অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বিয়ায় ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২৯ এপ্রিল সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক হেলিকপ্টারটি অভিযানের জন্য সান্তা রোসা দেল সুর এলাকায় সৈন্যদের নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকাটিতে সম্প্রতি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গেরিলা গ্রুপ এবং গালফ ক্ল্যান নামে পরিচিত মাদক পাচারকারী গ্রুপের মধ্যে লড়াই চলছিল।’
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছেন, গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সেনাদের নিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মূলত, এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কলম্বিয়ায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীটির চার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি। সূত্র : এবিসি নিউজ
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় দুই ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে। ১১ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বাউতলা এলাকা থেকে বিজিবি তাদেরকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জয়পুর এলাকার মান্নান মিয়া ছেলে মুন্না মিয়া (২৪) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২১)। তাদেরকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসে। ব্যক্তিগত কাজে তারা বাংলাদেশে আসে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
স্থানীয় সময় ২৪ এপ্রিল সোমবার মধ্যরাত থেকে ৭২ ঘণ্টার এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
লড়াই শুরুর পর এর আগে আরও দুইবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল এই দুই বাহিনী। তবে কোনো পক্ষই তা মানতে সক্ষম হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার আলোচনার পর সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।
১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া দুই বাহিনীর এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
সংঘাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছেন হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেছেন যে, সুদানের সহিংসতা একটি ‘বিপর্যয়কর দাবানল’ সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এটি সমগ্র অঞ্চল এবং তার বাইরেও গ্রাস করতে পারে।
সহিংসতা শুরুর পর থেকে, যুদ্ধ-বিক্ষত রাজধানী খার্তুমের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে খাদ্য ও পানির সরবরাহ কম হচ্ছে। কারণ বোমা হামলায় পানির পাইপের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে অনেক মানুষ নীল নদ থেকে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অনেকে আশা করছেন, এবারের যুদ্ধবিরতি বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে। বিদেশি সরকারগুলো আশা করবে যে, দেশ থেকে তাদের নাগরিকদের অব্যাহতভাবে সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেবে।
দেশগুলো তাদের কূটনীতিক এবং বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কারণ রাজধানীর মধ্য ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশে দুই বাহিনীর ব্যাপক লড়াই চলছে।
এর আগে সোমবার ব্লিনকেন বলেছিলেন যে, নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সময় কিছু দুষ্কৃতকারীরা বিদেশিদের বহরে ডাকাতি ও লুটপাট চালানোর চেষ্টা করেছে।
তিনি যোগ করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুদানে সম্ভাব্যভাবে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি পুনরায় শুরু করার দিকে নজর দিচ্ছে।
তবে সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘খুব চ্যালেঞ্জিং’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
এদিকে সংঘাতের কারণে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’-এ ভুগছে সুদান। নেট ব্লক্স সোমবার জানিয়েছে, রোববার রাত থেকে খার্তুমে ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় আনুমানিক ৬৮ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ইমিটেশন সামগ্রী উদ্ধার করেছে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) সদস্যরা।
গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার আখাউড়া উপজেলার ছয়ঘরিয়া নামক এলাকা থেকে এসব পন্য উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৫৭ পিস, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৯৭২ পিস, বিভিন্ন প্রকার ইমিটেশন গহনা নেকলেস- ৭৩ পিস, চুড়ি -১১৩ পিস, টিকলী-৫৫ পিস, আংটি-১১ পিস ও দুল ৮৬ পিস।
বৃহস্পতিবার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম জাবের বিন জব্বার, পিএসসি,এসি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় পণ্যের আনুমানিক মূল্য সাতষট্টি লাখ বাহাত্তর হাজার টাকা। বিজিবির টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা অবৈধ চোরাচালানী মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানে বাংলাদেশি ছাড়াও ৫ জন চীনা ও ১ জন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কেদাহ রাজ্যের কুলিমে বিদেশি কর্মী নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা প্রদানকারী অফিসে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিদজুয়ান মোহাম্মাদ জেইন বলেন, ‘কেদাহ জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশনস ইউনিটের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২৮ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে ২২২ জন বাংলাদেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় তদন্তে দেখা গেছে, জড়িত কর্মসংস্থান সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা দিয়ে আসছিল।
এজেন্সিটি সব সেক্টরে কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আসছিল। আটকদের ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আলোর সেতার ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের আরও সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর বলেন, ‘কোনো কর্মসংস্থান সংস্থা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওই সংস্থাটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত কি না তা নিশ্চিত হয়ে সেখানে যেতে হবে।