চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চাপায় মো. আয়াত (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
৩ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাড়াতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আয়াত উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মামুন সিকদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় পাড়াতলী এলাকায় আইসক্রিম কিনতে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল আয়াত। এ সময় স্থানীয় রবিউল নামে এক যুবকের বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের চাপায় আয়াত গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আয়াতের মা ফারজানা আক্তার এনি বলেন, আয়াত আমার সঙ্গে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এক যুবকের দ্রুতগতির মোটরসাইকেল আয়াতকে চাপা দেয়। এতে আমার ছেলে মারা গেছে। আমাদের তো কোনো দোষ ছিল না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে ১ সন্তানের জননী, আছমা বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আছমা বেগম রাধানগর গ্রামের প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী।
এ ব্যাপারে উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এটি হত্যাকান্ড বলে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছেন। ওই মহিলার ৪ বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছি। তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছে শুনেছেন আছমা বেগম সকাল ১০টার দিকে তার শ্বশুরকে পানি দিয়ে নিজ ঘরে চলে আসেন। সকাল ১১টার দিকে তার ৪ বছরের মেয়ে মাদরাসা থেকে ঘরে এসে দেখে তার মায়ের গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসললামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন নেছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বাঙ্গালী জাতির সকল অধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন।
গতকাল ২৪ জুন শুক্রবার বিকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কারণেই জাতির জনকের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন, ৭০-এর নির্বাচন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালী জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে সকল অধিকার ছিনিয়ে এনেছে।
তার সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গেছে। সকল কিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে বলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে বিদেশে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন সামনের নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। জনগণ দেশের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ মনে করে।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম শহিদুল হক বাবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কৃষকলীগ সভাপতি মিন্টুর রঞ্জন সাহা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে। তাই ভেঙে ফেলা হয় বেইলি সেতু। এর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। বিকল্প রাস্তা নির্মাণ না করেই সেতুটি ভেঙে ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের বেইলি সেতুটি গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভেঙে ফেলেন ঠিকাদার। ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর-কুমিল্লা সড়কে ছিল সেতুটি। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে পাশের কাঁচা মাঠ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী থেকে বারিয়াদহ বিলের সঙ্গে যুক্ত খালের ওপর একটি বেইলি সেতু ছিল। ১৯৯০ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর, দেবীদ্বার, নবীনগর, হোমনা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ফরদাবাদ গ্রামের শান্তির বাজারসংলগ্ন খালটির ওপর ৩১ দশমিক ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করছে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স (জেবি) নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত ২ জানুয়ারি কার্যাদেশ পায় প্রতিষ্ঠান দুটি। কাজটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি শেষ করতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো বেইলি সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও নির্মাণ হয়নি বিকল্প সড়ক। এ কারণে রাস্তার পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। মাঠের নরম মাটিতে যানবাহন প্রায়ই আটকে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্ত ও মাটি কাদা হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুই মাস ধরে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। মাটি কাটার কারণে সেতুর দক্ষিণ পাশের ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল মার্কেটের দুটি কলামের মাটি সরে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। উত্তর পাশের আলমগীর হোসেনের বাড়িতে নির্মিত মার্কেটের তলার মাটি সরে গিয়ে মার্কেটে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানের ভাড়াটিয়া তাদের মালপত্র নিয়ে সরে গেছে।
ফরদাবাদ গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু হলেও কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানবাহনগুলো স্কুলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন চলার কারণে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী কবির হোসেনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বৃষ্টি হলেই মালবাহী ট্রাক মাঠের কাদামাটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই সেতুটি ভাঙা কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাবু মিয়া বলেন, হটাৎ করে সেতুটি ভেঙে ফেলায় ও বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করায় এই সড়ক দিয়ে যেতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোস্তফা কামালের দাবি, জায়গা না থাকায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই মাঠ দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই জায়গায় ইট-সুরকি ফেলে দেওয়া হবে।
পাশের ভবনগুলোতে ফাটল ও ঝুঁকির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, উন্নয়নকাজের সময় কিছু সমস্যা হতে পারে। ৭-৮ মাস ধরে নির্মাণসামগ্রী এনে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যাবতীয় কাজের দায়িত্ব ঠিকাদারের। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার জন্য তাঁকে বলে দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করে অবসরে গেলেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার কনস্টেবল সুলতান আহম্মদ। তার বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। ফুলে ফুলে সজ্জিত গাড়িতে চড়িয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর থানা থেকে আখাউড়া উপজেলার ধরখার গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সুলতান আহম্মদকে। এর আগে ২ আগস্ট বুধবার রাতে বাঞ্ছারামপুর থানায় তাকে ফুল দিয়ে বিদায় জানানো হয়। কর্মজীবন শেষে এমন আয়োজনে মুগ্ধ তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল সুলতান আহম্মদ জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কিন্তু বিদায়ের বেলায় তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকে না। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে এভাবেই বিদায় জানানো হোক। এ সময় তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, এসপি স্যার এমন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা এসপি স্যারের উদ্যোগেরই একটা অংশ। বুধবার রাতে তাকে (সুলতান আহম্মদ) ফুল বিদায় জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফুলসজ্জিত গাড়িতে করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিদায়বেলায় অনেকের মন ভারাক্রান্ত থাকে। তিনি যেন আনন্দ ও হাসি মুখ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারেন তার জন্যই এই আয়োজন। বিদায়বেলায় তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরাও আনন্দিত।