অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচিত ৫০ জন সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৩টায়।
এ দিন সংসদ ভবনের নীচতলায় শপথকক্ষে তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। প্রথমে সরকারি দল আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জন ও পরে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি মনোনীত দুইজন সংসদ সদস্য শপথ নেবেন।
শপথগ্রহণ শেষে তারা শপথ বইয়ে সই করবেন। তারা বিকাল পৌনে ৫টায় সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সংরক্ষিত নারী আসনে কোনো প্রার্থীই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায়, নির্বাচন কমিশন সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে। এর পর গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটের কপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। জোট শরিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনে ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে ২টি আসনে।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপিরা হলেন-
১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), ২. দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) – আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭. রুনু রেজা (খুলনা), ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা), ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা), ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) – সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, ১৯. বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), ২০. শবনম জাহান (ঢাকা), ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা), ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা), ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) – আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) – সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ২৭. সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)- নির্বাচনে পরাজিত, ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), ৩৬.নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) – আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত, ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর), ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী), ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) – আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে আগেরবারের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জনগণের পাশে থাকা, জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। তারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমরা তাদের রক্তদানকে বৃথা যেতে দেব না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ ধূলিসাৎ করতে চাইলে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। আমাদের প্রতিরোধের ভাষা হবে জনগণের উপকার করা, জনগণের পাশে থাকা। প্রতিরোধের ভাষা হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কথা বলা। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, এটাই আজকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ। আমি সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। আশা করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান সমান মর্যাদা পাবে। দুঃখজনক হলেও সত্য পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর আমরা দেখেছি যেই স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা মোটেও ইচ্ছুক ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর রক্ত বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন যখন বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো চেষ্টা করা হয় নাই এবং বরঞ্চ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করার সকল চেষ্টা চলছে, তখনো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই আওয়ামী লীগ কর্মীরাই তাদের সব শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে। আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এটা আমাদের জন্য বিরাট আনন্দের দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী।
এ সময় কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খাঁর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ছাইদুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য রুমানুল ফেরদৌস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের দিনাজপুর সদরের ট্রাক চাপায় ইজিবাইক চালক ইকরামুল নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবির) দুই নেপালী ছাত্র। আহতদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবরে সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের ফ্রেন্ডস অটো রাইস মিলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইজিবাইক চালক ইকরামুল হক (৪০) দিনাজপুর শহরের রামনগর মহল্লার নিজামউদ্দিনের ছেলে। আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নেপালী ছাত্র হলেন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদে অধ্যায়নরত ২১তম ব্যাচের নেপালি ছাত্র কফিল গাঈ (২২) এবং ১৭তম ব্যাচের মকবুল হোসেন (২৫)।
স্থানীয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কে দিনাজপুর শহর থেকে ইজিবাইকে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ফ্রেন্ডস অটো রাইস মিলের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যাত্রীবাহী ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক একরামুল হক নিহত হন। গুরুতর আহত হন ইজিবাইকে থাকা হাবিপ্রবির দুই নেপালি শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে নিহত একরামুল হককে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত দুই হাবিপ্রবি ছাত্রকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকটি আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকে রাখে পরিস্থিতি শান্ত করে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে রুবেল মিয়া (২২) নামের এক গ্রিল মিস্ত্রি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। নিহত রুবেল মিয়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের মো. ধানেশ উদ্দিনের ছেলে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের আজমতপুর উত্তর পাড়া মোড়ল বাড়ি সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফায়েজুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বাবা ধানেশ উদ্দিন জানান, রুবেল পাঁচ বছর যাবত কালীগঞ্জের আজমতপুর এলাকায় গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে কাজ করতো। গ্রীল দোকানের মালিক আমাদেরকে ফোনে জানিয়েছেন কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে মারা গেছে।
নীলফামারী প্রতিনিধি :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, কোনো নির্বাচন হতেও দেবে না।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্থানীয় টাউন হলে ৯ বছর পর দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরে বলেন, চুরি আর পাচার ছাড়া কিছুই করছে না বর্তমান সরকার। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ খেতে পারছে না। ভণ্ডামির রাজনীতি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আওয়ামী লীগ ভিন্নভাবে বাকশাল কায়েম করছে।
৭২ এ নিজেদের করা সংবিধান কেটেছেটে নিজেদের মতো করে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে আগের মতো দেশ গড়তে তারেক রহমানে নির্দেশে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে টেকব্যাক বাংলাদেশ শ্লোগান তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১০ টাকার চাল এখন ৮০ টাকা। আদানী গ্রুপের বিদ্যুৎ আনছে। ৮ টাকার বিদ্যুৎ এখন ১৬ টাকা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আওয়ামী লীগ ৭৩ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনেছিলো। প্রথমে রাজি না হলেও মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া মেনে নিয়েছিলেন। ৪ বার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, এখন তারা আর ভোটে জিতবে না বলে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।
এসময় সৈয়দপুর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ এসএম ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকারসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।