চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নদী থেকে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযান চালিয়ে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন বরগুনা কাউতলী উপজেলার লাউখাড়া এলাকার মো. নিয়ামুল ইসলাম, বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার সিফুর রহমান, একই উপজেলার বীরাঙ্গল এলাকার রেজাউল করিম, একই জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরনন্দপুর এলাকার আজিজুল হক, একই এলাকার মো. মাইদুল, একই জেলার সদর উপজেলার টঙ্গীবাড়ি এলাকার মো. মনির, নরসিংদী সদর উপজেলার নেকজানপুর এলাকার এবাদুল্লাহ, ভোলা সদর উপজেলার নন্দনুর এলাকার ওমর ফারুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার চরমরিচাকান্দি এলাকার রাজিব মিয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ ও নতুনচর এলাকায় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিনের চেয়ে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনার সময় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিন থেকে অধিক সংখ্যক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় দায়ে ৯জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নদীর তীরকে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে ৯ জনকে ২০দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় বালু মহালের ইজারাদারকে ইজারার শর্ত মেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জুমার নামাজে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কিলঘুষিতে সিজল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৫ মে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পৌর এলাকার আলমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিজল মিয়া ওই এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একই এলাকার শাহ আলম ও সিজল মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কিলঘুষি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সিজল মিয়া নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পাশ করা কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ মে শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা প্রদান ও দোয়া মাহফিলসহ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশ ও নবগঠিত পিটিএ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. মিজানুর রহমান।
প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান কবিরের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক আলী আকবর মাস্টারের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, মো. শাহীন, বাছির উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, ইভা আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল হোসেন, বায়েছ মিয়া ও হাজেরা বেগম, প্রভাষক আবুল হোসেন, মতিউর রহমান, পিটিএ কমিটির সভাপতি মফিজুল করিম, সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ ৯১.৪% শিক্ষার্থী পাশ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক দিকনির্দেশনায়, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছার কারণেই এ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্যে এমন ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য তারা উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।
পরে দেশ, জাতি ও ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনায় মিলাদ শেষে দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের সাধক কবি মনমোহন দত্তের জন্মস্থান সাতমোড়া আনন্দ আশ্রমে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাধক কবি মনোমোহন এর একটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যায় ম্যুরালটি আজ ২৬ জুন সোমবার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আনন্দ আশ্রমের সভাপতি শংকরী দত্ত।
প্রধান অতিথি ছিলেন উদ্বোধক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতমোড়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন, আবু কামাল খন্দকার, সরোপ রতন দত্ত দয়ালমনি, মাহাবুব আলম লিটন, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, পীযুষ কান্তি আচার্য, আব্বাস উদ্দিন হেলাল প্রমুখ। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মলয়া সংগীত পরিবেশন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি জলাশয় ভরাট। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ জালশুকা গ্রামের মোঃ শওকত, আলি মিয়া, রহিম মিয়া, নান্টু মিয়া ও খবির উদ্দিন জলাশয় ভরাট বন্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিএস, আরএস ও বিএসসহ সকল কাগজপত্রে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে পানি প্রবাহিত হওয়ার খাল বিদ্যমান রয়েছে। এক সময় এই খাল দিয়ে পুরো ইউনিয়নের লোকজন কৃষি পন্য নৌকা দিয়ে জমি থেকে বাড়িতে আনা-নেওয়া করত। স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালটির বিভিন্ন অংশে দখল করেছেন।
উপজেলার জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জলাশয় ভরাটের দায়ে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি নবীনগর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অভিযুক্তদের একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি। অভিযানের সময় বালু ভরাট কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাইপ নষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ১ সপ্তাহ পর থেকে জলাশয়টি ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দাবি করে রাতের আধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। জালশুকা গ্রামের আবেদ হোসেন ও তার ভাই মোঃ রহমান জলাশয়টি ভরাট করছেন।
অভিযোগকারীদের দাবি জলাশয়ের পাশে মানুষের চলাচলের জন্য থাকা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৭শতক জায়গাও ভরাট করা হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের (২০০০) ৫ ধারা অনুযায়ী, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবে না।
এ ছাড়া এ ধরনের জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর করা যাবে না। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
ভূমি কার্যালয়ের একটি নথিতে দেখা গেছে, ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১২১ দাগে মানুষের চলাচলের জন্য ১৭শতক চলার পথ রয়েছে। ইতোমধ্যে জায়গাটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি জলাশয় রয়েছে। ওই জলাশয়ের নিচের দিকে বেশিরভাগ অংশ বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর দক্ষিণদিকে গোকর্ণ-কৃষ্ণনগর সড়ক সংলগ্ন একটি খাল রয়েছে। তবে ওই খালেরও অনেকটা জায়গা বালু ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ভরাট করার পরও কিছু অংশে পানি দেখা যায়। ওই জায়গা বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্থীকে খেলা করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নায়েব মো. রাসেল জানান, অনুমতি না নিয়ে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে জরিমানা করা হয়। তবে যতদূর জানি জরিমানা করার পর জায়গাটিতে আর বালু ফেলা হয়নি।
ভরাটের সাথে যুক্ত আবেদ হোসেন বলেন, প্রশাসনের অভিযানের পর আমরা আর বালু ফেলিনি। জায়গাটি আমাদের নিজস্ব। স্কুলের মাঠের জন্য এখান থেকে মাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন জলাশয় হয়ে যাওয়ায় অনুমতি না নিয়ে ভরাটের কারণে প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। তারা বলছে ভরাটের অনুমতি লাগবে।
এ ব্যাপারে মোঃ রহমান বলেন, ‘এটি খাল বা জলাশয় নয়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া এখানে আমাদের ৪০শতক জমি রয়েছে। আমাদের জমির মাটি দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ এবং গোকর্ণঘাট-কৃষ্ণনগর সড়ক নির্মানের জন্য দেয়া হয়েছে। খালের কোনো জায়গা ভরাট করা হয়নি। বরং আমাদের জমির উপর দিয়ে সেচের পানির নালা গিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এলাকায় থাকি না। একটি চক্র আমাদের জমি ভরাটকে জলাশয় ভরাটের নাম দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর থেকে জলাশয় ভরাট বন্ধ রয়েছে। তবে আমি যতদূর জানি এটি তাদের ব্যক্তিগত জায়গা। একসময় জমি ছিল। স্কুলের মাঠ ও রাস্তা নির্মাণের সময় তাদের জমি থেকে মাটি নিয়েছিল। এটাকে এলাকায় মরা ডোবা বলে। বর্তমানে ভরাট বন্ধ আছে। শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদের সাথে যোগাযোগগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে সাংবাদিক সফর আলীর সাথে মুঠোফোনে অশোভন আচরণ করায় নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ডি জি এম এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় বক্তারা নবীনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ডি জি এম আসাদুজ্জামান ভূঁইয়ার সকল অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে অনতিবিলম্বে তাকে নবীনগর থেকে অপসারণের দাবি জানান,এবং তাকে দ্রুত অপসারণ না করা হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম লালু, সাপ্তাহিক নবীনগর পত্রিকার সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন হেলাল, প্রেসক্লাব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক রেজাউল করিম বাবুল, সঞ্জয় শীল, মোঃ সফর আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, হেফাজত ইসলাম নবীনগর উপজেলার সহ সভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান, নবীনগর উপজেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন পান্না, নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল প্রমুখ।