কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৯ সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক, 30 April 2024, 44 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বিয়ায় ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২৯ এপ্রিল সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক হেলিকপ্টারটি অভিযানের জন্য সান্তা রোসা দেল সুর এলাকায় সৈন্যদের নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকাটিতে সম্প্রতি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গেরিলা গ্রুপ এবং গালফ ক্ল্যান নামে পরিচিত মাদক পাচারকারী গ্রুপের মধ্যে লড়াই চলছিল।’

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছেন, গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সেনাদের নিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।

মূলত, এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কলম্বিয়ায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীটির চার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি। সূত্র : এবিসি নিউজ

Leave a Reply

আখাউড়ায় জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা

চলারপথে রিপোর্ট : আগামী ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় ও জেলা Read more

সরাইলে শান্তির দাবিতে শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : দাঙ্গা ভুলে গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া Read more

কানাডা-জাপান সফরে গণপূর্তমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র Read more

নবীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ব্রাহ্মণহাতা (নারুই) গ্রামে মাটি Read more

আখাউড়ায় আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ চারজন…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আবাসিক হোটেল থেকে দুই Read more

কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি Read more
ফাইল ছবি

হিট অ্যালার্টের মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

চলারপথে রিপোর্ট : সারাদেশে কয়েক দিন ধরে চলছে তীব্র গরম। Read more

সরাইলে অসহায় দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আলী বক্স এন্ড ফ্রেন্ডস Read more

শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশ আজ…

চলারপথে রিপোর্ট : অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি Read more

শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান…

চলারপথে রিপোর্ট : ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় ১৪০ জনের অংশ…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা রানার্স Read more

তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশের উদ্ধারকারীরা তরুণীকে উদ্ধার করল

আন্তর্জাতিক, 10 February 2023, 762 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক তরুণীকে জীবিত উদ্ধার করেছে তারা। এ ছাড়া তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল বুধবার তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। পরদিন তারা দেশটির আদানা মিলিটারি এয়ার বেইস-এ পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানায়।

এদিকে ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বড় তাবু, ছোট তাবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনা খাবার ও ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ উড়োজাহাজের সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা।এই মিশনের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।

এর আগে বুধবার রাতে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে অংশ নিতে তুরস্কে গেছে বাংলাদেশের একটি ‘সম্মিলিত সাহায্যকারী দল’। ৬০ সদস্যের দলটিতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৪ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে বাংলাদেশ। সেদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হয় বিশেষ প্রার্থনা। বাতিল করা হয় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি।

দ. কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পের সময় নারীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক, বিনোদন, 2 March 2024, 233 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পিং প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।

মারা যাওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে।

তিনি প্ল্যাটফরম থেকে আট মিটার নিচে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি গেয়ংগি প্রদেশের স্টারফিল্ড আনসেং মলে অবস্থিত প্ল্যাটফরম থেকে বাঞ্জি জাম্প করার চেষ্টা করেছিলেন।
গেয়ংগি নামবু প্রদেশের পুলিশের ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ ক্যারাবিনারের কারণে বাঞ্জি কর্ডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ এখনো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
দুর্ঘটনার সময় ওই নারী নিরাপত্তার সরঞ্জামে সজ্জিত ছিলেন। তবে একটি ক্যারাবিনার (একধরনের সুরক্ষা হুক) সুরক্ষিত ছিল না। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে ফেরেননি। পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি জাম্প প্ল্যাটফরমের একটি থেকে লাফ দিয়ে এক জাপানি পর্যটক মারা যান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়। ৫৬ বছর বয়সী ওই পর্যটক ম্যাকাও পৌরসভার ম্যাকাও টাওয়ারের ৭৬৪ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল।

এর আগে ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৩০ ফুট উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পের সময় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সূত্র : এনডিটিভি

ইতালির ‘আনকোনা সিটি’ নির্বাচনে প্রার্থী দুই বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক, 5 May 2023, 748 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ইতালির নামকরা বন্দর শহর ‘আনকোনা সিটি করপোরেশন’ নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।

দেশটির প্রধান একটি রাজনৈতিক দল ‘ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ (পিডি) থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন উম্মে সালসাবিল তাশিনা।

অপরদিকে করোনাকালে ইতালিতে ক্ষমতায় থাকা ব্যাপক জনপ্রিয় দি মায়িয়োর ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন নাজমুল আহমেদ নাহিদ।

উল্লেখ্য, ‘আনকোনা সিটি করপোরেশন’ নির্বাচনে সর্বমোট ৩২টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৫৩৬ জন।

শহরটির প্রায় এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার। এর মধ্যে এক হাজারের মতো বাংলাদেশি নাগরিক যৌথভাবে ইতালির নাগরিকত্ব নিয়ে আসন্ন এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।

আগামী ১৪ ও ১৫ মে শহরটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে এই দুই বাংলাদেশির মধ্যে যে কোনো একজন কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলে, শহরটিতে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন উভয় প্রার্থী।

এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডি) থেকে মনোনয়ন পাওয়া বাংলাদেশি উম্মে সালসাবিল তাশিনা বলেন, ‘ইতালিতে বাংলাদেশিদের অবস্থান আরও শক্ত করতে দেশটির (ইতালি) মূলধারার রাজনীতিতে আমাদের অংশ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। আমি নির্বাচিত হলে এই আনকোনার মাটিতে বাংলাদেশিদের অবস্থান শক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাব। ’

