চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে পাঁচ টাকায় ইফতার দিয়েছে অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ মাঠে পাঁচ টাকার বিনিময়ে এই ইফতার দেওয়া হয়। এ ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ছোলা বুট, মুড়ি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, বুরিন্দা, লেবু ও শসা।
অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উম্মে খাদিজা তালুকদার জানান, প্রতি বছরই আমি আমার এলাকায় রোজার মাসে গরীব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য কিছু করতাম। এই পরিধিটা একটু বড় পরিসরে ইউনিয়নে করার জন্য আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই সংগঠনটা গঠন করি। আজ মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৭০ জন গরীব মানুষের মাঝে ইফতার দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদের পাঁচ টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
তিনি আরো জানান, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াই। এছাড়া বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট করে অর্থ সংগ্রহ করি।
তিনি বলেন, তার এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকে। গতকাল ২২ মার্চ শুক্রবার সংগঠনের মাধ্যমে একটি এতিমখানায় ১০০ জনের ইফতার (বিরিয়ানি) দেওয়া হবে। সমাজের বিত্তবানরা যদি যার যার অবস্থান থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ অক্টোবর মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উম্মে খাদিজা তালুকদারসহ চারজন বন্ধু মিলে ফাউন্ডেশনটির কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এ ফাউন্ডেশনে প্রায় তিনশ’র অধিক সদস্য রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী বইমেলার সমাপনী, বিকালে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসকৃষ্ট বই মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। আর এই বইয়ের যোগান দেয় বইমেলা। তাইতো পছন্দের বই কিনতে বইপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন অমর একুশে বইমেলার দিকে। কিন্তু সেই বইমেলা যদি বাসার পাশেই হয় তবে তো কথাই নেই। গ্রন্থের সাহচর্যেই মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রম-অগ্রযাত্রার পথে। এর ধারা অব্যাহত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে ৭দিন ব্যাপী প্রাণের বইমেলা। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলা মঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে,কবিতা আবৃত্তি,সাধারণ জ্ঞান,কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় এক যুগ পর অনুষ্ঠিত বইমেলায় উচ্ছ্বাস দেখা গেছে অনেকের মাঝেই। প্রতিদিনই পাঠকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরাও মেলায় বই কিনতে আসে।মেলায় শিশুদের উপযোগী বইও এনেছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রাফিউদ্দিন আহমেদ। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ বইমেলায় দেশের প্রখ্যাত লেখকদের বই দিয়ে সাজানো ছিল ২০টি বইয়ের স্টল। মেলায় সকাল থেকে শতশত বইপ্রেমী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বইপ্রেমীরা এসে পছন্দের বই কিনে ঘরে ফিরেছেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে বইমেলা। বইমেলায় বিক্রি সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে গত সাতদিনে ২০টি স্টলে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে। শেষদিন ছিল ক্রেতাদের অনেক সমাগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিবলী চৌধুরী বলেন বই কিনতে আগে ঢাকায় যেতে হতো। ঢাকা যাওয়া কষ্টকর। এখানে ঘরের পাশেই পছন্দের বই পাওয়া যাচ্ছে আমাদের প্রাণে বইমেলায়। তাই দীর্ঘ একযুগ পর নাসিরনগরে বইমেলার আয়োজন করায় নবাগত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম বলেন,বই হচ্ছে প্রাণের খোরাক। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের মাসে অন্তত ১টি বই কেনা উচিত এবং সেটা পড়া উচিত। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়াকে আমার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এমন চমৎকার বইমেলার আয়োজন করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ তৈরী ও অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যই বইমেলার আয়োজন করা। কিন্তু এত মানুষের ভালবাসা ও আগ্রহ বইমেলার প্রতি এটা আমার ধারণা ছিল না। সবাই পছন্দের বই কিনছে এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমরা এই বইমেলা অব্যাহত রাখবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার টেবুনিয়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ছিনতাইকারী নারী সদ্যরা সবাই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা বাসিন্দা। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানাতে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃত নারী সদস্যরা হলো নাসিরনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার স্ত্রী রুবিনা ওরফে রোজিনা খাতুন (৪০), একই এলাকার মহারাজ মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫), মোঃ রুবেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২৫) ও মোঃ মাসুদ মিয়ার স্ত্রী রুহেলা ওরফে রোহেলা বেগম (২২)। তাদের সবারই বাড়ি একই গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস, ট্রেন ও পরিবহনে কৌশল করে ছিনতাই ও চুরির কাজ করে আসছেন বলে জানায় পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, গত ১৬ নভেম্বর রাতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে ফাতেমা খাতুন নামে এক যাত্রী টেবুনিয়া রেলস্টেশনে নামেন। সেখানে ওই নারী ও তার স্বামী মোঃ জুলহাস খান নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি ইজিবাইকে উঠেন। ঘটনাক্রমে আটকৃত ছিনতাইকারী নারী সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তারাও ওই ইজিবাইকে উঠেন। পথিমধ্যে তারা অসুস্থতার ভান করে ওই মহিলা যাত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়। সে সময় ওই যাত্রী বুঝতে পেরে চিৎকার দেন, এ সময় স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সপর্দ করেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে আইনগত পক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে এক পরিবারের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. ছোট্ট মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ছোট্ট মিয়া একজন কৃষক। তিনি অন্যের জমিতে কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে পরিবার চালান। সোমবার ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন পরিবার। বেলা ১২টার দিকে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে ৩০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় তিন কক্ষবিশিষ্ট দুই চালা আধপাকা ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘরের মালিক ছোট্ট মিয়া বলেন, ‘আগুনে আমার ঘরের সব কাইরা নিছে। আমি মাইনসের খেতে কাম কইরা ৫০ হাজার টেহা (টাকা) জমাইছিলাম। ভাবছিলাম বন্যার পানি কমলে টেহা দিয়া একটা গরু কিনুম, কিন্তু সেই আশা একবারে শেষ।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ছোট্ট মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। জানতে পেরেছি প্রায় চার লাখ টাকা মূল্যের ক্ষতির শিকার হয়েছেন তিনি। আমরা ওই পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করার কথা ভাবছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে একজন কৃষকের বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। জেলাপ্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হয়। সেখানে আতুকুড়া গ্রামের দুই যুবক মোতাব্বির ও বাদল মিয়ার মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে তর্ক হয়। পরদিন সন্ধ্যায় আতুকুড়া গ্রামে গিয়ে সেই ঘটনায় আবার তর্কে জড়ায় দু’জন। এর জেরে এক পর্যায়ে দুই ওয়ার্ডের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশ সদস্য, গ্রামবাসীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শতাধিক লোককে আসামি করে একটি মামলাও করা হয়েছে।
আতুকুড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া বলেন, ‘ফান্দাউক দরবার শরিফে ওয়াজে গিয়ে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে পরদিন আকুতুড়া বাজারে গেলে ৮নং ওয়ার্ডের লোকজন আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পরে সংঘর্ষে জড়ায়। ৯নং ওয়ার্ডের ২৫ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে পুলিশ সবাইকে আটক করে।’ তবে এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতীক বরাদ্দের পর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার ও মোড় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন। উপজেলার সবর্ত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থী ও সমর্থকরা বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন শেষ মুর্হূতের প্রচারণা। প্রায় প্রতিদিনই প্রার্থীরা হাট-বাজার-পাড়া-মহল্লায় চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে নিজেদের সৎ ও দূনীর্তিমুক্ত রেখে এলাকার উন্নয়নে ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতার আশ্বাস সকলের কাছে দোয়া ও ভোট চাইছেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবর্ত্রই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে শেষ মুর্হূতের হিসাব-নিকাশ। তবে মুখ খুলছেন না ভোটাররা। কে চেয়ারম্যান নিবার্চিত হবেন তা নিয়ে চায়ের দোকানে, হাট-বাজার, অফিস-আদালত ও গ্রামাঞ্চলে সবর্ত্রই এখন আলোচিত হচ্ছে। তবে এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে ভোটারদের হিসাব-নিকাশ।
নাসিরনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা খাকলেও অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়ের প্রতীক দোয়াত-কলম, তিনি নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার পেয়েছেন কৈ মাছ প্রতীক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তারের প্রতীক ঘোড়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: ওমরাও খানের প্রতীক আনারস, শ্রী প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধরের প্রতীক মোটরসাইকেল।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। এরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতা আবু আহাম্মদ কামরুল হুদার প্রতীক টিউবওয়েল, হুমায়ুন কবীরের প্রতীক চশমা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের প্রতীক মাইক, সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদের প্রতীক তালা ও শাহজাহান চকদারের প্রতীক টিয়া পাখি।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। তারা হলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তারের প্রতীক কলস, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্নার প্রতীক প্রজাপতি, সাবেক মহিলা মেম্বার রিটা আক্তারের প্রতীক ফুটবল ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাহিদা আক্তারের প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫‘শ ১৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭‘শ ৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।