চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতারণা করে আত্মসাৎকৃত ১৫৮ বস্তা ভুট্টাসহ মো. আব্দুর রহমান নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৩ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. আব্দুর রহমান (৩৭) পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা (ছয়গড়িয়া পাড়া) এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার জয়নাল আবেদীন একজন সিজনাল পণ্যের ব্যবসায়ী। জয়নাল আবেদীনের ব্যবসায়িক পার্টনার আল-আমিন মিয়ার সাথে আব্দুর রহমানের মোবাইলে পরিচয় ছিল। আব্দুর রহমান জয়নাল আবেদীনকে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি বাজারের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ তাদের নিকট থেকে ভুট্টা ক্রয় করতে ইচ্ছুক। পরে জয়নাল আবেদীন আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ১৬৪ বস্তা ভুট্টা একটি পিকআপভ্যানে করে ২০ মার্চ (বুধবার) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ হতে রওনা দিয়ে পরের দিন ভোরে কসবা তিনলাখপীর বাসষ্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে। ২১ মার্চ সকালে আব্দুর রহমান লেবার দিয়ে তার আনা দুটি পিকাপে ভুট্টা বোঝাই করে করে কুটি এলাকায় তার গদির উদ্দেশ্য পাঠান। পরে ভুট্টার মূল্য বাবদ ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮০ টাকা দিবে বলে মো. নুরুল আলমকে আব্দুর রহমান মোটরসাইকেলে যোগে তার গদির উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে আব্দুর রহমান তার গদিতে না নিয়ে জেলার আখাউড়া খরমপুরের কেল্লাশাহর মাজারে নিয়ে যায়। পরে আব্দুর রহমান তার শশুরবাড়ি থেকে টাকা আনতে যাচ্ছে বলে নুরুল আলমকে তার মোটরসাইকেলটি পাহারা দিতে বলে। কিন্তু আব্দুর রহমান আর ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ করে ফেলে। পরে ২৩ মার্চ সকালে জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, শনিবার রাতেই গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে রাতেই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৬৪ বস্তা ভুট্টার মধ্যে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুলিশের পৃথক অভিযানে দুই হাজার ৫৫ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
৩ মার্চ শুক্রবার রাত থেকে ৪ মার্চ শনিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২৪), খাড়েরা ইউনিয়নের আবু মুসার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২) ও জয়নাল (৪০)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক দল তিনটি স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি মোটর সাইকেলসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হয়েছে। এ দেশের সবার মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কারও কারও সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশকে কেউই আর দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের স্বাধীনতা নষ্ট করতে কিছু রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। গতকাল ২৯ এপ্রিল শনিবার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। আমরা দেখেছি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আমরা দেখেছি পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের অর্থে তৈরি করতে। আমরা দেখেছি গৃহায়ণ প্রকল্প, যার মাধ্যমে গৃহহীনদের বঙ্গবন্ধু কন্যা গৃহ দিয়েছেন। এসব দেখে আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ শুধু এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকেও স্বাধীনতা নষ্ট করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে একজোট হয়েছে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা নিজেদেরটা ছাড়া অন্যের বুঝে না। ২০০৭ সালে বলেছিল, আমি একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করব, তারপর রাজনৈতিক দল তৈরি করছে। যদি রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে চান আমার কাছে ম্যাসেজ পাঠাবেন, কিন্তু একজনও সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশের একটা লোকও সাড়া দেয়নি। এখনও তারা ষড়যন্ত্র করছে।
কাইমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ আজিজ, কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাইমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকতেকার আলম রনি প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।