চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার পর স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর ও আশেপাশের এলাকায়ও শুরু হয় বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির বর্ষণে প্রকৃতিতে নেমে আসে স্বস্তির হাওয়া। এ সময় দফা দফায় বজ্রপাতে প্রকম্পিত হয় আকাশ। এদিকে বৃষ্টির ফোটা শুরু হবার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজন পোষ্ট করতে শুরু করে বৃষ্টি পড়ার খবর। আর এটা দেখেই বোঝা যায় মানুষ কতটা প্রতীক্ষা করেছে এই বৃষ্টির জন্য।
এদিকে বৃষ্টি নামায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে শহরবাসীর মধ্যে। বৃষ্টিপাতে কিছুটা কমে আসে তাপমাত্রা। সারাদেশের ন্যায় গত বেশকিছু দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও দাবদাহ চলছিল। দাবদাহের কারণে জনজীবনে নেমে অস্বস্তি, বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির জন্য হয় বিশেষ দোয়া মোনাজাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রামের বাসিন্দা মো: আব্দুল আলিম বলেন, এ বৃষ্টি সস্তির ও শান্তির বৃষ্টি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। এই কয়েক দিনের গরমে আমরা অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে মানুষ খুব কষ্ট করেছে। বিশেষ করে খেটেখাওয়া মানুষের কষ্ট আমি নিজের চোখে দেখেছি। এই বৃষ্টির ফলে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমেছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
আজ মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন কাল। জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তববক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থনরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।
আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।
বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা। অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ, বারুদে বারুদে আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শ্মশান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের আর খুলির স্তুপ একদিন পাললিক হয়।
মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।
অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।
স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিকেলে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পেয়েছেন “ডাব” প্রতীক, এই আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন “ সিংহ” প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন “মটর গাড়ি (কার)” প্রতীক, এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন “লাঙ্গল” প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন “গোলাপ” ফুল প্রতীক।
উপ-নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বিকেলে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এই আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামীলীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল- মামুন সরকার বলেন, ‘এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তারা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মূলত নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে অনেকটা অসময়ে। দলের প্রার্থীরা সময় নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি। ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আজ ৯ মে শুক্রবার দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ৩২ জনকে উপদেষ্টা ও ৬৮ জনকে সদস্য করা হয়।
নিম্নে পূর্ণাঙ্গ কমিটি উল্লেখ করা হলো: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা বিএনপি’র উপদেষ্টা মন্ডলী: ১. প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ এ্যাড. হারুন-আল রশিদ, ২. উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, ৩. উপদেষ্টা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ৪. উপদেষ্টা এ্যাড. মোঃ খোরশেদ আলম, ৫. উপদেষ্টা সাইদুল হক সাঈদ, ৬. উপদেষ্টা আব্দুল খালেক, ৭. উপদেষ্টা তকদির হোসেন মোঃ জসিম, ৮. উপদেষ্টা এ্যাড. রফিক শিকদার, ৯. উপদেষ্টা শেখ মোঃ শামীম, ১০. উপদেষ্টা এ্যাড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া, ১১. উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, ১২. উপদেষ্টা মোঃ আবু আসিফ, ১৩. উপদেষ্টা আব্বাস উদ্দিন খান, ১৪. উপদেষ্টা হাজী সৈয়দ এমরানুর রেজা, ১৫. উপদেষ্টা মোঃ জহিরুল হক (বি.এ), ১৬. উপদেষ্টা এ্যাড. সিরাজ আবেদ, ১৭. উপদেষ্টা মোঃ তফাজ্জল হোসেন, ১৮. উপদেষ্টা এ্যাড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন খান, ১৯. উপদেষ্টা আ: রহিম (কমিশনার), ২০. উপদেষ্টা মেজর (অব:) সাঈদ, ২১. উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ রুবেল, ২২. উপদেষ্টা উম্মে আসমা পলি (শিক্ষক), ২৩. উপদেষ্টা ইব্রাহীম ভূঁইয়া, ২৪. উপদেষ্টা ইঞ্জি. মোঃ আদিল সরকার, ২৫. উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ রুবেল, ২৬. উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ শাকিল, ২৭. উপদেষ্টা মোঃ গিয়াস উদ্দীন, ২৮. উপদেষ্টা সাইফুল হক, ২৯. উপদেষ্টা মোঃ ফারুক মিয়া, ৩০. উপদেষ্টা এম রওশন আলম, ৩১. উপদেষ্টা ডা. মনিরুল ইসলাম চয়ন, ৩২. উপদেষ্টা মোঃ উজ্জ্বল।
১. সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, ২. সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জহিরুল হক খোকন, ৩. সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৪. সহ-সভাপতি এ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, ৫. সহ-সভাপতি মোঃ আনিসুল ইসলাম ঠাকুর, ৬. সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ আনিসুর রহমান মঞ্জু, ৭. সহ-সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, ৮. সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ তরিকুল ইসলাম খান রুমা, ৯. সহ-সভাপতি এ্যাড. কামরুজ্জামান মামুন, ১০. সহ-সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন রিপন, ১১. সহ-সভাপতি মোঃ নজির উদ্দিন আহমেদ, ১২. সহ-সভাপতি মোঃ মলাই মিয়া, ১৩. সহ-সভাপতি আবু শামীম মোঃ আরিফ, ১৪. সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, ১৫. সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াস, ১৬. সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল আল-বাকী, ১৭. সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান মিয়া, ১৮. সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, ১৯. সহ-সভাপতি ডাঃ মোঃ মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী, ২০. সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ২১. সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী আজম, ২২. যুগ্ম সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, ২৩. যুগ্ম সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, ২৪. যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আজিম, ২৫. যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, ২৬. যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল হোসেন চপল, ২৭. যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, ২৮. যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হুদা খন্দকার, ২৯. কোষাধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান, ৩০. সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান শাহীন, ৩১. সাংগঠনিক সম্পাদক তানিম শাহেদ রিপন, ৩২. সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম মোল্লা, ৩৩. সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, ৩৪. দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. মোঃ সামসুজ্জামান কানন, ৩৫. প্রচার সম্পাদক মোঃ মাহিন, ৩৬. মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুক মিয়া, ৩৭. প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, ৩৮. আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নুরুজ্জামান লস্কর তপু, ৩৯. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস শামসুন্নাহার, ৪০. যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিয়ামুল হক, ৪১. ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, ৪২. শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোস্তফা মিয়া, ৪৩. স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম আবুল বাশার, ৪৪. প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুল হুদা সরকার, ৪৫. তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আরমান উদ্দিন পলাশ, ৪৬. প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মোতাহের হোসেন, ৪৭. অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, ৪৮. ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাব্বির হোসেন, ৪৯. মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ ইসহাক মিয়া, ৫০. স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বি: সম্পা: ডা: সুপ্রিয় রায়, ৫১. পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মজিবুর রহমান মন্টু, ৫২. শিশু বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম নুরুল হাসান আলম, ৫৩. ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কাওছার কমিশনার, ৫৪. ক্ষুদ্র ঋণ ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মহসিন মিয়া, ৫৫. ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল হোসেন, ৫৬. গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জমির হোসেন দস্তগীর, ৫৭. সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৫৮. স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ সাদির, ৫৯. শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আল-আমিন লিটন, ৬০. মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক হাসান আল-মামুন, ৬১. তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৬২. সহ-কোষাধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম চকদার, ৬৩. সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির আহমেদ, ৬৪. সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, ৬৫. সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফ হোসেন, ৬৬. সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হক, ৬৭. সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ জসীম উদ্দিন, ৬৮. সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ ছাদেকুল ইসলাম, ৬৯. সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জিয়াউদ্দিন মুন্সী আঙ্গুর, ৭০. সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইকলিল আজম, ৭১. সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আশ্রাফ রহমান, ৭২. সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মহসীন, ৭৩. সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ জাকারিয়া, ৭৪. সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ওসমান মিয়া, ৭৫. সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জয়নাল খান, ৭৬. সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ আল-আমীন, ৭৭. সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহেদ মিয়া, ৭৮. সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কাজল মিয়া, ৭৯. সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবু সন্তোষ ঋষি, ৮০. সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডা: কিবরিয়া চৌধুরী পাবেল, ৮১. সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল আহমেদ, ৮২. সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু কালাম, ৮৩. সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইমন খন্দকার,
