চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নির্মীয়মাণ একটি সেতুর বিকল্প সড়কে পাথর রাখার ঘটনায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক খাদে পড়ে যায়। এ সময় আটকা পড়ে ঢাকা-আগরতলা সার্ভিসের বাস। এতে এই গরমে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে পাথর সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকা পার হয়ে একটি সেতুর নির্মাণকাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করানো হচ্ছে।
বেইলি সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে বিধায় এর পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক করা হয়। সকাল থেকে ওই বিকল্প সড়কে নির্মাণকাজের জন্য পাথর রাখা হয়। এতে সড়কটি একেবারে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ছোট ছোট যান চলতেও বেশ বেগ পেতে হয়।
সকালে স্থলবন্দরগামী সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক ওই জায়গাটি পার হতে গিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। পরে একটি প্রাইভেট কার পার হতে গিয়েও এখানে আটকে যায়।
এদিকে ঢাকা-আগরতলা পথের রয়েল মৈত্রী পরিবহনের বাসও বাংলাদেশে প্রবেশ করে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। যাত্রী দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি উদ্যোগ নিয়ে পাথর সরানোর ব্যবস্থা করলে এ পথে যান চলাচল শুরু হয়।
রয়েল মৈত্রী বাসের যাত্রী প্রশান্ত গুপ্ত বলেন, ভারতের আগরতলা থেকে তারা গাড়িতে ওঠেন। আখাউড়া স্থলবন্দর আসার পর জানতে পারেন সড়কে সমস্যার কথা। এ অবস্থায় তাঁদের দুই ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়।
ইউএনও রাবেয়া আক্তার জানান, খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। মূলত সড়কে সেতু নির্মাণকাজের পাথর রাখায় সমস্যা দেখা দেয়। পাথর সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চারটি কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ্-বিন-শফিক এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
অভিযানে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর ছয়ঘড়িয়া, জীবনপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঠ পুড়িয়ে চারটি কয়লা তৈরির কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ্-বিন শফিক বলেন, এর আগেও অভিযানে জরিমানা করা হলেও মানছেন না অসাধু কয়লার ব্যবসায়ীরা, তাই এবার গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপর এই অবৈধ কয়লার কারখানাগুলো আবার চালু করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ায় পৃথক স্থানে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাকেল চালক নিহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন সকার ১০টায় বগুড়া সদরের নওদাপাড়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাক-রংপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় নিহত হন মোস্তফা হায়দার (৪০)। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পূর্নগোপীনাথপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। একই পথে মোস্তফা হায়দার মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে সদরের ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাকটিকে অতিক্রম করতে যান মোটরসাইকেল চালক। এসময় ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে ছিল। অসাবধানতাবশত ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন মোটরসাইকেল চালক।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাক জব্দ হলেও চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় নিহত হন জাকারিয়া হোসেন (২০)। দুপচাঁচিয়ার বার মাইল এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাকারিয়া জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর বারাইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জাকারিয়া হোসেন তার কর্মস্থল কাহালুর জোগারপাড়া টাইলস মিলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়। মোটরসাইকেলটি নিয়ে দুপচাঁচিয়া থানা বাসষ্টান্ড পার হয়ে বার মাইল এলাকায় গার্ডেন ভিউয়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যাওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দেয়। এসময় জাকারিয়া মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পরে গুরুতরভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
কোটা পূরণ না হওয়ায় অষ্টমবারের মতো বাড়লো হজের নিবন্ধনের সময়। আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ বাড়ানো সময় অনুযায়ী, বুধবার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হয়। কিন্তু এখনও কোটা পূরণে প্রায় ৮ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি আছে। এমতাবস্থায় নতুন করে বাড়ানো হলো হজের জন্য নিবন্ধনের সময়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উন্মুক্ত রয়েছে। উভয় ব্যবস্থাপনায় নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বড়পই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন পর্যন্ত কেউ আসেননি। শ্রেণি কক্ষ খোলা না থাকায় রোকেয়া ভবনের বারান্দার গ্রিল ধরে একাই দাঁড়িয়ে ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনমুন (৭)। অপেক্ষা করছিল শিক্ষক ও সহপাঠীদের জন্য। এর কিছু পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন।
এ সময় বিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবেশী জাহানারা বেগম নামে এক নারী এগিয়ে আসেন। কুশল বিনিময় করেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। পরে তারা দুজনেই শিক্ষক রুমের তালা খুলে ভেতরে যান। ওই নারীর সহায়তায় ঘর ঝাড়ু দিয়ে শিক্ষকদের কক্ষে থাকা বিদ্যুতের মেইন সুইস অন করেন প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে রোকেয়া ভবনের বারান্দার গ্রিল থেকে অন্তত ৬-৭ ফিট দূরে ছিটকে যায় শিক্ষার্থী মুনমুন।
শিশুটির চিৎকার শুনে প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবেশী ওই নারী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা দেখেন জ্ঞান হারিয়ে শিশুটি মাটিতে পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে শিক্ষকদের রুমে নিয়ে শিশুটির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। জ্ঞান ফিরলে শিশু মুনমুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন থেকে খোলা তার দিয়ে রোকেয়া ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আছে। সেই তার কেটে ওই ভবনের দরজার গ্রিলে সেটি জড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিদ্যুতের মেইন সুইস অন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনের পুরো বারান্দা বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুনমুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন ফেরদৌস বলেন, বিদ্যুতের মেইন সুইস বন্ধ ও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত বলেও দাবি করে তিনি।
অভিভাবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করছি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শাসমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তিনি সভা করবেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পাঁচ স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে আবার ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়।
আজ ৭ জুন বুধবার সকালে উপজেলার গৌরীপুর সুবল আলতাফ, বিলকিস-মোশাররফ, চিনামুড়া, চশই ও তিতাসের নারান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মিন্টু সরকার বলেন, সারাদেশের ন্যায় একযোগে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে দুইজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আরও চার স্কুলের ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিয়াউর রহমান, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা। তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন।
ডিসি শামীম আলম বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা দেখেছেন। অসুস্থদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। বাকিরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার বলেন, গৌরীপুর স্কুলসহ আরও পাঁচটি স্কুলের ১৭ জন শিক্ষার্থী তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। বাকি পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গৌরীপুর সুবল আলতাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে উম্মে হাবিবা (১২) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তার।