অপরদিকে ফাইভস্টার মুভমেন্ট থেকে মনোনয়ন পাওয়া আরেক বাংলাদেশি নাজমুল আহমেদ নাহিদ বলেন, ‘অনেকেই এদেশে বেড়ে ওঠা পরবর্তী প্রজন্মকে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পড়ালেখার জন্য অন্য দেশে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু আমরা চাই, এই প্রজন্ম এখানে বেড়ে উঠে এখানকার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আমাদের অবস্থান শক্ত করুক।’

নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই দুই প্রার্থীর মধ্যে উম্মে সালসাবিল তাশিনা ফেনীর মেয়ে। চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ইতালিতে পাড়ি জমান তিনি। আরেক বাংলাদেশি প্রার্থী নাজমুল নাহিদের বাড়ি কুমিল্লায়।

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক চলাচল চলতি মাসেই

আখাউড়া, আন্তর্জাতিক, 22 August 2023, 743 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ও ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল চলতি মাসেই হচ্ছে। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আখাউড়-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা জানান।

এর আগে দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মো. আবু জাফর মিয়ার নেতৃত্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দুদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা মূলত আজকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরীক্ষামূলক ট্রায়াল করতে আসিনি। এ রেলপথ প্রকল্পের কাজটা দেখতে এসেছি, কাজটা কোন পর্যায়ে আছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে তার দাবি। চলতি মাসের মধ্যেই দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ আখাউড়া-আগরতলা বহুল কাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল রান করা হবে।

এ রেলপথ স্থাপনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যবাসীও খুব উচ্ছ্বসিত। আর এর মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি ও বাণিজ্য জোরালো হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী বলেন, মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দুজনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশির চিঠি

আন্তর্জাতিক, 27 August 2023, 330 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি লেখা মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্যকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশন’। সেখানে কংগ্রেসম্যানদের চিঠির তথ্যকে অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠির তথ্যের সত্যতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কংগ্রেসের যে ছয় সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন ব্যারি মুর, টিম বার্চেট, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, স্কট পেরি ও কিথ সেলফ।

গত ২৬ আগস্ট ওই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত ২৬৭ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, মার্কিন সরকারি উচ্চপদে কর্মরত বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তরুণরা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা চিঠিতে নিজের জন্মভূমি সম্পর্কে মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্য লেখা হয়েছে।

এতে গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে তাদের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী-পুরুষের সম-অধিকার, নারী উন্নয়ন প্রগতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতাকে বিবেচনা না করে খুবই সংকীর্ণ আর একচোখাভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশনের সদস্যরা চিঠিতে মনে করিয়ে দেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীসহ বাংলাদেশবিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে লবিস্ট ফার্ম দিয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে থাকে। চিঠিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশি খ্রিস্টান কমিউনিটি প্রধানের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সবাই সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শন্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা এবং অর্জন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের হয়ে শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে নিহতদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনার কারণে এত বিশাল অবদান আর আত্মত্যাগ কি অস্বীকার করবে জাতিসংঘ? জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল অংশগ্রহণকে নিষিদ্ধ করা কোনোভাবেই নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বমানবতা রক্ষায় ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেয়। এত বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু পৃথিবীর আর কোনো দেশ একসঙ্গে আশ্রয় দেয়নি উল্লেখ করে মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর অবদান তুলে ধরা হয়। শেখ হাসিনা নিজ দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে এত বিশাল সংখ্যক অসহায় উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘ থেকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃত হন।

গণতন্ত্র নস্যাতের অভিযোগের জবাবে বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংগঠন অতীতের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী বিএনপি-জামায়েত-শিবিরের সন্ত্রাস ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, আমেরিকান হিসেবে তারা ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে, কিন্তু তার পরও আমেরিকা গণতন্ত্র ব্যবস্থা, মানবিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সে তুলনায় ৫২ বছর বয়সী বাংলাদেশের চেষ্টাটি প্রশংসার দাবি রাখে কি না, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছে চিঠিতে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং মানবতা উন্নয়নের চারটি দিক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই দুর্নীতি দমনে কার্যকর ও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের নানা পর্যায়ে দুর্নীতি কমে আসছে ক্রমান্বয়ে। দীর্ঘ সময় অবৈধ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি ও অন্যান্য স্বৈরশাসকের আমলে দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে বিস্তার লাভ করেছিল যে রাতারাতি তা নির্মূল করা সম্ভব নয়।

দ্বিতীয়ত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ সামরিক শাসকদের দুঃশাসন ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসে। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, দীর্ঘদিন সামরিক শাসিত একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোনো সহজ কাজ নয়। তার পরও বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মানের গণতান্ত্রিক ভাবধারায় বাংলাদেশকে উন্নীত করতে।

তৃতীয়ত, রাষ্ট্রীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী মতকে দমন-নিপীড়ন ও হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ও সামরিক শাসকদের আমল থেকে। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আইনের শাসনে ফিরিয়ে এনে সন্ত্রাস-মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ দেখিয়ে বাংলাদেশ সুশাসনের ধারায় ফিরছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

চতুর্থত, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং একই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন বন্ধুদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে আবার যদি বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সরকার গঠিত হয়, তাহলে এ অঞ্চলে মৌলবাদের বিস্তার লাভ করবে আগের মতো। যা প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্যও হুমকিস্বরূপ। ২০০১-০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের ছত্রচ্ছায়াতেই এ অঞ্চলে ইসলামী জিহাদি আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে।