রোজার মাসে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল: ইসি সচিব

রাজনীতি, 27 February 2024, 251 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল রোজার মাসে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ অফিসকক্ষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তালিকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের তফসিল দিতে ৪০ থেকে ৪২ দিন সময় লাগে।

এ ক্ষেত্রে রোজার মাসেই তফসিল ঘোষণা হবে। সেটা পরবর্তী কমিশন সভায় নির্ধারণ করা হবে।
৯ মার্চ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের (রংপুর ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন) প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ২৩৩ নির্বাচন হলেও বড় নির্বাচন মাত্র কয়েকটা। সেগুলোতে আচরণবিধি যথাযথ পালনের জন্য অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইসির কমিশন সভার সদ্ধিান্ত অনুযায়ী চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ মে।

এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আরো জানিয়েছিলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে।

প্রথম ধাপের তফসিলের পর পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে একেকটি ধাপের তফসিল হবে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রমজান মাস বিবেচনায় ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে রোজার শেষ দিকে।

ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোর নির্বাচনের ভোটের তারিখ জানিয়েছে ইসি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৩৪৪ উপজেলার নির্বাচনের ভোটের তারিখ প্রকাশ করেছিল ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা।

পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৩৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ। দেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সৈয়দ একরামুজ্জামান

নাসিরনগর, রাজনীতি, 30 November 2023, 606 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।

তিনি আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নির্বাচনে এসেছি। আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল- সেটা আমার মন্তব্য করার বিষয় না। আমি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে বেশি আশ্বাস আর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও আমার উপর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপ ছিল নির্বাচন করার।

সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সরকারের উপর চাপ আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। তাই আমি জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।

বিজয়ী হলে বিএনপি যদি দলে ফেরাতে চায় তাহলে ফিরবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই এবং তখন যদি কেউ আমাকে টানে তখন আমি দেখব কোথায় যাব, কী করব।

বিএনপির বিশ্বাসঘাতক বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জায়গা থেকে বলতেই পারে, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতে চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। আমার ব্যাপারে বিএনপি কি বললো না বললো তা আমি মন্তব্য করবো না।

উল্লেখ্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আর.এ.কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর তিনটার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এর আগে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।

মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ অন্যান্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর বুধবার বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে নাসিরনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ফের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মন্টু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 27 June 2024, 61 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ১৮ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

২৬ জুন বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এই কমিটি ঘোষণা দেন।

নতুন কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটির সহ-সভাপতি পদে মো. হেলাল উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন-২, বেগম নায়ার কবীর (মেয়র ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) বহাল রয়েছেন।

কমিটির অন্যান্য সহ-সভাপতিরা হলেন সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনছারী, সোমেশ রঞ্জন রায়, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মো. শাহজাহান আলম সাজু, ডা. আবু সাঈদ, প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের, কাজী হারিসুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল। কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহআলম (হালদারপাড়া), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ডিউক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিল, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, উপ-দফতর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন যারা
আনিছুল হক এমপি (আইনমন্ত্রী) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি (বাঞ্ছারামপুর) অ্যাডভোকেট শাহআলম (সাবেক সংসদ সদস্য), মইনউদ্দিন মঈন এমপি (সরাইল-আশুগঞ্জ), এবাদুল করিম বুলবুল (সাবেক সংসদ সদস্য) ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (সাবেক সংসদ সদস্য) হাজী মো. মুসলিম মিয়া, শিউলি আজাদ, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, আল-আমিনুল হক আলামিন, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, এম এ এইচ মাহবুব আলম, জায়েদুল হক, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, আবুল হোসেন, অ্যাড. লোকমান হোসেন, অ্যাড. বাকির উদ্দিন, মুর্শেদ কামাল, আবু আব্বাস, মাহমুদুর রহমান জগলু, সাইদুজ্জামান আরিফ, অ্যাড. রাশেদুল কাউসার জিবন, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. শিব শংকর দাস, গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবীব, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, হাজী বাবুল মিয়া, ডা. আশীষ চক্রবর্তী, মিনারা আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাজির মিয়া, হাসান সারওয়ার, মোবারক হোসেন রতন। জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়াকে।

উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য যারা
আরমা দত্ত এমপি, অ্যাডভোকেট আবু আমজাদ, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই, আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেবজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ, অমৃত লাল সাহা, সুহাস দাস চৌধুরী, রেহেনা বেগম রানী, মমতাজ বাশার, সুভাষ পাল, মিজানুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, এম এ তাহের, এ কে এম একরামুজ্জামান এমপি ও বোরহানউদ্দিন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নির্দেশক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, নব-নির্বাচিত এই কমিটির সকল সদস্য নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগক আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন নেতৃত্ব যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন: সমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ

রাজনীতি, 12 July 2023, 363 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হতে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ ১২ জুলাই বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি নেতারা এ কথা বলেন। বেলা ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। সেই কারণে আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশে মানুষ নেই।

আবদুস সালাম বলেন, গত ১৪-১৫ বছরে শেখ হাসিনা কোনো কথা শুনেননি। তাই উনার এখন কোনো কথা বলারও দরকার নাই। সরকারের কতিপয় কর্মকর্তা এখনো আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। তিনি তাদের সতর্ক করেছেন।

সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিনও। সমাবেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ দাবি করেছেন, তাদের আজকের সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে- আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ১৭ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বরকতউল্লাহ বলেন, এজন্য আপনাদের বিচার হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি নিজে ঠিক করবেন, নাকি আমরা ঠিক করে দেব; আপনাকে যেতেই হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।

নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি আদায়ের প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছেন।

সকাল থেকেই দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে যায় সমাবেশস্থল। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তৈরি মঞ্চে গান পরিবেশন করা হয়। ফাঁকে ফাঁকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বক্তব্য দেন।

১০ মন্ত্রী ৪৫ এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্রের টক্কর

জাতীয়, রাজনীতি, 4 January 2024, 453 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিহীন নির্বাচনেও সহজে পার পাচ্ছেন না সরকারের ১০ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। এ দলে আছেন বর্তমান সংসদের আওয়ামী লীগের ৪৫ এমপিও। আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) চার প্রার্থীরও পরিস্থিতি বেহাল। নৌকা ও লাঙ্গলের এসব প্রার্থীর সামনে ‘দেয়াল’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সাত ও জাতীয় পার্টির একজন মনোনয়নবঞ্চিত এমপি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে পাওয়া আসনভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে। প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন সরকারি দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রতিনিধিদের তথ্য বিশ্লেষণেও পাওয়া গেছে এমন আভাস।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে বেশির ভাগ আসনেই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেকেই জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রের পদ ছেড়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তাদের কেউ কেউ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ঘরোয়া বিবাদ।

চ্যালেঞ্জের মুখে ১০ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চাঁদপুর-৩ আসনে। এখানে তাঁর সঙ্গে লড়ছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া। এই আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। ড. শামছুল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির নাজুক অবস্থা। তাঁর সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি খালেকুজ্জামান তোতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমে উঠেছে।

পিরোজপুর-১ আসনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং দলের কেন্দ্রীয় সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি এগিয়ে থাকলেও তাঁকে স্বস্তি দিচ্ছেন না দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম এ আবদুল আউয়াল।

গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এমপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের মহানগর শাখার সাবেক সহসভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন।

নাটোর-৩ আসনে কিছুটা ঝুঁকিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। তাঁর সঙ্গে সমানভাবে এগোচ্ছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক।

মেহেরপুর-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

যশোর-৫ আসনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি ইয়াকুব আলীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফ আহমেদ এমপি ময়মনসিংহ-২ আসনে এগিয়ে থাকলেও চিন্তামুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহাবুব আলী এমপি রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

শরীয়তপুর-২ আসনে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্নেল (অব.) শওকত আলীর ছেলে খালেদ শওকত আলী।

ঝুঁকিতে ৪৫ এমপি

দিনাজপুর-১ আসনে বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দলের পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি জাকারিয়া জাকা শক্ত প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম বাবু এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের সদর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন। দিনাজপুর-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পার্বতীপুরের চণ্ডীপুর ইউনিয়ন শাখার সাবেক আইন সম্পাদক হযরত আলী বেলাল। এ আসনেও দুই প্রার্থীর টক্কর চলছে।

নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর এমপির সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। গাইবান্ধা-৩ আসনে সমান গতিতে এগোচ্ছেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের সাদুল্লাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান বিপ্লব ও স্থানীয় নেতা আজিজার রহমান। চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় প্রতিদিনই নির্বাচনী হিসাব বদলে যাচ্ছে বগুড়া-১ আসনে। এখানে দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান এমপির সঙ্গে লড়ছেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় নেতা শাহজাদী আলম লিপি ও জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ শোকরানা।

বগুড়া-৬ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপির সঙ্গে সমান তালে লড়ছেন দলের শহর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপির বিরুদ্ধে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। শিবগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমপি গোলাম রাব্বানী। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. শিমুল এগিয়ে থাকলেও সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান এমপির সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি কিছুটা নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া মাহি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়েশা আক্তার ডালিয়া এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুণ্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ও আক্তারুজ্জামান সমান গতিতে এগোচ্ছেন। এখানে চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া প্রায় সমান গতিতে এগোচ্ছেন ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই এমপি ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল, ঝিনাইদহ-২ আসনে তাহজীব আলম সিদ্দিকী এমপি ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহিদী মহুল, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজীম আনার এমপি ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আবদুর রশিদ খোকন। শেখ আফিল উদ্দিন এমপি যশোর-১ আসনে এগিয়ে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদ এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে।

যশোর-৬ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির সঙ্গে সমান গতিতে লড়ছেন কেশবপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ এইচ এম আমির হোসেন। বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপির অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও পিছিয়ে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার। খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপির সঙ্গে তীব্র লড়াই হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারার। খুলনা-৫ আসনে ডুমুরিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপির সঙ্গে মূল লড়াই হবে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেনের। এখানে নৌকার প্রার্থী কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।

বরগুনা-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার টুকু ও সাবেক এমপি গোলাম সারোয়ার ফোরকানের ত্রিমুখী লড়াই চলছে। তীব্র প্রতিযোগিতা হতে পারে পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা সাজু এমপির সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনের; পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিববুর রহমান মহিব এমপির সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদার এবং বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুর মধ্যে ভোটের লাড়াই হতে পারে।

পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন মহারাজ পিছিয়ে নেই। ময়মনসিংহ-১০ আসনে ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপির সঙ্গে লড়ছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. আবুল হোসেন দীপু ও গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ড. আবুল হোসেন দীপুর। নেত্রকোনা-৩ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপির সঙ্গে লড়াই করছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুই এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও মঞ্জুর কাদের কোরায়শী।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান এমপি আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার পাল। মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম এমপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জাহিদ আহমেদ টুলু এবং সাবেক এমপি শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল।

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপির বিরুদ্ধে লড়াই জমিয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর পৌরসভার সাবেক মেয়র ফয়সাল বিপ্লব। ঢাকা-১ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, ঢাকা-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপির বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. হাবিবুর রহমান সমান গতিতে এগোচ্ছেন।

নরসিংদী-১ আসনে লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান ভূঁইয়া ও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। সিলেট-৩ আসনে সমান গতিতে লড়ছেন হাবিবুর রহমান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির সঙ্গে মূল লড়াই হচ্ছে কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন ও সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিনের। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীও এ আসনে লড়ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিওর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এছাড়া কুমিল্লা-২ আসনে সেলিমা আহমাদ মেরী এমপির বিরুদ্ধে সমান তালে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের হোমনা উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৭ আসনে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক আলী আশরাফের ছেলে মুনতাকিম আশরাফ টিটু, চাঁদপুর-৪ আসনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া।

চাঁদপুর-৫ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। প্রায় একই চিত্র নোয়াখালী-৪ আসনেও। এখানে একরামুল করিম চৌধুরী এমপির সঙ্গে লড়ছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে। এখানে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দক্ষিণ জেলা শাখার সহসভাপতি মুজিবুর রহমান ও দক্ষিণ জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ কবির লিটন।

জাপার চার প্রার্থী বেকায়দায়

নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না জাতীয় পার্টির মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি। এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মারজিয়া সুলতানা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেলের মধ্যে।

নীলফামারী-৪ আসনেও অভিন্ন চিত্র। আওয়ামী লীগের সমর্থন পেলেও জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান এমপির অবস্থা তেমন ভালো না। তাঁর সঙ্গে লড়াই হবে সৈয়দপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুখছেদুল মুমিন ও জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলমের।

রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। তাঁর সঙ্গে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি ও গঙ্গাচড়ার সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুর। তবে স্থানীয় প্রার্থী হওয়ায় আসাদুজ্জামান বাবলু কিছুটা সুবিধা পাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-৫ আসনেও লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে এ আসনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। তাঁর সঙ্গে সমান তালে লড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের নাজিম উদ্দিন।

মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান আট এমপি এগিয়ে

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। এখানে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। মনোয়ার হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।

নওগাঁ-৩ আসনে ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম এমপি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরও নির্বাচনে আছেন। তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক এমপি ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মাহফুজা আকরাম চৌধুরী মায়ার ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে।

ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা শাখার সহসভাপতি শফিকুল আজম খান চঞ্চল এমপি। তাঁর সঙ্গে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সালাহ উদ্দিন মিয়াজীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।

জামালপুর-৪ আসনে ডা. মুরাদ হাসান এমপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান হেলাল।

ময়মনসিংহ-৯ আসনে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনালের (অব.) আব্দুস সালামের সঙ্গে সমান তালে লড়ছেন দলের বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।

বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রণজিত চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। তবে এখানে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে শাল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী ও বর্তমান এমপি জয়া সেনগুপ্তার জমজমাট লড়াই চলছে। জয়া সেনগুপ্তা আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে ভাগাভাগি হলেও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর ভাগ্য খোলেনি। তবে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহম্মদ সাদিকের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন।

নতুন ও পুরোনোর লড়াই

পঞ্চগড়-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দবিরুল ইসলাম এমপির ছেলে মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে সমানতালে লড়ছেন বালিয়াডাঙ্গির সাবেক চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল।

লালমনিরহাট-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাবেদ হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবার সঙ্গে শক্ত লড়াই করছেন জাতীয় পার্টির আবদুস সোবহান ও আক্কাস আলী সরকার। এখানে আক্কাস আলী সরকার কিছুটা এগিয়ে। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের রৌমারির যাদুরচর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

নাটোর-৪ আসনে বড়াইগ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে সমানতালে লড়ছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন। প্রতিযোগিতা থাকলেও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে জয়ের সম্ভাবনা ডা. আব্দুল আজিজ এমপির। তাঁর সঙ্গে লড়াই হবে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইটের সঙ্গে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রয়েছেন মেহেরপুর-২ আসনে দলের জেলা শাখার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মকবুল হোসেন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপি এগিয়ে থাকলেও পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু পিছিয়ে নেই।

সাতক্ষীরা-১ আসনে কলারোয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে লড়ছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মুজিবুর রহমান সরদার মুজিব, তালা উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত। এখানে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও দিদার বখতের মধ্যে লড়াই হতে পারে। সাতক্ষীরা-৪ আসনে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলনের সঙ্গে লড়াই হবে বিএনএম প্রার্থী ও সাবেক এমপি এইচ এম গোলাম রেজার। টাঙ্গাইল-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. কামরুল হাসান খানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন আতাউর রহমান খান এমপির ছেলে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে কালিহাতী আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ও সাবেক এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। শেরপুর-৩ আসনে শ্রীবরদী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ ডি এম শহিদুল ইসলাম ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঝিনাইগাতীর সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহ হেল ওয়ারেজ নাইম সমান গতিতে লড়ছেন। প্রতিদিনই ভোটের রং বদলাচ্ছে ময়মনসিংহ-৪ আসনে। এখানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শাখার সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে সিরাজদীখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির সমান গতিতে এগোচ্ছেন।

এ ছাড়া হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন ঢাকা-৪ আসনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসনে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্নার বিরুদ্ধে সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল ও ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, ঢাকা-১৪ আসনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন, সিলেট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশ্বনাথের পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান, কুমিল্লা-১ আসনে দলের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুরের বিরুদ্ধে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান। ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মৌলভীবাজার-২ আসনে। তিন প্রার্থী হচ্ছেন– দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কুলাউড়ার সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম শফি আহমদ সালমান ও তৃণমূল বিএনপির সাবেক এমপি এম এন শাহীন।

বর্তমান দুই এমপির যুদ্ধ

বর্তমান সংসদের দুই সদস্য পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়েছেন কুমিল্লা-৬ আসনে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আনজুম সুলতানা সীমা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুটা এগিয়ে আছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আনজুম সুলতানা সীমা দলের জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজল খানের মেয়ে।

ভাইবোনের প্রতিযোগিতা

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বোনের সঙ্গে ভাইয়ের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম। এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। সূত্র : সমকাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে নৌকার ফয়জুর রহমান বাদল জয়ী

নবীনগর, রাজনীতি, 8 January 2024, 613 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।

৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ জন। আসনটির ১৪৯ ভোট কেন্দ্রের ৯৭৭টি ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।