৮৪. সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ৮৫. সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়া, ৮৬. সদস্য এ্যাড. এম এ মান্নান, ৮৭. সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, ৮৮. সদস্য এ্যাড. ফকরুউদ্দীন আহমেদ, ৮৯. সদস্য এম এ হান্নান, ৯০. সদস্য মোঃ আবু ছায়েদ, ৯১. সদস্য ইঞ্জি. শফিকুল ইসলাম, ৯২. সদস্য মোঃ মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, ৯৩. সদস্য মোঃ মহসিন মোল্লা, ৯৪. সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, ৯৫. সদস্য মোঃ বশির উদ্দীন তুহীন, ৯৬. সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, ৯৭. সদস্য মোঃ শরীফুর হক স্বপন, ৯৮. সদস্য মোঃ শরীফুল ইসলাম শরীফ, ৯৯. সদস্য ডা. খুরশিদ আলম, ১০০. সদস্য মোঃ আইয়ুম খান, ১০১. সদস্য মোঃ সেলিম ভূইয়া, ১০২. সদস্য মোঃ আক্তার হোসেন, ১০৩. সদস্য মোঃ নাজমুল করিম, ১০৪. সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক লিটন, ১০৫. সদস্য মোঃ মাসুদ রানা, ১০৬. সদস্য একে এম মুসা, ১০৭. সদস্য এমদাদুল হক সাইদ, ১০৮. সদস্য মোঃ ছালেহ মুসা, ১০৯. সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, ১১০. সদস্য আহসান উদ্দিন খান শিপন, ১১১. সদস্য তরুন দে, ১১২. সদস্য মোঃ আলী আজম চৌধুরী, ১১৩. সদস্য এ্যাড. শরীফুল ইসলাম লিটন, ১১৪. সদস্য মোঃ হামদু মিয়া, ১১৫. সদস্য মোঃ ইদ্রীস মিয়া, ১১৬. সদস্য কে এম মামুন অর রশীদ, ১১৭. সদস্য আশরাফুল করিম রিপন, ১১৮. সদস্য মোঃ ছাদেক মিয়া, ১১৯. সদস্য মোঃ রহমত উল্লাহ, ১২০. সদস্য মোঃ আল-আমিন, ১২১. সদস্য মোঃ হযরত আলী, ১২২. সদস্য ইঞ্জি. কাজী দবীর উদ্দীন, ১২৩. সদস্য দেওয়ান মোঃ নাজমুল হুদা, ১২৪. সদস্য মোঃ বিল্লাল খন্দকার, ১২৫. সদস্য মোঃ বাবুল খান তাপস, ১২৬. সদস্য মোঃ মুক্তার হোসেন, ১২৭. সদস্য হাসিবুর রহমান লিটন, ১২৮. সদস্য মেহেরুন নিছা মেহেরীন, ১২৯. সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম, ১৩০. সদস্য মোঃ ফারুক কমিশনার, ১৩১. সদস্য মোঃ জিয়াউল হক রতন, ১৩২. সদস্য মিজানুর রহমান খান পাপ্পু, ১৩৩. সদস্য ডা. শারমিন সুলতানা, ১৩৪. সদস্য মোঃ নাদিম মিয়া, ১৩৫. সদস্য মোঃ নিয়ামত খান, ১৩৬. সদস্য মোঃ ইলিয়াছ, ১৩৭. সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মেদ, ১৩৮. সদস্য এ্যাড. ইসমত আরা সুলতানা, ১৩৯. সদস্য শামীমা বাছির স্মৃতি, ১৪০. সদস্য কামাল হোসেন জয়, ১৪১. সদস্য সেলিম মোস্তফা, ১৪২. সদস্য এ্যাড. জেসমিন আক্তার, ১৪৩. সদস্য শাহ মাহমুদা আক্তার, ১৪৪. সদস্য ডা. মোঃ নাজমুল হুদা বিপ্লব, ১৪৫. সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক গিয়াস, ১৪৬. সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান, ১৪৭. সদস্য ওমর ফারুক, ১৪৮. সদস্য মোঃ নুরল আমিন নুর, ১৪৯. সদস্য মোকাদাস মোল্লা হৃদয়, ১৫০. সদস্য সাজিদুল কিবরিয়া সুজন, ১৫১. সদস্য হানিফ খন্দকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে অব্যাহত তীব্র তাপদাহে প্রাণী ও পরিবেশ ক্রমশ: উত্যপ্ত হয়ে উঠছে। যেখানে একটু ছায়ার জন্য হন্যে হয়ে ছুটছে মানুষ, সেখানে শুধু মাত্র পেটের দায়ে এক শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ তীব্র রোদে পুড়ে শ্রম বিক্রি করছে।
জানা যায়, জেলার নাসিরনগর, সরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমের পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বিপুল পরিমান শ্রমিকের প্রয়োজন। মাথা পিছু দাম দর যাই থাকুক না কেন পাকা ধান ঘরে আনতে হবে তাই শ্রমিক প্রয়োজন। এদিকে বাধ্য হয়ে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িয়ে নিয়ে আসছেন শ্রমিকরা বিনিময়ে পাচ্ছেন কিছু টাকা। কিন্তু এই গরমে তাদেরও রয়েছে প্রাণনাশের ঝুঁকি।
অপরদিকে জেলা শহরের আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ভবন নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। এ সমস্ত নির্মাণ শিল্পে কাজ করছেন বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ। চলমান তাপদাহের প্রচন্ড গরম তাদের কাছে যেন কিছুই না। অথচ জীবিকার প্রয়োজনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তারাও কাজ করছেন এই গরমে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১ মে বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মসজিদ রোডস্থ ভূইয়া ম্যানশনে নিজস্ব কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: আরজু।
প্রধান আলোচক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জহির রায়হান, সাংবাদিক ইউনিয়ন সদস্য মো. মজিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান পলাশ, সামিউল আহমেদ, আব্দুর রহমান বুলবুল, আরিফুল হক জুযেল, হান্নান মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আধুনিকতার ছোয়ায় সংবাদ কর্মীদের কাজের পরিধি বেড়েছে? কিন্তু আগের মতোই জেলায় কর্মরত জাতীয় মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বেতন বৈষম্য রয়ে গেছে। এসময় বক্তারা স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে কর্মরত কর্মীদের শ্রম অধিকার আদায়ে কিছু দাবি উত্থাপন করেন।
দাবি গুলো হচ্ছে, জেলার স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইনে কর্মরত কর্মীদের নিয়োগপত্র প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটি ও সকল উৎসবে ভাতা প্রদানের দাবি। এছাড়াও জেলায় কর্মরত জাতীয় মিডিয়ার প্রতিনিধিদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রদান।