চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে প্রান্তিক শিশুদের অধিকার, উন্নয়ন ও মননশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে উপজেলার জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে “মিট দ্যা চিলড্রেন” শীর্ষক কর্মশালা আজ ২ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“শিশুরা দেশের সব চাইতে মূল্যবান সম্পদ, কেননা স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে তাদের হাত ধরেই আসবে আগামী দিনের সমষ্ঠিগত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন “মিট দ্যা চিলড্রেন” বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আরিফ ইকবাল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আওতাদ হোসেন খানঁ, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী মোঃ মাহবুবুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, মোঃ শহীদ মাষ্টার, বিপ্লব দেব।
দিনব্যাপী কর্মশালা পরিচালনা করেন বিশিষ্ট মোটিভেশনাল স্পিকার ও লিডারশীপ ট্রেইনার মো: এখলাছ উদ্দিন।
উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিক্ষা পরিকল্পনা, খেলাধূলা, বিজ্ঞান চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃষ্ঠিশীল বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া ওরফে ছত্তর মিয়া (২৮) নামে দুই মাদকসেবীকে ১ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইমরানুল হক ভূইয়া এই কারাদণ্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আরিফ মিয়া উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের চান্দ আলীর ছেলে আরিফ মিয়া ও ছাত্তার মিয়া ওরফে ছত্তর মিয়া একই গ্রামের আরাজ মিয়ার ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আরিফ মিয়া ও ছাত্তার মিয়া ওরফে ছত্তর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়ে মাদক সেবন করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিরনগর থানার এস.আই বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ দুপুরে লক্ষীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে মাদক সেবনকারী আরিফ মিয়া ও ছত্তর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একই সাথে দুইজনকেই ১০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উপজেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন (সংগ্রাম) ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।
২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ার হোল্ডিং ৪ কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ার হোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত ৫ বছরের দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালঙ্কার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০টাকা। এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।
এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা ও অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য হতে চান প্রভাষক ইমরান হাই জাবেদ। আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিশু ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।
মতবিনিময়কালে প্রভাষক ইমরান হাই জাবেদ বলেন, আজ আপনাদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-১ (নাসিরনগর) আসনে সংসদ সদস্য হতে বাংলাদেশ আওয়ালীগরের মনোয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করলাম।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দলের মনোনয়ন চাইব। তিনি আমাকে যোগ্য মনে করলে মনোনয়ন দিবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জানা যায়, ইমরান হাই জাবেদ সিলেটের ওসমানীনগরে বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ হাই স্কুল এন্ড কলেজে বর্তমানে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি ২০০১ সালে উপজেলার নুরপুর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু ও কিশোর পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া১৯৯৯ সালে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও ২০০৩সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন।পরবর্তীতে ২০১৩ সালে তিনি গোকর্ণ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০২২সালে গোকর্ণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে তার পরিবারের ভূমিকা ও নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথাও তুলে ধরেন।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসিরনগর সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিত দাস, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রেজা, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া, পুতুল রানী দাস, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, সফিকুল ইসলাম, মোঃ ফারুক মিয়া, রুবেল মিয়া, মোঃ আক্তার মিয়া ও মনসুর আহমেদ ভূইয়া, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া, পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনাথ বন্ধু দাসসহ আইনশৃংখলা কমিটির সদস্যগণ।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সরকারি খাস জমির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, মাদক-জুয়া, চুরি-ডাকাতি, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, নারী-নির্যাতনসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয় ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।