জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের কিয়ুশু এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য, রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মিয়াজাকির উপকূল থেকে ২০ মাইলের কম দূরত্বে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি।
ভূমিকম্পের পরপরই জাপানের কিয়ুশুর পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূল এবং শিকোকুর দক্ষিণ উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সূত্র : জাপান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (ভারত-বাংলাদেশে যার পরিচিতি ব্রহ্মপুত্র) বেইজিংয়ের বাঁধ নির্মাণের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, এ বিষয়ে ভারতের মতামত ও উদ্বেগের কথা চীনকে জানানো হয়েছে। অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে।
৩জানুয়ারি শুক্রবার চীনের বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সেই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে। সরকার সেইমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।
জানা গেছে, এই বাঁধ নির্মাণে চীনের খরচ হবে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। দেশটির ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের চেয়ে বড় প্রস্তাবিত এই বাঁধ। এটি নির্মিত হলে তা হবে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ। প্রস্তাবিত বাঁধ নিশ্চিতভাবেই দুই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের নদীপ্রবাহে প্রভাব ফেলবে। দুই দেশই এ বিষয়ে চিন্তিত।
এ নিয়ে জয়সোয়াল বলেন, ওই তল্লাটে চীনের দখলদারি ভারত কখনো মেনে নেয়নি, নেবেও না। তাদের ওই ঘোষণা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ওই এলাকা ভারতের ছিল, ভারতেরই থাকবে। কূটনৈতিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের একটি জেলে এক গ্যাংস্টারকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তার নাম তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মান। আজ ২ মে মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দিল্লির তিহার জেলের মধ্যে তিল্লু তাজপুরিয়ার ওপর হামলা চালান তার প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডা ও তার সহকারীরা। তিহার জেলের ৯ নম্বর সেলে বন্দী ছিলেন তিল্লু তাজপুরিয়া। তার পাশের ৮ নম্বর সেলে ছিলেন যোগেশ টুন্ডা। লোহার গ্রিল টপকে রড দিয়ে যোগেশ ও তার সহকারীরা তিল্লু তাজপুরিয়ার ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠে।
দুই পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আহত তিল্লু তাজপুরিয়া ও রোহিত নামের আরেকজনকে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তিল্লু তাজপুরিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত রোহিতের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর অন্য বন্দীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গত বছর দিল্লির রোহিনী আদালতের মধ্যে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র যোগীর ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই জিতেন্দ্র যোগী পক্ষের সদস্যরা যোগেশ টুন্ডাকে ভাড়া করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। সূত্র: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরই নিদর্শন হিসেবে দুই দেশের জাতির পিতার সম্মানে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন নির্মাণ করেছে ‘সাউথ সুদান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মনুমেন্ট’।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনুমেন্ট উদ্বোধন উপলক্ষে গত ১৩ জুন দক্ষিণ সুদানের ওয়াও শহরে ব্যানব্যাট-৬ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম মনুমেন্টটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ইব্রাহিম সুরুর ইব্রাহিম ও ৫–এলিফ্যান্ট ডিভিশনের চিফ অব অপারেশন মেজর জেনারেল মাকুয়েই কির আকুক। এ ছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানে কর্মরত বাংলাদেশের কান্ট্রি সিনিয়র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পদাতিক পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে স্থানীয়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গবাদিপশুর চিকিৎসা, বিদ্যালয়ে বই-খাতা ও স্টেশনারি প্রদান, কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির বীজ সরবরাহ, ছিন্নমূল মানুষদের জামা কাপড় সরবরাহ, যুবক ও শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
পরে অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করতে শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। দক্ষিণ সুদানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ায় সবাইকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের জান্তানিয়ন্ত্রিত তেল-গ্যাস কোম্পানি মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (মগে) ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থবিষয়ক ট্রেজারি বিভাগ।
এর আগে দেশটির সামরিক শাসক ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ আরোপ করলেও এবারই প্রথম দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হানল ওয়াশিংটন।
সেনাশাসিত দেশটির বৈদেশিক রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে জ্বালানিবিষয়ক এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ট্রেজারি বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজের বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ট্রেজারি বিভাগ। এসব পরিষেবার মধ্যে আছে— ঋণ, অ্যাকাউন্ট, বিমা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য পরিষেবা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বৈদেশিক আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানি।
জান্তা সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধু এই খাত থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ছয় মাসে ১৭২ কোটি ডলার আয় করেছে সেনা সরকার। দেশটির তেল ও গ্যাস শিল্পের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মগে।
বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমারের এই এন্টারপ্রাইজকে মনোনীত প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেবে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকেও বের করে দেওয়া হবে মগেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমারের মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মগের বিরুদ্ধে মার্কিন আর্থিক পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা তেল ও গ্যাস খাত থেকে জান্তার তহবিলে বিশাল অর্থের প্রবাহকে ব্যাহত করবে।
জান্তা সরকারের বৈদেশিক অর্থ ও অস্ত্রের প্রধান উৎস মগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা উচিত। এ সময় তিনি মগের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবন ধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি ও বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর পর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না। কেননা, ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই সব কিছু নয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবে। এবং এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।