চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার সকালে বৈশাখী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাঙালির নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুর হয়। নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধি গণ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বর্ষবরণ উপলক্ষে ঐকতান সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত ভর্তা উৎসবে অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। তবে দেওয়া হচ্ছে ২৭-২৮ কেজি। বিতরণের সময় সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ট্যাগ অফিসার থাকার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে ঠকছেন হতদরিদ্ররা। বিষয়টি ডিলার স্বীকার করলেও একে অন্যকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সঠিক ওজনে চাল দিচ্ছেন না ডিলার। উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ডিলারের নাম মো. বদর আলম। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন গিয়ে সুবিধাভোগীদের চাল মেপে পাওয়া গেছে ২৮ কেজি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৩টি ইউনিয়নে ২৬ ডিলার ও ৮ হাজার ৭০৫ উপকারভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফান্দাউক ইউনিয়নের ডিলার বদর আলমের মাধ্যমে ৩০৪ জন চাল পাচ্ছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে চাল বিতরণের কাজ। শেষ হওয়ার কথা ৭ মার্চ।
গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ডিলার বদরের দোকানের সামনে কয়েকশ লোক জড়ো হয়েছেন। তাঁরা কার্ড দেখিয়ে সারিবদ্ধভাবে চাল নিচ্ছেন। কয়েকজন ওজনে কম দেওয়ায় চাল না নিয়ে বাড়িতে চলে যান। প্রতিবাদ করলে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সেখানে কথা হয় শিউলি বেগম ও মুর্শিদা বেগমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, অশিক্ষিত হওয়ায় মিটারের মাপ বোঝেন না। বাড়িতে চাল নিয়ে দেখেন তিন কেজি কম। বেশি কথা বললে নাম কেটে দেবে। এ জন্য কিছু বলার সাহস পান না।
আলাল মিয়া, নজরুল মিয়া ও পৈলন খাঁ অভিযোগ করেন, চাল নিতে এলে ডিলার বলেছে, দুই কেজি কম নিতে হবে। এ জন্য তাঁরা চাল নেবেন না। দুই বছর ধরেই কম দেওয়া হচ্ছে। চাল দেওয়ার সময় সরকারি লোক থাকার কথা। কিন্তু তারা ৫-১০ মিনিট থেকে চলে যায়। এ দিন সরকারি লোক আসেনি বলে জানান তাঁরা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিলার মো. বদর আলম বলেন, ‘আমার কী করার আছে। সরকারি গুদাম থেকে বস্তায় দু-তিন কেজি চাল কম থাকে। এরপরও আমি বলেছি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য। হয়তো শ্রমিকরা ভুল করেছে।’ ট্যাগ অফিসার ছাড়া চাল দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে ট্যাগ অফিসার আসেনি।’
সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মো. মোজাম্মেল হকের। তিনি সেখানে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরি করি। আমার দায়িত্ব হাসপাতালে। চাল বিতরণে অনিয়ম হলে সেটা আমার দেখার কথা না। সেটি দেখবেন খাদ্য কর্মকর্তা।’
ডিলার ও ট্যাগ অফিসারের এমন দাবির বিরোধিতা করে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকবেন। গুদাম থেকে চাল কম দেওয়ার সুযোগ নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসসহ মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন দিবস উদযাপন ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে আজ ৩ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: রাফি উদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল-হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহাগ রানা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস, গুনিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: জিতু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল বাকি, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, এনজিও প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাসের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মো: সোহাগ রানা, উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, প্রোগ্রামার মো: শাহজালাল।
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে নারী দিবসের আলোচনা সভায় “নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান”কে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী ও শিবলী চৌধুরী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়। তিনি দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
আজ ৩ মে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরে তার বাসায় (প্রদীপ কুমার রায়) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনি অসুস্থ। তিনি নির্বাচন করবেন না এবং নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। তিনি বলেন আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। সে জন্য ভোটারদের কাছে বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ডাক্তারসহ পরিবার ও এলাকাবাসীর পরামর্শক্রমে আমি চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে আমি আমার আদর্শিক রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবো না। আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তা এ জীবনে ভুলবার নয়। আমার জন্য দোয়া করবেন দ্রæত চিকিৎসা নিয়ে আপনার কাছে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারি। আমার সকল ভোটার ও স্বজনদের কাছ থেকে দোয়া চেয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিদায় নিচ্ছি।
উল্লেখ্য তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে প্রচারণার শুরু থেকে মাইকিং, পোস্টারিং, গণসংযোগ ও বিভিন্ন উঠান বৈঠক করছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকালে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বড়ইউড়ি গ্রামে উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেয়ার সময় বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হলে প্রথমে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ দিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার নিজ এলাকায় আসেন এবং নিজের অসুস্থতা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীসহ পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা আজ দুপুরে সাংবাদিকদের জানান তিনি। তবে তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেননি।
নাসিরনগরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদীপ কুমার রায়।