কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই কৃতি সন্তান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 March 2024, 179 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি দুজন ডেপুটি গভর্ণর নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম- দুজনেরই বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তাদের ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরইমধ্যে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছেন তারা।

২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের যোগদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান খুরশীদ আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের স্নাতকোত্তর এবং পরে এমবিএ করেন। ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন তিনি। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, কৃষিঋণ বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট, সচিব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন খুরশীদ আলম। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে-মেয়ের বাবা তিনি।

এছাড়া ডেপুটি গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মো. হাবিবুর রহমানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। জেলার বিজয়নগর উপজেলায় অবস্থিত খিরাতলায় তার গ্রামের বাড়ি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ড. হাবিবুর রহমান।

হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ, মনিটারি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনিটে (বর্তমানে মনিটারি পলিসি বিভাগ) কাজ করেছেন। পরে তিনি বিশ্বব্যাংকের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি অ্যানালাইসিস ইউনিটে সিনিয়র রিসার্চ ইকোনমিস্ট হিসেবে নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে উপমহাব্যবস্থাপক এবং সবশেষ গভর্ণর সচিবালয়ের পলিসি সাপোর্ট উইংয়ে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।

ড. হাবিবুর রহমানের সহধর্মিণী ড. সায়েরা ইউনুস বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে এক মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর কর্মীসভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 10 May 2024, 74 Views,

দুর্নীতি-বেকারত্বের বৃত্ত ভাঙতে তারুণ্যের উত্থান ঘটানোর আহ্বান জানালেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস।

আজ ১০ মে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় এ আহ্বান জানিয়ে তাপস দাস বলেন, “বাংলাদেশ আজ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পুঁজিবাদী আগ্রাসনে রাষ্ট্রযন্ত্র দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। এর ফলে যুব সমাজ বেকারত্বের যে অভিশাপে ভুগছে তা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না, বরং আরো বাড়ছে। কর্মসংস্থানের পথ না খুলে উল্টো কর্মের পথ বন্ধ করছে। বাড়ছে বেকারের মিছিল। ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের খপ্পরে পড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে তারুণ্যকেই লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সেই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।”

জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মো. বাছির মিয়া, জেলা নেতা কামাল হোসেন। কর্মী সভা সঞ্চালনা করেন জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।

এর আগে সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আদালত বর্জনের সময় বাড়ালেন আইনজীবীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 24 January 2023, 468 Views,

দুই বিচারককে বদলি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে বদলি ও নাজির মুমিনুলের শাস্তির দাবিতে আইনজীবীদের বেধে দেওয়া সময়সীমা আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আজ ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সাধারণ সভা শেষে এ তথ্য জানান আইনজীবীরা।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানবীর ভূঁইয়া বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ ছাড়া অন্য আদালতে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সভায় তানবীর ভূঁইয়াকে প্রধান করে অন্য আইনজীবীদের নিয়ে ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বিচারক শারমিন নিগার ও ফারুককে বদলি করা না হলে এই উপকমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রসঙ্গত, শীতকালীন ছুটির আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। এদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলা না নেওয়ায় ১ জানুয়ারি বিচারক ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা।

এদিকে গত ২ জানুয়ারি ওই বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ৫ জানুয়ারি তিন কার্যদিবস কর্মবিরতির ডাক দেন আইনজীবীরা। এরপর থেকে আদালতে অচলাবস্থা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ হাজার ৬৬৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 26 January 2024, 233 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মধু আহরণে ফুলে ফুলে নাচানাচি করছে মৌমাছি। তবে অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা দিয়েছে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে। চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় ১৩৭ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে আশপাশে এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসেন এই সরিষা ক্ষেতে ফুল দেখতে। অনেকেই সরিষা ক্ষেতে ঢুকে শখ করে ছবি তুলেন। কেউ সেলফিতে ব্যস্ত কেউবা পরিবারের ছবি তুলতে ব্যস্ত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৮ হেক্টর জমিতে। তবে গত মৌসুম থেকে চলতি মৌসুমে ১৩৭ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ৪০৫০ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ১০৯২ হেক্টর, নাসিরনগর উপজেলায় ৬০৫০ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১১২০ হেক্টর, বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ১৮৫০ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর এবং আখাউড়া উপজেলায় ৪৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকরা তাদের জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, টরি-৭ জাতের সরিষার চাষ করেছে।

সরজমিনে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা, সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর, মাছিহাতা ইউনিয়নের গাজারিয়া গ্রাম এবং নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হলুদের সমারোহ। দিগন্ত জোড়া ফসলী মাঠ হলুদ ফুলে শোভিত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার ফুল। প্রতিটি সরিষার জমিতে মৌমাছির গুঞ্জন। সরিষার হলুদ ফুলের হাসিতে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বারি-১৪, ১৭ ও ১৮ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের পর ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। সরিষা উত্তোলন করে ফের একই জমিতে বোরো আবাদ করা যায়। সরিষা গাছের পাতা মাটিতে পড়ে জৈব সারে পরিণত হয়। এতে জমির উর্বরতা বাড়ে। সরিষা চাষে উৎপাদন ব্যয়ও কম। সরিষা চাষের পর একই জমিতে ধান চাষ করলে সারও কম দিতে হয়। তাই এখানকার কৃষকরা বর্তমানে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

সরিষা চাষী হক মিয়া, জাবেদ মিয়া ও আব্দুস সামাস জানান, আগে তারা স্থানীয় টরি সেভেন, টিএস সেভেন্টি টু, এসএস সেভেন্টি ফাইভ জাতের সরিষা চাষ করতেন। চলতি মৌসুমে তারা অধিক ফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। এই জাতের সরিষা ৮৫-৯০ দিনে ঘরে তোলা যায়। ফলন হয় বেশি। সরিষা তোলার পর ওই জমিতে আবার ইরি আবাদ করা যায়।

নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের সরিষা ক্ষেতে ছবি তোলতে আসা শতাব্দী চক্রবর্তী তমা জানান, রাস্তার পাশে সরিষা ক্ষেত দেখে খুব ভালো লাগলো। সেই ভালো লাগা থেকে গাড়ি থামিয়ে সরিষা ক্ষেতে ছবি তোলতে নেগে গেলাম।

সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের কৃষক রজব মিয়া জানান, তিনি গত ৫ বছর ধরে তার ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে আসছেন। চলতি বছর তিনি তার জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। তিনি জানান, সরিষার চাষ করতে তার বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমিতে সরিষার গাছগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করি এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মুন্সি তোফায়েল আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৮ হেক্টর জমিতে। তবে গত মৌসুম থেকে চলতি মৌসুমে ১৩৭ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যদি না হতো তাহলে সরিষা লক্ষ্যমাত্রার থেকে আরও বেশি চাষাবাদ হতো। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করে আসছি।

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।

জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় জেলাপরিষদ থেকে সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে : জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 19 January 2023, 503 Views,

জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ বিবেচনায় জেলাপরিষদ থেকে সকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে জেলার সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সাথে সমন্বয় করে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে উন্নয়ন বরাদ্দ বন্টন করা হবে।

গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদের ২য় মাসিক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন। জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া ও কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ও পৌর মেয়র শিব শংকর দাস, আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা মেয়র তফাজ্জল হোসেন, নির্বাচিত সদস্য আব্দুল আজিজ, মোঃ নাছির উদ্দিন, সংরক্ষিত সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী ও সনি আক্তার প্রমুখ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি