চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ আনন্দ হউক সবার- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, পোলার চাউল, মুসুর ডাল, লবন, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী। মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অনুকরণীয়। সমাজের বিত্তবানরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে এলে সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামির সহযোগিতায় গড়ে উঠা এ সংগঠনটি ১১ বছর ধরে এ মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাগেজ থেকে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৩১ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দা গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পুকুর পাড়ে একটি লাগেজ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে সেটি খুললে এক তরুণীর মাথা এবং দুই পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছেন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক যুবক লাল লাগেজটি নিয়ে গ্রামের সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তরুণীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৫ বা ২৬ বছর হবে। পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল এবং জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জ্বালানি খাতের নামকড়া সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার পেছানো হচ্ছে। দীর্ঘ ১১ বছর পেরুলেও আলোচিত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি। এর দায় রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়। সাগর-রুনিসহ দেশে সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ও সদর উপজেলা যুবদলের যৌথ উদ্যোগে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের টি.এ. রোড প্রদিক্ষণ করে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংক্ষিত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভ‚ইয়া খোকন, এ.বি.এম মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুলিশ মিথ্যা ও মনগড়া মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তারা অবিলম্বে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবে শামীম মোল্লাকে গ্রেফতা করা হয়েছে। তিনি ১৫টিরও বেশী মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। এর পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল শহিদদের স্মরনে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন।
পরে শহীদ মিনার জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।