অনলাইন ডেস্ক :
২৩ রানে ৩ উইকেট ছিল না বাংলাদেশের। ধুঁকতে থাকা সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের দায়িত্বের সবকিছুই পূরণ করলেন তিনি। হাঁকালেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
শান্তর অপরাজিত ১২৯ বলে ১২২ রানের ইনিংসের উপর ভর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অবশেষে সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ২৫৫ রানের জবাবে ৬ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা।
এদিন দুর্দান্ত জুটি করে দারুণ একটি রেকর্ড করেছেন শান্ত ও মুশফিক। লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে তাদের গড়া ১৩১ রানের জুটিটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ১১১ রানের জুটি ছিল মুশফিক ও সাব্বির রহমানের।
বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৮৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে শান্তর সঙ্গে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন ওপেনার লিটন দাস। বাঁহাতি লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার গুড লেন্থে করা বল ডিফেন্ড করতে গেলে ব্যাটের কানায় লাগে লিটনের। সেই বল উপড়ে ফেলে লিটনের লেগ স্টাম্প। গোল্ডেন ডাক মেরেই সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ ওপেনার।
মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। মিডঅফে খেলতে গিয়ে মাহিশ থিকসানার হাতে সহজ ক্যাচ হন সৌম্য (৯ বলে ৩)। দাঁড়াতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়ও। ৮ বলে ৩ রান করে প্রমধ মাদুশানের বলে তিনিও বোল্ড হন।
এরপর শান্তকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি। ফিরেছেন ৩৭ বলে ৩৭ রান করে। লাহিরু কুমারাকে ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন দিলশান মাদুশঙ্কার।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংবান্ধব পিচে টস জিতে ব্যাট নিতে ভুল করেনি লঙ্কানরা। ব্যাটিংবান্ধব পিচে তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের তোপে ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই রীতিমত ঘাম ঝরছিল বাংলাদেশের। আভিস্কা ফার্নান্ডো আর পাথুম নিশাঙ্কা ঝোড়ো গতিতে রান তুলে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তাদের ৫৯ বলে ৭১ রানের মারকুটে জুটিটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব।
সাকিব নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের দশম ওভারে এসে আঘাত হেনেছেন। ৩৩ বলে ৩৩ করে আভিস্কা ফার্নান্ডো অনেকটা সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়েছেন।
নিজের পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কাকেও ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। এবার স্লিপে সৌম্য সরকার নিয়েছেন ক্যাচ। নিশাঙ্কা করেন ২৮ বলে ৩৬।
এরপর ১৪তম ওভারে আরও এক শিকার তানজিম সাকিবের। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারি সাদিরা সামারাবিক্রমা (৩) ডিফেন্ড করতে গিয়েও ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। মুশফিকুর রহিম ঝাঁপিয়ে পড়ে নেন দারুণ এক ক্যাচ।
চতুর্থ উইকেটে আবার জুটি করে শ্রীলঙ্কা। এই উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আশালঙ্কা করেন ৭৩ বলে ৪৪ রানের জুটি। তবে তাদের ফিফটি রানের জুটি করতে দেননি অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭ বলে ১৮ রান করা আশালঙ্কাকে ফেরান বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তিনি।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কাকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। ফিফটি হাঁকানোর সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনি। তবে তাকে বেশি দূর এগুতে দেননি সেনসেশনাল পেসার তাসকিন আহমেদ।
৭৫ বলে ৫৯ করা মেন্ডিসকে মিডঅফ অঞ্চলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান তিনি। মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দ্রুতগতির ৬৯ রানের জুটিও ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। জেনিথ লিয়ানেজের সঙ্গে ৬৮ বলে এই জুটি করেন মেন্ডিস।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন লিয়ানেজ। শরিফুলের বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেট মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১৪ বলে ১৩ রান করা হাসারাঙ্গাকে তাওহিদ হৃদয়ের হাতের ক্যাচ বানান তাসকিন।
প্রমধ মাদুশান ৮ ও লাহিরু কুমারা ৫ রান করেন। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের নায়িকা পুষ্পিতা পপি। ২০১৯ সালে হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা দেন এই অভিনেত্রী।
এরপর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। মূলত ধর্মের কারণেই অভিনয় ছেড়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, চলচ্চিত্রে ছেড়ে শুধু নিজেকেই আড়াল করেননি, হয়েছেন দেশান্তরী। স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে। সামাজিকমাধ্যম থেকেও সরিয়ে ফেলেছেন আগের সব ছবি।
একটি গণমাধ্যমকে এই অভিনেত্রী জানান, ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলার জন্য সিনেমা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বাকি জীবন ইসলামি আদর্শে কাটাবেন।
তিনি বলেন, সিনেমা ছেড়েছি, আর কখনোই আমাকে পর্দায় দেখা যাবে না। এখানে স্বামী সংসার নিয়ে আছি। ভবিষ্যতে আল্লাহপাক যা করবেন, যেভাবে চালাবেন সেভাবেই চলব। সবার কাছে দোয়া চাই।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সুবাদে অভিনয় পা রাখেন পুষ্পিতা পপি। কিন্তু নায়িকা হিসেবে তার পথচলা শুরু হয় ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ সিনেমার মাধ্যমে। মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় এটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে।
পুষ্পিতা পপি আলোচনায় আসেন ‘পাঙ্কু জামাই’ সিনেমায় অভিনয় করে। এতে তিনি শাকিব খানের প্রথম প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ‘কখনও ভুলে যেও না’, ‘ঠোকর’, ‘প্রেম হতেই পারে’ ও ‘ফাগুনের আগুন’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন তিনি। পুষ্পিতা পপি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ধূসর কুয়াশা’। এটি ২০১৯ সালে মুক্তি পায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেছেন, প্রতিবন্ধী বলতে কিছু নেই, আমরা প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তি বলতে পারি। তাদেরকে অবহেলা করলে হবে না। আমরা তাদেরকে ভাল আচরণ করে সমাজের মুল শ্রোতে আনতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য রয়েছে আলাদা চিন্তা এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার একটি মহা পরিকল্পনা।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় টেংকেরপাড় আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী সুবর্ণ নাগরিক সন্তাদের নিয়ে একটি ক্রীড়াযজ্ঞ তৈরী করেছে এবং তাদের এ ক্রীড়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করছে।
কণ্ঠ শিল্পী আনিসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সমাজ সেবা উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়ত্রী দেবনাথ। এসময় আসমনাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধী, মুক বধির ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসবে অংশ গ্রহন করেন।
উভেন্টের মধ্যে ছিলো ফুটবল, দড়ি লাফ, ৫০ মিটার দৌড়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ২০ মিটার হাটা এবং পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৫৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.১ ওভারে ২০১ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তান তুলে নিয়েছে ১৪২ রানের জয়।
পাকিস্তানের পেসার হ্যারিস রউফের আগুনে পুড়েছে আফগানরা। ডানহাতি এই পেসার তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তার ওই ফাইফারে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে হাসমতউল্লাহ শাহেদির দল।
ওয়ানডে ফরম্যাটে আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন রান ৫৮। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে তাদের ওই রানে অলআউট করেছিল। তার আগের বছর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৩ রানে থেমেছিল আফগানরা। ২০১০ সালে কেনিয়া তাদের ৮৮ রানে অলআউট করেছিল। একশ’ রানের নিচে ওটাই ছিল তাদের শেষ অলআউট হওয়ার ঘটনা।
সর্বশেষ এই হাম্বানতোতায় শ্রীলঙ্কায় বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল আফগানিস্তান। অলআউট হয়েছিল ১১৬ রানে। এছাড়া গত ছয়-সাত বছরে এতো বড় ব্যাটিং বিপর্যয় দেখিনি সাহসী ক্রিকেট খেলতে থাকা আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আয়োজক আফগানিস্তান। নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতায় মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। মুজিব উর তিনটি ও রশিদ খান-মোহাম্মদ নবী দুটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে থামিয়ে দেয়।
পাকিস্তানের হয়ে ইমাম উল ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া মিডল অর্ডারে ইফতিখার ৩০ ও শাদাব খান খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান চতুর্থ ওভারে ৪ রানে হারায় তিন উইকেট। শুরুর তিন ব্যাটার ডাক মেরে ফিরে যান। সেখান থেকে আর উঠতে পারেনি দলটি। আফগানদের হয়ে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৮ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। আর কেউ দশ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে হ্যারিস রউফ ৬.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি দুই উইকেট নেন। একটি করে উইকেট দখল করেন নাসিম শাহ ও শাদাব খান।
অনলাইন ডেস্ক :
গেল বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৮২ জন বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমী তাদের প্রিয় দলের জার্সি পরে ছবি আপলোড দেন ‘ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ফ্যানস’-এর ওয়েবসাইটে। এই ছবিগুলো নিয়েই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে জার্সি পরিহিতদের নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন ফটো অ্যালবাম। আর এতেই হয়ে যায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও প্রথম আলো ডটকম।
ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা আর উন্মাদনা আরো একবার বিশ্বদরবারে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেকর্ড গড়ার জন্য দেশজুড়ে থাকা ফুটবল অনুরাগীরা ফিফা এবং প্রিয় দলের লোগো সম্বলিত জার্সি পরে ছবি তুলে ‘ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ফ্যানস’-এর ওয়েবসাইটে আপলোড দেন। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা পর্যন্ত। গিনেস কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুসরণ করে এ রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশের অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। নানা যাচাই-বাছাইয়ের পর সম্প্রতি গিনেস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের, যেখানে ৫ হাজার ২৯৭ ব্যক্তি দেশটির ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল) এর বিভিন্ন দলের জার্সি পরে ছবি আপলোড দেন। যা দিয়ে তৈরি হয় অনলাইন ফটো অ্যালবাম। এই লিংকে দেখা যাবে বাংলাদেশের করা রেকর্ডটি।
স্পোর্টস ডেস্ক :
‘১৪ সংখ্যাটা খারাপ নয়’ -ম্যাচশেষে বলছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৪ তার চোখে খারাপ না লাগারই কথা।
কেননা ১৪-০ ব্যবধানেই যে জিব্রাল্টারকে গতকাল উড়িয়ে দিয়েছে তার দল। তুলে নিয়েছেন নিজেদের ইতিহাস ও ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়।
গোলবন্যার ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান ৯ জন ফুটবলার। এর মধ্যে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলি কোমান। একটি গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মালিক হন ওয়ারেন জের-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে আজ। তিনি ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জনাথন ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওঁ, ওসমান দেম্বেলে।
গতকালের আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জয় এসেছিল ১৯৯৫ সালে। আজারবাইজানকে সেবার ১০-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এছাড়া ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির। ২০০৬ সালে সান মারিনোকে ১৩-০ গোলে হারায় তারা।
ফ্রান্সের কাছে রেকর্ড হারানো রাতটা ভালোভাবে কাটেনি জার্মানদের। ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরেছে তুরস্কের কাছে। পঞ্চম মিনিটে কাই হাভার্ৎজের গোলে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পিছিয়ে পড়ে ২-১ ব্যবধানে। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সমতা ফেরান নিকলাস ফুলক্রুগ। তবে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তুরস্ককে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ইউসুফ সারি।