চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
আজ ৫ মে রবিবার সকালে পৌরসভার হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার আখাউড়া উপজেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি দুইবার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। অতীতের ভুলত্রুটির জন্য আমি ক্ষমা চাই। উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। ডিজিটাল আখাউড়া থেকে স্মার্ট আখাউড়া গড়ার লক্ষ্যে কসবা-আখাউড়ার অভিভাবক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে আমি কাজ করতে চাই। আমি দলীয় নেতাকর্মীসহ আখাউড়াবাসীর কাছে দোয়া ও আমার প্রতীক আনারস প্রতীকে ভোট চাই। এসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চান।
এসময় সভায় উপস্থিত আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়াকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কসবা-আখাউড়ার অভিভাবক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন। শেখ বোরহান উদ্দিন সরে দাঁড়ানোয় এখন দুজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া ছাড়া অপর প্রার্থী হলেন মোঃ মনির হোসেন।
প্রার্থীতা প্রত্যাহার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যালটে শেখ বোরহান উদ্দিনের প্রতীক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নতুন যোগাযোগ চালু হতে এখন আর মাত্র মাস দেড়েকের অপেক্ষা। পাঁচ বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর অবশেষে আসছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক এ পথে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
৬ জুন সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্মাণকাজের ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এরপর সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শন দলে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ রেললাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন ধারা সৃষ্টি হবে। ভারতীয়রা খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে। আমাদের দেশ নানাভাবে সুবিধা পাবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর জানান, রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষের পথে বাংলাদেশ অংশে মাত্র এক কিলোমিটার রেললাইন বসানোসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ এ পথ দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো যাবে।
এর আগে প্রকল্প পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগ প্রকল্পটি দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে। দুই দেশের বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আপনারা জানেন যে কোনো প্রজেক্টেরই এক বছর ডিফিকাল্ট লায়াবিলিটি থাকে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত আছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরের জুনের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। এরপর এক বছর ট্রায়াল রান হবে।
এ সময় রেলমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এটি দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আছে। তফসিল ঘোষণা হলে বড় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন করা যায় না। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।
আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ২০১৮ সালের জুলাইয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনাসহ নানা কারণে পাঁচ দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। দুই দেশের এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণকে সাথে নিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিহত করা হবে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে এবং স্থিতিশীল জীবন যাপন করছি। এটা বিএনপি-জামাতের সহ্য হচ্ছে না। তারা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আজ ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে ‘কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি বিএনপির দূর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ আর দেশ থাকবে না।’ এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে জনগণের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। এসময় আখাউড়া সড়ক বাজারে জনগণের চলাচলের অসুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ট্রাক্টর উল্টে সড়কের নিচে খাদে পড়ে চালক শেখ পারভেজ (২২) নিহত হয়েছেন।
১ মার্চ বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া-কসবা সড়কের মনিয়ন্দ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রাক্টরচালক শেখ পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার শেখ শাহ আলমের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই শেখ সবুজ জানান, ট্রাক্টরচালক শেখ পারভেজ মাটি সরবরাহের কাজ করতেন। মনিয়ন্দ এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি মাটি নিয়ে এক কৃষকের বাড়িতে ফেলছিলেন। মাটি নিয়ে দ্রুতগতিতে বাঁক ঘুরতে গিয়ে ট্রাক্টর উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তবে এ সময় তার সঙ্গে কোনো হেলপার ছিল না।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ আখাউড়ায় নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার নিকট থেকে ফরম সংগ্রহ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাসান খলিফা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এর আগে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, আখাউড়ায় এ পর্যন্ত ১টি ফরম বিক্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আনিসুল হক কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অ্যাড. সিরাজুল হক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাহানারা হকের সুযোগ্য পুত্র।