অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে ইচ্ছুক সৌদি আরবের স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের ২৪ এপ্রিল বুধবার থেকে হজ পালনসংক্রান্ত অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য এ অনুমতি দেশটির সরকারি প্ল্যাটফর্ম আবশার ও হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল আকবরিয়া এ খবর জানিয়েছে।
চলতি বছর সৌদি আরব একটি নতুন নীতির আওতায় বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য আগেভাগেই হজবিষয়ক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। নতুন নিয়মানুযায়ী এ বছর কোনো দেশের জন্য সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোতে নির্দিষ্ট করে আর জায়গা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না। খবর গালফ নিউজের।
আবাসন সুবিধা বিবেচনায় সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বছর হজযাত্রীদের জন্য চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্যাকেজগুলোতে খরচ পড়বে ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল। প্রতি রিয়াল ৩০ টাকা হিসাবে এ খরচ ১ লাখ ২২ হাজার ৯৭০ টাকা থেকে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫০ টাকা। মন্ত্রণালয় বলেছে, তিন কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করা যাবে।
প্রথম দফা কিস্তির অর্থ (মোট খরচের ২০ শতাংশ) পরিশোধের শেষ সময় ছিল গত ১১ মার্চ। দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০ শতাংশ অর্থ ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া হয়। শেষ কিস্তির অর্থ পরিশোধের চূড়ান্ত সময় ২৯ এপ্রিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপাত বসানোর কাজ পুরোপুরি শেষ। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ফিটিংস লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে। চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজও একই সঙ্গে চলমান।
সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত আসছেন এর দেখভাল করতে। বলা চলে, পুরোপুরি প্রস্তুত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। অপেক্ষা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের। আশা করা হচ্ছে, এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। যাত্রী চলাচলে আরো ব্যাপকতা পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উল্লিখিত পথে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এ পথে ট্রেন চালানোর কথা। তবে শোকের মাসের কারণে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার এ বিষয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় পরীক্ষামূলক চলাচলের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে।
সেপ্টেম্বরে পরীক্ষামূলক চলাচলের পর ওই মাসেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে আসেন। প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা। প্রকল্প কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় গত কয়েক দিনের মতো ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ পরিচালনা করা হয়। রেলওয়ের বিশেষ ওই কারটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ৬.৭৮ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত চলাচল করে।
গত ১৬ আগস্ট ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়ে। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ‘ইঞ্জিন’। এর সঙ্গে দুটি বগি সংযুক্ত করে উল্লিখিত পথে চালানো হয়।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৫৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনার প্রভাবসহ নানা কারণে পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন নাগাদ করা হয়েছে।
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লির টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্যাং কারে উঠে বাংলাদেশ অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরো কী কী কাজ করা দরকার সেটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই রেলপথটি পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানোও শেষ হয়েছে। লেভেল ঠিক রাখার কাজ চলছে। ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ যেটুকু বাকি আছে, সেটি দ্রুত শেষ করা হবে।’ প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলওয়ের এ সংযোগ প্রকল্পটি চালু হলে মূলত ভারতীয়রাই বেশি লাভবান হবেন। বিশেষ করে ভারতীয়রা আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা গেলে বর্তমানের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ সময় কম লাগবে। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মহাসচিব ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন ইমরান খান। ওমর আইয়ুব দেশটির সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের নাতি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, এমন গুঞ্জন ওঠেছে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে ইমরান খান এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বলে জানান পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত ওমর আইয়ুব ২০১৮ সালে ইমরান খানের হাত ধরে পিটিআইতে যোগ দেন। ইমরানের সরকারে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। প্রথমে বিদ্যুৎমন্ত্রী, এরপর পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এবং সবশেষ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওমর।
আসাদ কায়সার বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে; বিশেষ করে জেইইউআই-এফ, এএনপি এবং কিউডব্লিউপি’র সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, ডন
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের বিহার রাজ্যে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছিলেন গৌতম নামের ওই যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় কয়েকজন জোর করে সেখানে ঢুকে পড়েন। তারপর তাঁকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান।
গৌতমের আরো অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শাসানো হয়, বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদে কাজ হয়নি।
তার পরই তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে।
এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও সরকারি চাকুরে এক যুবককে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে রায় দেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ফেডারেল মুসলিম নারী বিচারক হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটিতে পূর্ব নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হয়। সিনেটের উচ্চকক্ষে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হন নুসরাত।
তিনি ৫০ জন সিনেটরের সমর্থন পেয়েছেন; বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৯ জন। খবর সিএনএন ও এনবিসি নিউজের।
নুসরাতের ডিস্ট্রিক্ট জজ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে টুইট করেন নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক সিনেটর চাক শুমার। তিনি বলেন, নুসরাতকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পেরে আমি গর্বিত। নুসরাত প্রথম বাংলাদেশি মার্কিন নাগরিক ও প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ফেডারেল বিচারক হয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে জো বাইডেনের প্রশাসন আইনজীবী নুসরাতকে ফেডারেল বিচারকের পদে মনোনয়ন দেয়। নিউ জার্সিতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম ডিস্ট্রিক্ট জজ জাহিদ কুরাইশি জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অঙ্গীকার পূরণ করতে এবং মার্কিন বিচার বিভাগে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে নুসরাতসহ সাতজনকে ফেডারেল বিচারক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফেডারেল বিচারক জাহিদ কুরাইশির নিয়োগও বাইডেন প্রশাসন দিয়েছিল। ২০২১ সালে তিনি নিয়োগ পান।
নুসরাত নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ততম আদালতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ আদালতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, বেশ কিছু বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা জর্জ সেন্তোসের অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটিও এ আদালতে বিচারাধীন ছিল।
বর্তমানে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) ইলিনোয়েস চ্যাপ্টারের আইনি পরিচালকের দায়িত্বে আছেন নুসরাত। সেখানে তিনি বৈষম্যমূলক আচরণ ঠেকাতে পুলিশে সংস্কারের সুপারিশ করেন, যা কার্যকর হয়েছিল। এসিএলইউর নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি রোমিও বিবৃতিতে বলেন, নুসরাত একজন দারুণ বেসামরিক অধিকার আইনজীবী। আমাদের জাতির সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর উল্লেখযোগ্য রেকর্ড আছে।
৪৭ বছর বয়সী নুসরাতের নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ব্যবস্থায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারাহ সিনেটের ভোটে তাঁর নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভোটে নুসরাত চৌধুরী ফেডারেল বেঞ্চে নিয়োগ পেলেন, যা ‘নানা কারণে ঐতিহাসিক’।
৪০ বছর আগে আইনজীবী নুসরাতের বাবা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তাঁরা শিকাগোতে থাকতে শুরু করেন। বাবা পেশায় চিকিৎসক হলেও নুসরাত আইনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে মিশেল আর্লি নামের মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন নুসরাত।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের সীমান্ত হাব মিয়াওয়াদিতে সরকারি একটি স্থাপনায় বোমা হামলায় পাঁচ সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ওই শহরে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পড়ার পর থেকে সামরিক বাহিনী ও জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে।
সামরিক একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার দিকে দুটি বোমা জেলা পুলিশের দপ্তর এবং প্রশাসন ভবনের দপ্তর থাকা ওই সরকারি কম্পাউন্ডে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এরপর আরও দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং ১১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে সামরিক এক কর্মকর্তা, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। ১১ জুনিয়র ও সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এ হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জান্তা জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যুত্থানবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কয়েকটি সেনাছাউনি ও পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৮ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা।
২০২১ সালে অভ্যুত্থান শুরুর পর থেকে ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ জান্তা সরকারের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে মিয়াওয়াদিতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে জান্তা সরকার। অনেক বিদ্রোহী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।