে সাকিবের চোটে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শান্ত। বিশ্বকাপে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
পরে সাকিবের অনুপস্থিতিতে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও অধিনায়কত্ব করেন শান্ত। অধিনায়ক ছিলেন এরপর নিউজিল্যান্ড সফরেও।
শান্তর নেতৃত্বেই দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জেতে। নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হারায় বাংলাদেশ, পরে জেতে একটি টি-টোয়েন্টিও।
তখন থেকেই আলোচনা হচ্ছিল, সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের স্থায়ী অধিনায়ক হতে পারেন শান্ত। সেটাই হলো।
স্পোটর্স ডেস্ক :
উগান্ডা এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। জিম্বাবুয়ের মতো দলকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানে। পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয় পেয়েছে দলটি। তবে এবার ফের হেরে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আকিল হোসেনের স্পিনে উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় সি গ্রুপের ম্যাচে আজ ৯ জুন রবিবার ১৩৪ রানে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২ ওভারে উগান্ডাকে ৩৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডা আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৫৮ রান। যা ছিল এই বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। লজ্জার সেই রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলো আফ্রিকা অঞ্চলের দলটি। ৩৯ রানে সব উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে আলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লো উগান্ডা। বিশ্বকাপে এর আগে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের।
২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল ডাচরা। দ্বিতীয় রেকর্ডটিও তাদেরই দখলে। সেবারও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ আসরে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল ডাচরা। আর আজ ডাচদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে উগান্ডা। ডাচদের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য ডাচদের চেয়ে ৯ বল বেশি খেলেছে উগান্ডা। ডাচরা যেখানে ১০.৩ ওভার খেরেছে সেখানে উগান্ডা খেলেছে ১২ ওভার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং এবং জনসন চার্লস দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। উগান্ডাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আলপেস রামজানি। ৪.৩ ওভারে ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। দলীয় ৪১ এবং ব্যাক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন তিনি। চার্লসকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন নিকোলাস পুরান। আজ তার সামনে ছিল টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কিন্তু অল্পের জন্য রেকর্ড গড়া হয়নি তারা। ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। রেকর্ড গড়ার পথে বেশ ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ২২ রানে মাসাবার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফির যান পুরান।
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে দলটি। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার খুব একটা সুযোগ দেননি উগান্ডার বোলাররা। জনসন চার্লস (৪৪), রোভম্যান পাওয়েল (২৩) ও শেরফান রাদারফোর্ড (২২) কাউকেই খোলসের বাইরে বের হতে দেয়নি ব্রায়ান মাসাবার দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয় ঝড় আটকে দেয় তারা। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। শুরুতে ধীরেগতিতে রান করলেও পরে রানের চাকায় গতি আনেন এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাসেলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৬টি চারের মার। উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আলপেশ রামজানি, কসমস কেউয়াটা ও দীনেশ নাকরানি।
উগান্ডার সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭৪। তবে সেই টার্গেটকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরে থাক, উগান্ডার ব্যাটিং লাইনআপ মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি পুরো ম্যাচজুড়ে। উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক স্পিনার আকিল। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুকাসাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আকিল। সেই শুরু, এরপর একে একে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনিই। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল।
৪ ওভার বল করে ১১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল। উগান্ডার ইনিংসের মাত্র একজন ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংক। ২৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে তখন বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। এক জুমা মিয়াগি শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন লজ্জার রেকর্ড এড়াতে। তার ১৩ রানেও অবশ্য লজ্জা এড়াতে পারেনি উগান্ডা। ৩৯ রানে অলআউট হয়ে নেদারল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। ১২ ওভারের মাঝেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে ১৩৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভার ১৭৩/৫
উগান্ডা: ১২ ওভার ৩৯/১০
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েক দিন আগেই বলিউড প্রসঙ্গে বোমা ফাটান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নিজের কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীন বলিউড ছাড়েন তিনি। বলেছিলেন, বলিউডের নোংরা রাজনীতির কারণেই না কি মায়ানগরী ছেড়ে পাড়ি দেন সুদূর আমেরিকায়। এখন হলিউডের নয়নের মণি তিনি। একের পর এক কাজও পাচ্ছেন সেখানে। হলিউডে জায়গা পাকা করে নিতে পেরেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলিউডে ফেরা তার কাছে এখন শুধু মাত্র ঘরে ফেরার টান। এবার মেয়ে মালতীকে নিয়ে প্রথমবার মুম্বাই ফিরলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার মুম্বাই কালিনা বিমানবন্দরে স্বামী নিক ও মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনসের সঙ্গে আলোকচিত্রীদের দেখা মাত্র পোজ দেন ‘দেশি গার্ল’।
তবে বিমানবন্দরে নামা মাত্রই স্বামীর সঙ্গে পথ আলাদা প্রিয়াঙ্কার। মেয়েকে নিয়ে এক গাড়িতে নিক, অন্য গাড়িতে উঠলেন প্রিয়াঙ্কা।
কিন্তু হঠাৎ কী কারণে মুম্বাইতে প্রিয়াঙ্কা? জল্পনা, পরিণীতির বিয়েকে কেন্দ্র করে!
মেয়ে মালতীর জন্মের পর একবার ঝটিকা সফরে এসেছিলেন মুম্বাইতে। যদিও সেই সময় একাই এসেছিলেন তিনি। স্বামী নিকের দায়িত্বেই রেখে আসেন মেয়েকে। সদ্য এক বছর হয়েছে মালতীর। এবার তাই দেশে সপরিবার হাজির প্রিয়াঙ্কা। তবে নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেকেই আঁচ করছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার ‘রোকা’ অনুষ্ঠান মানে বাগদান পর্ব। দিন কয়েক ধরেই মায়ানগরী সরগরম পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার বিয়ের খবরে। দিন কয়েক আগেই মুম্বাই ঘুরে এসেছেন আপ নেতা রাঘব। দিল্লিতে গিয়েছেন পরিণীতি। এর মাঝেই প্রিয়াঙ্কার দেশে ফেরা যেন সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
তবে হাতে যে বেশ অনেকগুলো কাজ নিয়ে এসেছেন, তা ভালই বোঝা গেল। বিমানবন্দরে নেমে স্বামী, মেয়েকে গাড়িতে তুলে অন্য গন্তব্যে রওনা দিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কোথায় গেলেন, তা অজানা।