চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বেশি দামে মাছ ও ফল বিক্রি করার অপরাধে ৪ দোকানিকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২১মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান কসবা পুরাতন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা পুরাতন বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশী দামে ফল ও মাংস বিক্রির দায়ে এক তরমুজের আড়তদারকে ৩ হাজার, দোকানে সঠিক মূল্য তালিকা না থাকায় দুই ফল ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা করে ৬ হাজার টাকা এবং এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা রেলওয়ে স্টেশনে সিগন্যাল যন্ত্রে শর্ট সার্কিট হওয়ায় পাঁচদিন ধরে অচল হয়ে আছে সিগন্যাল ব্যবস্থা। গত ২০ ডিসেম্বর রাত থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন ঢুকতে না পারায় যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রী সাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আগামী দু’দিনের মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সিগন্যাল যন্ত্রের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনের দু’পাশে থাকা সকল সিগন্যাল বাতি। সিগন্যাল কাজ না করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় সরাসরি লাইনে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করে ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখা হয়। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন আসতে না পারায় যাত্রীদের ওঠানামায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুর রহমান জানান, সিগন্যাল লাইন হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। ঘটনার পরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে টেকনিশিয়ান টিম এসে ত্রুটি খুঁজে বের করে। বর্তমানে মেরামত কাজ চলছে। আগামী দু’দিনের মধ্যেই সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া হওয়াটা জনগণের চাহিদা। এজন্যই জনগণের সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।’
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে জাহানারা হক পাবলিক লাইব্রেরির নবনির্মিত ভবন ও কসবা পৌর সভার বাস্তবায়িত ২০টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার মুক্তার, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম,জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী টানা দুই বারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রতীক বরাদ্দের পর ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। এসময় তিনি ওলী আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করেছেন। বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পথসভায় যোগদান করে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। প্রতিটি সভায় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি ছিল।
গতকাল শুক্রবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ খেলার মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতার এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন ‘আমার মুরব্বিয়ান, আমি সত্যিকারের এতিম’। আপনাদেরকে দেখে আমি আমার কষ্ট ভুলে যাই। আপনাদের পাশে থেকে আমি আমার কষ্ট ভুলে যাই। আজকে এইটুকু দাবি করে গেলাম আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমি আবার ফিরে আসবো। আমি আপনাদের থেকে দুরে থাকতে পারি না। আমি আবার ফিরে আসবো ইনশাল্লাহ। আপনাদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার। আমি আপনাদেরকে ভালোবাসি’। মন্ত্রীর এমন আবেগ তাড়িত বক্তৃতায় উপস্থিত লোকজনের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মুহুর্তেই বিশাল মঞ্চে নিরবতা নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমান করতে হবে জনগন নির্বাচন চায়। তাই সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমার দাবী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিবেন। আমি সারা বিশ্বে দেখাবো যে আমার মানুষ আমাকে কত ভালোবাসেন। এসময় উপস্থিত লোকজন দু’হাত উঁচু করে তাকে সমর্থন জানান।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সংবিধান প্রণেতা, বরেণ্য আইনজীবি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এড. সিরাজুল হক ও জাহানারা হকের সুযোগ্য সন্তুান আনিসুল হক। তাঁর এক ভাই আরিফুল হক রণী ও এক বোন সায়মা ইসলাম। তাঁর সহধর্মীনি নূর আমাতুল্লাহ রিনা হক। আনিসুল হকের মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই প্রয়াত হয়েছেন।
আনিসুল হকের ছোট ভাই আরিফুল হক ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। বড় বোন সায়মা ইসলাম মৃত্যু বরণ করেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। বিয়ের কিছু দিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লা রিনা হকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তাঁর বাবা এড. সিরাজুল হক প্রয়াত হন ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর। ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হকের মা জাহানারা হক ইন্তেকাল করেন।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ। উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী সহ তিনজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। অপর দুজন হলেন এনপিপি ও তরিকাত ফেডারেশনের প্রার্থী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভোরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের সুবিধাপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার সুবিধাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে তাদের ফেলে যাওয়া ৫টি বস্তা তল্লাশী করে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনা জেলে বসেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে ট্যানেল, রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লিসহ এরকম কয়েকশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে সারা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা প্রশংসিত। এসব দেখে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ হলো এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের দেশ পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তাদের ছিল লুটপাট ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিকে মন্ত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার আহ্বান জানাই।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।