অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহুল আলোচিত আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় অভিমুখে ‘নবান্ন অভিযান’ নামে বিশাল পদযাত্রা শুরু করেছে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই আন্দোলনের ফলে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রসমাজের ডাকে হাজার হাজার মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিমুখে মিছিল শুরু করেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইন অঞ্চলে একটি বিয়ের বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো ২০ জন ।
১১ জুন রবিবার রাতে ওয়াইনারিতে বিবাহ থেকে ফিরছিলেন তারা। বাসটি নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াইন কাউন্টি ড্রাইভে পৌঁছালে উল্টে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। তবে ৫৮ বছর বয়সী চালক অক্ষত আছেন। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ট্রেসি চ্যাপম্যান জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা সম্ভবত থাকার জন্য সিঙ্গেলটনের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। এ সময় কুয়াশাচ্ছান্ন আবহাওয়া ছিল। বাসের নিচে কয়েকজন চাপা পড়ে থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিল্ডিংস অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম-২০২৪ আয়োজিত মিনিস্টারিয়াল রাউন্ড টেবিল বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যায়ক্রমের সবার ওপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে অধিক মাত্রায় প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। আর এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্যতম বলে জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে মুজিব প্রস্পারেটিভ প্লান (২০২২-২০৪১) এর আওতায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছেন বলে মন্ত্রী সভাকে অবহিত করেন।
এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স দুর্যোগ সহনীয় স্থাপনা গড়ে তুলতে নিত্য নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। সমীক্ষা মতে, প্রতিবছর দুর্যোগে গড়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় দুই শতাংশ সমপরিমাণ কমে যায়।
বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশের জন্য এ ধরনের সেমিনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও সহায়ক ভূমিকা পালনের সক্ষম বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সরকার জিটুজি, বিজনেস টু বিজনেস এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে যেকোনো সহযোগিতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ২০২১ সালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ৩৭টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে।
আজ সেপ্টেম্বর ২৭ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস।
ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ছাত্রজনতা তাদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে। তাদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যত নিহিত, যা এ দেশটিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছিল। আমাদের এই তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে।
বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করেও তরুণরা বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন আমাদের তরুণীরা। স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরা নিঃশঙ্ক চিত্তে উৎসর্গ করেছিল তাদের জীবন। শত শত মানুষ চিরতরে হারিয়েছে তাদের দৃষ্টিশক্তি। আমাদের মায়েরা, দিনমজুরেরা ও শহরের অগণিত মানুষ তাদের সন্তানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছিলেন রাজপথে। তপ্ত রোদ, বৃষ্টি, মৃত্যুভয় তোয়াক্কা না করে তারা সত্য ও ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিচালনা করার অশুভ ষড়যন্ত্র পরাভূত করেছিল। জনগণের এই আন্দোলনে আমাদের জানা মতে আট শতাধিক জীবন আমরা হারিয়েছি স্বৈরাচারী শক্তির হাতে।
অনলাইন ডেস্ক :
তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় তাহলে তাদেরও (ইসরায়েলের) পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালানো হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আহমেদ হাগতালাব এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের (ইরানের) হাত ট্রিগারেই রয়েছে। যদি ইসরায়েল তাদের কোনো স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা চালায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক অবকাঠামো কোথায় আছে সেটি তারা বেশ ভালোভাবে জানেন।
এই কমান্ডার আরো জানিয়েছেন, ইসরায়েল তাদের অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাওয়ায় তারা তাদের পারমাণবিক যে নীতি রয়েছে সেটি পরিবর্তন করার ব্যাপারেও তারা ভাববেন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার বদলা হিসেবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে ১৭০টি ড্রোন, ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
এই ঘটনার পর ইসরায়েল ইরানে হামলার পায়তারা করছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা জোহার পাল্টি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরান যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সেটির বদলা নিতে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা। তার এমন বক্তব্যের পরই পাল্টা হুমকি দিয়েছে তেহরান।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করেন দেশটির প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ২০০০ সালে তিনি এক ডিক্রির মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা তৈরি নিষিদ্ধ করেন। তবে ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দামন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন- পশ্চিমাদের চাপে পড়ে ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে হতে পারে।
এদিকে ইরানের সেনাপ্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেছেন, ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। এই জবাব এমন হবে যে তাদের অনুতাপ করতে হবে। সূত্র : স্কাই নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মার্চ বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ১৮ বাংলাদেশি হলেন-
১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা/উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া;
২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর;
৩। খাইরুল ইসলাম;
৪। মো. রাসেল মোল্লা;
৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর;
৬। রুহুল আমিন;
৭। সবুজ হোসাইন, পিতা:মো. হারুন, উপজেলা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর;
৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী;
৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী;
১২। তুষার মজুমদার;
১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা;
১৪। মিরাজ হোসাইন;
১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা;
১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার;
১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল;
১৮। রানা মিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বুধবার রাতে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যেই বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, তাতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৪ জন। বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ওই সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।