অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল রোজার মাসে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ অফিসকক্ষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তালিকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের তফসিল দিতে ৪০ থেকে ৪২ দিন সময় লাগে।
এ ক্ষেত্রে রোজার মাসেই তফসিল ঘোষণা হবে। সেটা পরবর্তী কমিশন সভায় নির্ধারণ করা হবে।
৯ মার্চ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের (রংপুর ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন) প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ২৩৩ নির্বাচন হলেও বড় নির্বাচন মাত্র কয়েকটা। সেগুলোতে আচরণবিধি যথাযথ পালনের জন্য অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইসির কমিশন সভার সদ্ধিান্ত অনুযায়ী চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ মে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আরো জানিয়েছিলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে।
প্রথম ধাপের তফসিলের পর পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে একেকটি ধাপের তফসিল হবে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রমজান মাস বিবেচনায় ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে রোজার শেষ দিকে।
ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোর নির্বাচনের ভোটের তারিখ জানিয়েছে ইসি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৩৪৪ উপজেলার নির্বাচনের ভোটের তারিখ প্রকাশ করেছিল ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা।
পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৩৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ। দেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি।
অনলাইন ডেস্ক :
যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায় তাদেরকে বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যারা ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ঘটায়, পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ায়, যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান, তাদেরকে বর্জন করুন, প্রতিহত করুন।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। ২১ আগস্ট আহত-নিহত পরিবারের কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশ’ এ সভার আয়োজন করে।
‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অর্থায়নে তারেক জিয়ার পরিচালনায় খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারেই পরিচালনা করা হয়েছিলো’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো মুশতাক এবং জিয়া। আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়া। গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আহত হয়েছেন, তার দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত, পাঁচশ’রও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সমগ্র পৃথিবী নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। কিন্তু সংসদে একটি শোক প্রস্তাব আনতে বা কোনো আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার অন্যতম সাক্ষী হাছান মাহমুদ বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন ভাগ্যক্রমে স্রষ্টার কৃপায় বেঁচে গেছেন। আমার শরীরে চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশটা স্প্রিন্টার আছে, অনেকের পাঁচশ’-ছয়শ’ আছে। হামলার পরে আমাদের নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধারে, নিহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এলে তাদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। মামলার আলামত নষ্ট করার জন্য হামলার স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়। এই ছিল অবস্থা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশ’ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনে ৫৪ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) ৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার ও বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার।
জাতীয় পার্টি থেকে শাহানুল করিম, সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান, জাকের পার্টির জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ইসলাম উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) ১০ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন মঈন (বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (জাতীয় পার্টি), অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা (স্বতন্ত্র), ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মাইনুল হাসান, (তৃণমূল বিএনপি), রাজ্জাক হোসেন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), আবুল হাসনাত (ইসলামী ঐক্যজোট), জহিরুল ইসলাম জুয়েল (জাকের পার্টি), কাজী মাসুদ আহম্মেদ (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসন:এই আসনে মোট ১২ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ফিরোজুর রহমান ওলিও (বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (জাতীয় পার্টি), সেলিম কবির (জাকের পার্টি), সৈয়দ নূরে আজম ( ইসলামী ফ্রন্ট), আব্দুর রহমান খান ওমর (জাসদ), মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদি (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), জহিরুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী জাহাঙ্গীর (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাস (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), সোহেল মোল্লা (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), জামাল রানা (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তারেক এ.আদেল (জাতীয় পার্টি), জাহাঙ্গীর আলম (জাকের পার্টি), শাহীন খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), বজলুর রহমান মিলন (বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি), সৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর): ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম ভূইয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন, মোবারক হোসেন দুলু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আক্তার হোসেন সাঈদ (জাসদ), মেহেদী হাসান (ইসলামী ঐক্যজোট) মো. জামাল সরকার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. মোস্তাক (স্বতন্ত্র), মো.জামসেদ মিয়া (জাকের পার্টি) ও ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, মুফতী হাবিবুর রহমান (তৃণমূল বিএনপি)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম। অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন (জাতীয় পার্টি), আব্দুর আজিজ (জাকের পার্টি), সফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), কবির মিয়া (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), সফিকুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনে সবসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিতও হন। তবে আমাদের দলের যারা পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদেরকে অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, দেশে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে এবং তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এর বাইরেও অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ৭ জানুয়ারি যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা যেটি তৈরি হয়েছে, এতে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালি আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে কয়েকজন দলীয় নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এরপর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা, মনোনয়নপত্র জমা দেয়া এগুলোর মাধ্যমে আসলে পুরো দেশ নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আছে। এ ডামাডোলের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক সেটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে।
বিএনপি গতকাল বলেছে, কয়েকদিনের মধ্যে সরকারের পতন হবে, এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি এখন দৈব-দূর্বিপাকের ওপর নির্ভর করছে। দেশে তারা এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে হাসির পাত্র করে তুলেছে।
তিনি বলেন, সরকারের পতন নিয়ে তো বহুদিন ধরে বিএনপি দিনক্ষণ ঘোষণা করে। বিএনপি বলে, অমুক দিন সরকারের পতন হবে। গতবছর ৩০ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এ বছর ২৮ অক্টোবরও দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এভাবে ঘোষণাটাই একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এমন যে তারা কোন দৈব-দূর্বিপাকের ওপর নির্ভর করে বলে, অমুক দিন কিছু একটা হবে। যেমনটা, অমুক দিন বৃষ্টি হবে, অমুক দিন বজ্রপাত হবে, অমুক সময়ে সাইক্লোন হবে। বিএনপির ঘোষণাও ঠিক সেইরকম।
বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি থাবার যে কথা বলা হচ্ছে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও বিদেশি থাবা ছিল, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সময়েও বিদেশি থাবা আছে। এখন যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখনও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে, আমাদের সঙ্গে সবার সম্পর্ক চমৎকার।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সাথে মিত্রতা। এ নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি। আমাদের সঙ্গে সমস্ত দেশের ভালো সম্পর্ক। আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই।
এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চিশতি, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাল-সবুজের পতাকা মিছিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শহরের লোকনাথ দিঘীর পাড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি এড. আবু কাউসার, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তানজিন আহমেদ,শেখ মো. মহসিন, হাজি মো. মহসিন, সেলিম রেজা হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, কাচন মিয়া, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, পরাজিত ঘাপটি মারা পতিত শক্তি যেন নতুন করে স্যাবোটাজ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে রাতের বেলায় কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল দিত, আর দিনের বেলায় ওঝা হয়ে ঝাড়তো। আওয়ামী লীগ প্রতারণার মাধ্যমে রাজনীতি করতো। এখন আওয়ামী লীগ নাই।
তিনি আসন্ন দুর্গা পূজায় মুসলমানদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই না আর কোনো সংখ্যালঘুদের ওপর কেউ নির্যাতন করুক। এখন আলেম সমাজ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে জালিম ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বাংলার জমিনে এক ইঞ্চি মাটি আশ্রয়ের জন্য খুঁজে পায়নি। তিনি তার পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।
মামুনুল হক এসময় ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, গত ১৫ বছর আপনারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে এক চুল পরিমাণ চিন্তা করেননি। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এ দেশের বুকের ওপর দিয়ে বিনা মূল্যে ট্রানজিট গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর মুখে অভিন্ন বাঁধ তৈরি করেছেন। শুকনা মৌসুমে মরুভূমি আর বর্ষা মৌসুমের বানের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের কেনা গোলাম শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। এখন বলবো, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান। বাংলাদেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সমতার ভিত্তিতে সদাচরণ পাবেন। আবার যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেন সেই নাক আমরা কেটে দিব।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাদারীপুর শাখার সভাপতি হাবিব আহমাদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রিবর্দিও পীর মাওলানা আলী আহমাদ চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলা জালালুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।