চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ১৬ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন যৌথ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হেলাল উদ্দিন, শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও অ্যাড: লোকমান হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা করে ৯০ হাজার টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস চৌধুরীকে ৫ হাজার টাকা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আগামী ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
২০ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীরা জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন, ও পোষ্টার ঝুলিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় দায়ে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৩০ হাজার করে ৯০ হাজার ও এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৫ হাজার এবং এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার বাদ আছর জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার কার্যালয়ের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে সদ্য প্রয়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান (সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় মানব কল্যাণ পদক প্রাপ্ত) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মিলাদ মাহফিলে চেম্বারের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন মার্কেট কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মরহুমের বর্ণাঢ্যময় কর্মময় জীবনের উপর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর ও সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, জগত বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও চেম্বার পরিচালক আল মামুন, চেম্বার পরিচালক ও মরহুমের শ্যালক তানভীর আহমেদ, মসজিদ রোড ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি কে এম আনোয়ার হোসেন আনার প্রমুখ।
উক্ত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, মমিনুল আলম বাবু, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, আবুল খায়ের, হারুনুর রশিদ, রেজুয়ানুল হক মনি, আব্দুল মালেক ও চেম্বার সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
মাহফিল পরিচালনা করেন রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও চেম্বার পরিচালক মোঃ শাহ আলম।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাও: সিগবাতুল্লাহ নূর।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১শত কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে ১টি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সুরুজ মিয়া (৩৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাসনপুর গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।
এছাড়াও অপর আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর নামক এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সানু মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত প্রয়োজন। একে অপরের প্রতি সহনশীলতা, সহমর্মিতা হতে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। সভ্যতার প্রয়োজনে আবারও আমাদের পরষ্পরের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল দলের, ধর্মের ও সর্বশ্রেণীর মানুষের, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জনপদের জন্য সকল মতের মানুষের পারষ্পরিক সহযোগিতা ও সহাবস্থান অপরিহার্য। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আজ ২১ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘জননিরাপত্তা’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব সংগঠন প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষের মধ্যে একধরণের শংকা বিরাজ করছে, মব জাষ্টিস, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা এসকল ক্ষেত্রে জনগনণর অসন্তুষ্টি মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) এর কাছে দৃশ্যমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে এই গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এমএএফ। ইউকেএইড এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত বাংলাদেশ ষ্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেস) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা প্রদান করেছে। সভায় বক্তারা যে সকল সমস্যা তুলে ধরেন। সভায় তলে ধরা সমস্যা ও সুপারিশ সমূহঃ
১. শহরে নারী নিরাপত্তার অভাব রয়েছে, রাস্তায়, বাসে, শিক্ষাঙ্গনে নিয়মিত হয়রানীর শিকার হতে হয়। ৬৫% নারী মনে করে পুলিশ যথাযথ সহায়তা করে না ফলে তারা কোন অভিযোগ দায়ের করতে চায়না।
২. সাইবার ও অনলাইন প্রতারণা নিয়মিত ঘটনা, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি
৩. বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের অযথা মব জাষ্টিস না করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের হাত তুলে দেওয়া উচিত। অথযা রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে তাকে হয়রানী করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৪. সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব, এক্ষেত্রে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে । সকল ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাই হল সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা ।
৫. কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, মাদক মানুষের জীবনমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসাবে মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী। জাতীয় পার্টির সদস্য আবু কাওছার খান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামীমা বাছির স্মৃতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানুল ফেরদৌসি। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ-অধিকার পরিষদ, মুসলিম, খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ম্যাফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক এবিএম মমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ ফেলো সাঈদ হাসান সানি, সমির চক্রবর্তী, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থীদের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের বিএনএম প্রার্থী শাহ জামাল রানা। তার আসনে সুষ্ঠু ভোটের সম্ভাবনা ৫০ ভাগ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনএম প্রার্থী শাহ জামাল রানা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে সুষ্ঠু ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ ভাগ। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সকলেরই কাম্য। পরে তিনি স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়তে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভিপি জামশেদুর রহমান জামশেদ, জহিরুল ইসলাম ও অনিক আহমেদসহ কর্মী সমর্থকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ সময়ের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের জৌলুস আগের মতো আর নেই। পাটের ভালো ফলন হলেও চাষিরা আশানুরূপ লাভবান হতে পারছেন না। এছাড়াও পাট জাক (পঁচানো) দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও জায়গা না থাকায় চাষীরা বিপাকে পড়েন। তবু ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বংশ পরস্পরায় অনেক চাষি এখনো পাটের চাষ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে। এ বছর জেলায় উৎপাদিত পাট প্রায় ৬০ কোটি বিক্রির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে চলতি বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো ৪ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমি। ২ হেক্টর জমি বেশী চাষ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় চাষীরা এবার তাদের জমিতে দেশী কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে পাটের আকার কিছুটা ছোট হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে এখন চলছে পাটকাটা, পাট জাক দেয়া ও পাট শুকনোর কাজ। তবে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমান পানি না হওয়ায় ও পাট জাক দেয়ার (পঁঁচানো) পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বিপাকে পরেছেন পাট চাষীরা।
পাট চাষিদের অভিযোগ পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। এজন্য কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তবে কৃষি বিভাগের দাবি ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে পাটের আবাদ।
চাষিরা জানান, এক সময় পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। পাট বিদেশে রপ্তানী হতো অর্জিত হতো বৈদেশিক মুদ্রা। ওই সময়ে সোনালী আঁশ পাট চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছিলো বড়-বড় হাট বাজার। এখন পাটের সোনালী দিন আর নেই। ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বংশ পরস্পরায় অনেকে এখনো পাটের চাষ করছেন।
নাসিরনগরের দুলাল মিয়া নামে এক পাট চাষী জানান, আমরা যে আশা করে পাট চাষ করেছিলাম বৃষ্টি না থাকার কারনে আমাদের পাটগুলো আকারে ছোট হয়েছে। আগে পানির মধ্যে পাট কাটতে খরচ কম হতো কিন্তু এবার খরচ বেশি হয়েছে। পানি না থাকার কারণে পাট এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতেও খরচ হয়। আর যদি পানি থাকতো তাহলে এখানেই সবকিছু করা যেতো। তিনি বলেন, বর্তমানে ২ হাজার টাকা মন দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এই দামে পাট বিক্রি করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। সরকার যদি পাটের দামটা ৩ হাজার টাকা করে দিতো তাহলে আমরা লাভবান হতাম।
বিজয়নগর উপজেলার ফরিদ মিয়া নামে আরেক পাট চাষী বলেন, এবার আমরা পাট নিয়ে খুবই চিন্তিত। পানি না থাকায় জমি থেকে পাট কেটে অন্য জায়গায় নিতে শ্রমিক খরচও লাগছে। আমরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। তিনি বলেন, পাট জাক দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় আমাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবছর পাটের ভালো ফলন হয়েছে। পাট চাষে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছর আমাদের পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমি, চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমি। তিনি বলেন, জেলার নাসিরনগর, সরাইল, বিজয়নগর, নবীনগর এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাটের আবাদ বেশী হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে দেশী কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করেছেন। জেলায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ১৬১টি বেল পাট উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৬০কোটি টাকা।