অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা শুরু হলে পরিষেবা স্থগিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর এক সপ্তাহ পরে আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে অতি সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির।
আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। সংঘাত পরবর্তী সময়ে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন দিয়ে চালু হচ্ছে রেলপথ। কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে এসব ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচ ঘণ্টা শিথিল সময়ের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ফলে আপাতত কমিউটার ট্রেন চলবে। আগামী শুক্রবার থেকে কিছু আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। কাল সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে। প্রসঙ্গত, রেলে সাধারণত একটা ট্রেন কোনো গন্তব্যে গেলে সেটি ফিরে আসার পর এক ট্রিপ ধরা হয়।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র। এর মধ্যে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এর বাইরে মালবাহী ট্রেন আজও কিছু চলাচল করেছে। আর তেলবাহী ট্রেন গতকাল ২৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি মালবাহী ট্রেন আজ চলাচল করেছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে চলছে তেলবাহী ট্রেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই দেশি-বিদেশি চাপ আসুক, এ দেশের মানুষ চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আমরাই আমাদের দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেব। আমরা পরমুখাপেক্ষী হবো না, পরের ওপর নির্ভর করে থাকবো না।
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আজ ৭ জুন বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে যা করার তা আওয়ামী লীগই করেছে। দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে এখন সচেতন। কেউ ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় না।
আমেরিকার ভিসা নীতি বিএনপির বিরুদ্ধে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি মনে করে অন্য কেউ কোথাও থেকে এসে নাগরদোলায় করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু দেবে না। ব্যবহার করবে, কিন্তু ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে একমাত্র জনগণ।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। দশ থেকে ১৫ দিন পর দেশে আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না। এর মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
অনলাইন ডেস্ক :
মালদ্বীপে বসবাসরত অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধকরণ ও কর্মীদের নিয়োগ বাড়াতে দেশটির সরকারের প্রতি বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রাশেদের সাথে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে মালদ্বীপের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষত চিকিৎসা শিক্ষায় অধ্যয়নরত রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মালদ্বীপের আরো শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা হাইকমিশনারকে শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্বকালীন বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
হাইকমিশনার শিউনিন উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমাদের আমদানি বেড়েছে, বিশেষত ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে। আগামীতে দুই দেশের মধ্যে আরো সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে। কিছু বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে মালদ্বীপে ব্যবসা শুরু করেছে। মালদ্বীপে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যে প্রচারণা চালাচ্ছেন, সেজন্য হাইকমিশনার তাকে ধন্যবাদ জানান। জলবায়ু কর্মসূচিতে আপনার প্রতিশ্রুতি দেখে আমরা অনুপ্রাণিত। মালদ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। নারী পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। আর তাদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩য় বারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ জুন রবিবার মৌলভীবাজারের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চা বোর্ডের প্রথম বাঙালী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাইয়ে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ৪ জুনকে “ জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৩য় বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
মস্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
চায়ের বাজারে ঠিকে থাকতে হলে চা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটিয়ে বিশ্ব বাজারে ব্রাডিং করতে চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে চা শ্রমিক ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং চা শ্রমিকরা তা মেনে নিয়েছেন।
প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫-৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে প্রদেয় ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ চা শিল্পের বিকাশ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে অনুপ্রাণিত করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার পথ তৈরি করতে হবে। সে জন্য নতুন নতুন ব্যান্ডিং এর খুবই প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইপ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা বোর্ড।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক জেলা আ’লীগ, কামরান টি রহমান সভাপতি বাংলাদেশীয় চা সংসদ, মো. জসিম উদ্দিন সভাপতি এফবিসিসিআই, শাহ মঈনুদ্দিন হাসান সভাপতি টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।
চা শিল্পে অবদানের জন্য জাতীয় চা দিবসে প্রথম বারের মতো ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানী/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হয়।
দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত ছিল। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় চা পুরস্কার প্রাপ্ত ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান
(২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান
(৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রতায়ন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়)
(৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান
(৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি:
(৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি:
(৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)-উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের সব মুসলিম দেশ একসঙ্গে কাজ করলে, ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবসহ মুসলিমদের জন্য আরও ভালো অবস্থানে পৌঁছানো সহজ হতো। আজকে যদি আমাদের সকল মুসলিম দেশগুলো এক হয়ে একযোগে কাজ করতে পারতো, তাহলে আমরা এ বিষয়ে আরও অগ্রগামী হতে পারতাম।
আজ ৮ মে বুধবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজক্যাম্পে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হজ কার্যক্রম ২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মধ্যে তিনি নিজেকে একমাত্র বোন (সরকারপ্রধান) হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার এখানে একটাই কথা- সবাই এক হন এবং এ ধরনের অন্যায় অবিচার যেন আমাদের ওপর না হয়, সেজন্য সবাইবে লক্ষ্য রাখবেন।’
আন্তর্জাতিক যে ফোরামে কথা বলেছেন সেখানেই ফিলিস্তিনিদের জন্য তার কণ্ঠ সোচ্চার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। কারণ ফিলিস্তিনিরা আরব ভূ-খণ্ডে তাদের জায়গা পাবে, এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। কাজেই সেই অধিকার তাদের দিতে হবে।
১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতার ভাষণেরও এখানে উদ্ধৃতি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আরব ভাইদের ওপর যে নিদারুণ অবিচার হয়েছে অবশ্যই তার অবসান ঘটাতে হবে। অন্যায়ভাবে দখলকৃত আরব ভূমি অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। জেরুজালেমের ওপর আমাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই জেরুজালেমে মুসলমানদের যে অধিকার, এটা প্রতিষ্ঠা করার কথাও জাতির পিতাই তার বক্তব্যে বলেন। আপনারা দেখছেন ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। সেখানে নারী ও ছোট ছোট শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। কাজেই তাদের জন্য, বাংলাদেশের জন্য ও সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য আপনারা (হজযাত্রী) দোয়া করবেন।
প্রধানমন্ত্রী হজযাত্রীদের কাছে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, তার সরকার হাজিদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধাসহ হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে, সেটা ধরে রেখে যেন এটাকে আরও উন্নত করতে পারে, সে দোয়াটা আপনারা করবেন। দেশের মানুষের জন্য দোয়া করবেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের মানুষের জন্য গোলা ভরা ধান দেন, পুকুর ভরা মাছ দেন, সুন্দর-উন্নত জীবন দেন, সেই দোয়া করবেন।
এ সময় তার সরকার হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান বক্তৃতা করেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারও বক্তৃতা করেন। দুজন হজযাত্রী অনুষ্ঠানে নিজস্ব অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা প্রদর্শিত হয় এবং শেষে দেশ-জাতি ও হজযাত্রীদের সার্বিক মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ বছর মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-৩৩০১) ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
‘হজ কার্যক্রম ২০২৪’ উদ্বোধন করার সময় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু বলবো যে আজকে আমরা হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করেছি, প্রতিবারই যারা যাচ্ছেন, যেকোনও সমস্যা হচ্ছে সেটাকে আরও উন্নত করার পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর এক্ষেত্রে সৌদি সরকার সবসময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি সৌদি বাদশাহ এবং ক্রাউন প্রিন্সকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সার্বিক বিমান পরিবহনের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে যেমন, তেমনি নিজস্ব বিমানেও আমরা এখন হজযাত্রী আনা-নেওয়া করতে পারি। আজ আমরা ই-হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছি। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এরপর আর কোনও কষ্ট করতে হবে না, আপনারা ঘরে বসেই সব ব্যবস্থা পাবেন। সোজা প্লেনে উঠবেন, চলে যাবেন। সেই ধরনের ব্যবস্থা আমরা করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে মালপত্র নেওয়া বা ওখান থেকে মালপত্র নিয়ে আসা বা জমজমের পানি নিয়ে আসার সব ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। মক্কা-মদিনায় হজ অফিস স্থাপন করাসহ জেদ্দায় আলাদাভাবে টার্মিনালে জায়গা ভাড়া নিয়ে আমাদের হাজিরা যাতে সেখানে গিয়ে অবস্থান করতে পারেন সেই ব্যবস্থাটাও করেছি। আমরা যখন সরকারে এসেছি তখন থেকেই এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি এবং প্রতি বছর টার্মিনালে এই ব্যবস্থাটা আমরা রাখি। কারণ আগে যাত্রীদের এখানে সেখানে ফুটপাতে বসে থাকতে হতো।
তিনি ১৯৮৪ সালে প্রথম ওমরাহ এবং ১৯৮৫ সালে হজ পালনে যাওয়ার পর থেকেই দেখেছেন হজযাত্রীরা ফুটপাত বা এখানে সেখানে অবস্থান করছেন। তাদের অবস্থানের কোনও জায়গা ছিল না। তখন সরকারে না থাকলেও সৌদি প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে তিনি এসব অব্যবস্থাপনা দূর করার প্রচেষ্টা নেন এবং এতে সৌদি প্রশাসন সাড়া দেয়। তিনি বলেন, পরবর্তীতে সরকারে এসে আধুনিক হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে তিনি পদক্ষেপ নেন। সূত্র: বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিানইদহের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপ্লব খাঁ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক উপজেলার বারবাজারের বাডেদিহি গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে মটরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বিপ্লব মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বারোবাজার সুবর্ণসরা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ।