অনলাইন ডেস্ক :
যাত্রীদের দ্রুত টিকিট সংগ্রহ নিশ্চিত করতে রেলওয়ে স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট সংগ্রহের (ভেন্ডিং) মেশিন বসানো হয়েছে। এরই মধ্যে কমলাপুর, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ১৫টি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। তবে যাত্রীরা রেলওয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও টিকিট সংগ্রহে অতিরিক্ত ২০ টাকা চার্জ কাটায় যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কমলাপুরে দুটি অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
মোট চারটি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ২১ স্টেশনে ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে।’
গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের টিসি উপ পরিচালক মো. আনসার আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৫টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ও ৬০টি জায়ান্ট স্ক্রিন ডিসপ্লে স্থাপন করার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষে অনুমোদিত হয়েছে।
এদিকে রেলওয়ে পরিচালন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক এ মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সহজ ডটকম।
এর মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই নিজের টিকিট নিজে কাটতে পারবেন। তবে এ জন্য অনলাইনে টিকিট কাটতে যে পরিমাণ চার্জ (২০ টাকা) দিতে হয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটলে একই পরিমাণ চার্জ কাটা হবে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত মূল্যে চার্জার ফ্যান বিক্রির অপরাধে রাজধানীর নবাবপুরে অভিযান চালিয়ে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার নওয়াবপুরে ন্যাশনাল ফ্যান হাউজ ও মিডিয়া হোম অ্যাপ্লায়েন্স নামে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
তবে, অভিযান শুরুর খবরে অধিকাংশ চার্জার ফ্যান বিক্রেতারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। অনেকে দোকানে থাকা ফ্যান সরিয়ে ফেলে। অনেকে ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান।
অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার। তিনি বলেন ১১ ফেব্রুয়ারিতে আমদানিকারক যে ফ্যান ২৪০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, সে চার্জার ফ্যান ৪ জুন সাড়ে ৬ হাজারে বিক্রি করেছেন।
এসময় দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আকস্মিকভাবে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভোক্তাদের কাছে এমন গলাকাটা দাম নিয়ে প্রতারণা করতে দেওয়া হবে না।
দেশজুড়ে চলমান তীব্র দাবদাহে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। ভাপসা গরমে নাকাল রাজধানীবাসী। এ অবস্থায় একটু স্বস্তির আশায় তারা ছুটছেন চার্জার ফ্যানের দোকানগুলোয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার এ নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ঢাকায় অধিদপ্তরের তিনটি টিম বাজার তদারকির কার্যক্রম পরিচালনা করে। বায়তুল মোকাররম এলাকায়, স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এবং নবাবপুর মার্কেট এলাকায় অভিযানে চালানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিঅ্যান্ডপিএস-১) বেলাল উদ্দিনের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রশাসনিক কারণে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের (কনস্টেবল থেকে এসআই/সমপদমর্যাদা এবং ডিএমপির ক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদা পর্যন্ত) সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
তবে আদালতের নির্দেশে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না জানিয়ে আদেশে আরও বলা হয়, ‘এই নির্দেশনা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ এবং ফৌজদারি মামলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না’।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কঠোর পদক্ষেপের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামও আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে পুলিশের অধস্তন সদস্যরাও বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তাপমাত্রা বেশি কমে গেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করার বিষয়ে আজ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রাথমিকের বিষয়ে এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি।
তবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রশ্নের জবাবে উত্তম কুমার বলেন, স্কুল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। আমরা প্রতিদিন আবহাওয়ার বুলেটিন দেখছি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে, তীব্র শীতে শিশুরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে বলে ওই নির্দেশনায় বলা হয়।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওই সব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত) রাখার নির্দেশনা প্রদান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইনে জুয়ার সাইট ও অ্যাপে ক্যাসিনো খেলার আসোর বসাতো চক্রটি। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্রের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাজশাহী বোয়ালিয়া থানা উপ-শহর এলাকা থেকে চক্রের হোতা রকিবুল হাসান মিলন ও সিরাজদৌলা বাবুকে গ্রেফতার করে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ২৪ মে বুধবার বিকেলে এটিইউয়ের মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসলাম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুমন, ডলার, আশরাফুল, শহিদুল ইসলাম, সুমন ও জ্যোতি কুমার দেব। তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এসপি আসলাম খান জানান, পাঁচটি অনলাইন জুয়া খেলার সাইড থেকে সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলত চক্রটি। তারা ই-ট্রানজেকশন এবং নগদ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশীয় খেলাধুলাগুলোর চর্চা বেশি বেশি করে করা উচিত। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা হয়। খেলাধুলা হলে বাচ্চাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে ঐক্যের মনোভাব গড়ে ওঠে। তাই আমরা এ বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছি।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা টুর্ণামেন্ট শুরু করেছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও খেলাধুলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
দেশের সব বিভাগীয় শহরেই একটি করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কেন্দ্র করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার।
এ জন্য দেশের সব বিভাগীয় শহরে একটি করে বিকেএসপি করা হবে। ইতিমধ্যে এর কাজও শুরু হয়েছে।’
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে।
সে জন্য প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটা করে বিকেএসপি গড়ে তুলতে হবে। এটা আটটা বিভাগে আটটা হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ছোটবেলা থেকে ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে তারা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা খুবই এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
ফুটবলে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় খেলার মাঠ, মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। আরো কয়েকটা বাকি আছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়েই যে খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। আমি মনে করি, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করলে ছেলে-মেয়েরা মন-মানসিকতায় উদার হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।’
খেলাধুলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজে খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই এই শীতকালে শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি সব সময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। আমার বাবাও নিজে ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই কামাল এবং জামাল নিজেও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।’
স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ড. মুহম্মদ মনিরুল হকসহ দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার ও ক্রীড়া কর্মকর্তরা উপস্থিত হয়েছেন।
‘খেলাধুলায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি ৫২তম এই শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। গত জানুয়ারিতে সারা দেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় অংশগ্রহণে সারা দেশের ৮২৪ জন রাজশাহী এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী এর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।
ছয় দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এই প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ইভেন্টে অ্যাথলেটিকস, দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দড়ি লাফ ইভেন্টসহ হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং ইভেন্টে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন খেলার মহারণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই আটটি ডিসিপ্লিনে সারা দেশ থেকে আট শতাধিক ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে- চারটি ফুলের নামে।
এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।