অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী অপ ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিশেষ অধিবেশনের আগে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর নেতিবাচক শিকার। অপতথ্য প্রতিরোধ তাই এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অপরাপর সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে। এ ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অপ ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। এরপর প্রেমিকের ডাকে তার বাড়িতে ছুটে যান। প্রেমিকের মায়ের বকুনি খেয়ে নিজ বাড়ি ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক পোশাককর্মী (১৯)।
গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার বরুড়ার শাকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো– শাকপুর গ্রামের মো. রুবেল, মো. শামীম ও জাকির হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ঘটনার পর থেকে অন্য আসামি ও ওই তরুণীর প্রেমিক আমান ওরফে রাফি পলাতক রয়েছে।
আজ বৃহস্পিতবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, পাঁচ মাস আগে ফেসবুকে তরুণীর সঙ্গে রাফির পরিচয়। মঙ্গলবার রাতে ফোন করে তাঁকে বাড়িতে ডেকে নেন রাফি। এ সময় তাঁর মা ভুক্তভোগীকে গালমন্দ করেন এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে বের করে দেন। সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে পথে শামীম ও জাকির তার গতিরোধ করে।
তিনি আরো জানান, তারা তরুণীকে জোর করে গ্রামের একটি বাগানবাড়ি নিয়ে যায়। রুবেল আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিল। এরপর অটোচালককে ভয় দেখিয়ে তিনজন রাত ১২টা পর্যন্ত ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং পরে অটোরিকশায় তুলে দেয়। ভুক্তভোগী পরদিন ভোরে বরুড়া থানায় প্রেমিকসহ চারজনের নামে মামলা করেন।
বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, অটোচালকের তথ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা রাফির ইন্ধনে তরুণীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো জানান, রাফিকে গ্রেতারের চেষ্টা চলছে। রুবেল ও জাকিরের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ তিনটি এবং শামীমের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ ৮ অক্টোবর বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ’ সরকারি কর্মকর্তারা।
গত ৫ নভেম্বর রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শেখ হাসিনা সেখানে আসরের নামাজের পর ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
একই দিন রাতে তিনি মদিনা ত্যাগ করে মক্কায় পৌঁছান। পরে প্রধানমন্ত্রী এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন। সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ওআইসি ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশও নেন।
৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরব অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করে।
৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন। তাকে বহনকারী প্লেন বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে শনিবার। পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এই সভা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর : ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আর জামায়াত হলো যুদ্ধাপরাধীদের দল। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নকে সচল রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত উভয়ের হাত থেকেই দেশকে মুক্ত রাখতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে দেশের ছয় জেলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব জনসভায় যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
কুষ্টিয়ার পাবলিক লাইব্রেরি, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোণার জেলা স্টেডিয়াম, রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় এসব জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিজের বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এই সন্ত্রাসী এবং যুদ্ধাপরাধীদের থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। তাহলেই দেশে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকবে। দেশের উন্নয়নের ধারাটা তখনই অব্যাহত থাকবে, যখন নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার মন মতো প্রার্থী বেছে নেবে। তাই আমার আবেদন থাকবে সকলের কাছে, এই গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমরা যেন আরও উন্নত সমৃদ্ধ করতে পারি, সেই প্রচেষ্টাটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা আমরা দিয়েছি। কাজেই আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে আমরা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে তুলব। জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থাও স্মার্ট হবে। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলব, মাথা উঁচু করে চলব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না, এই কথাটা মনে রাখতে হবে। ওই সন্ত্রাসী বিএনপি এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে এদেশ কোনোদিনই নিরাপদ নয়। কারণ এরা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। কাজেই এদের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই বাংলাদেশটা হচ্ছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। মানুষের খাদ্যের কোনো অভাব নেই। আজকে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছি। স্বাক্ষরতার হার বেড়ে, আজ ৭৬ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই এবং বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। রাস্তা-ঘাট-পুল ব্রিজ, অবকাঠামো তৈরি করে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছি, তা আপনারা নিজেরাই দেখছেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি করেছিলাম। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সাধন করি। একইদিনে সারাদেশে একসঙ্গে ‘শতসেতু’ উদ্বোধনের দিনে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৫টি ব্রিজ উদ্বোধন করি। রাস্তা-ঘাট করে দিয়েছি এবং এখন সেখানকার এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, নানারকম উন্নয়ন হচ্ছে। সেই সঙ্গে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, এমনকি বরগুনা- যেটা সব থেকে অবহেলিত একটা জায়গা ছিল, সেখানে আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। বরগুনা ও পটুয়াখালী সবমিলিয়ে পুরো বরিশাল বিভাগের চিত্র পাল্টে গেছে। এই উন্নয়নের ধারাটিকে আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। তারা নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩ ও ১৪ সালে ঠিক যেমন অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, আবারও সেই ভয়ংকর রূপ নিয়ে তারা নেমেছে। তাদের নেতা কে সেটাই প্রশ্ন। দু’জনেই তো সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে আজকে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে, তার বোন ও ভাই এবং পরিজনেরা আমাদের অনুরোধ করায়, তার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া, যারা আমাকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল। বোমা পুঁতে রেখেছে, গুলি করেছে, ট্রেনে হামলা করেছে। তারপরেও তার (খালেদা জিয়া) জন্য আমরা এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তারেক জিয়া হাওয়া ভবন খুলে, সেটিকে একটি দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিল। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা- আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে তারা হত্যা করেছে। এরপর ২০০৭ সালে ‘ইমার্জেন্সি’ এলে আর কোনোদিন ‘রাজনীতি’ ও ‘নির্বাচন’ করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে, দেশে থেকে পালিয়েছে। আর, এখন বিদেশ থেকে হুকুম জারি করছে- পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার।
২০১৩-১৪ এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় বিএনপি রাস্তাঘাট কেটেছে, গাছ কেটেছে ৫৮২টি স্কুল, ৭০টি সরকারি অফিস, ছয়টি ভূমি অফিস এবং ৩২৫২টি গাড়ি, ২৯টি রেল, ৯টি লঞ্চ তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল। সেগুলো মেরামত করে আমরা আবার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন আবার তাদের সেই ভয়ংকর রূপ! কাজেই এখন আমি সবাইকে বলব, যারা এই আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়- তাদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, মাত্র কয়েকদিন আগে রেলে আগুন দিল, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল। রেলের বগি পুড়ে সেখানে একজন মানুষ মারা গেল। বাচ্চাকে বুকে আঁকড়ে ধরে থাকা মা ও শিশু আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, সেখানে ঘুমন্ত হেলপার আগুনে পুড়ে মারা গেল। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে, এগুলো তারা ঘটাতে পারে না। এ দেশের সাধারণ মানুষকে এই যে হত্যা করা, এর প্রতিশোধ তারা নেবেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে ইলেকশন। এই ইলেকশনটা আমরা এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ আমরা চাই, জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। শান্তিমতো ভোট দিক। সকলে জনগণের কাছে যাবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তিনিই নির্বাচিত হবেন। আমি চাই নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হোক। জনগণের যে ভোটের অধিকার, সেটা তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারুক। গণতন্ত্রটাকে আমরা সুরক্ষিত করতে চাই। কারণ একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে, বিধি ব্যবস্থা থাকলে, দেশের যে উন্নতি হয়- বর্তমান দৃশ্যমান উন্নতি সেটারই প্রমাণ।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল ৯টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মোবাইল ফোনের এসএমএস এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অনলাইনে ফল প্রকাশিত হবে। পরীক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফল পাবেন।
যেভাবে ফল জানা যাবে: অনলাইন ও মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। আর www.educationboardresults.gov.bd-তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া এসএসসি ও বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করেও ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: SSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় MAD এবং কারিগরির ক্ষেত্রে TEC লিখতে হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ এপ্রিল। শেষ হয় ২৮ মে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এ বছর ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।