চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগকালীন সময়ে পরিবহন সহায়তায় মহাবীর বিপ্লবী ছাত্র জনতার পাশে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসি ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদে ঢাকাস্থ কসবা সমিতির আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বিআরটিসি সব সময় সরকারের যে কোন দুর্যোগকালীন সময়ে পাশে আছেন, যেহেতু বিআরটিসি সরকারের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। ছাত্র জনতা যখন টিএসসিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন আমরা প্রথম দিন থেকে বিআরটিসির ট্রাক সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্র জনতার পাশে ছিলাম, ছাত্র জনতা যখন যেই পরিমাণ ট্রাক চাচ্ছিল সেই পরিমাণ ট্রাকই কিন্তু বাংলাদেশের ১১টি জেলায় ছেড়ে দিয়েছি। সামনেও যত ট্রাক লাগবে আমরা দিয়ে পাশে থাকবো।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২০২১ এর আগে বিআরটিসি ডুবে গিয়েছিল বা ডুবতে বসেছিল। সেই বিআরটিসি এখন কিন্তু তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এইটা বিপ্লবী সরকার। এই বিপ্লবী সরকারের নির্দেশনায় আমরা আরো ঘুরে দাঁড়াবো।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, ঢাকাস্থ কসবা সমিতির ত্রান উপ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ সৌকত রেজা রতন, মোজাম্মেল হক লিটল, ইকবাল আহমেদ, মোঃ কবিরুল আজাদ, লায়ন এম. এ. সোহেল আহমেদ মৃধা, আলহাজ হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল বাকের সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বন্যাকবলিত কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ১৪০জন, কায়েমপুর ইউনিয়নের ১০জন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ৫০জন বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মোট দুইশত জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মো.মনির হোসেন ভুইয়া (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে দ্রুতগামী একটি গাড়ির চাপায় তিনি নিহত হন।
নিহত মনির হোসেন ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের ইমাম হোসেন ভুইয়ার ছেলে। মনিরের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহত মনির হোসেনের বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, জীবিকার তাগিদে প্রায় দশ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাড়ি দেন মনির হোসেন। কয়েক বছর ধরে রিয়াদ শহরের বলদিয়া কোম্পানিতে পরিছন্নকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেলে ) রাস্তার পাশে পরিছন্নতার কাজ করছিলেন মনির। এ সময় পেছন দিক থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তার ভাই মনির হোসেন ভুইয়া। মনিরের মৃত্যুর খবর তার সাথে থাকা অপর এক বাংলাদেশি সহকর্মী দেশের বাড়িতে এবং একই শহরে অন্য এলাকায় কর্মরত তার অপর দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ভুূঁয়াকে জানান। তার দুই ভাই লাশটি সেখানকার হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরো জানান, দেশের বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ মনিরের স্ত্রী ও মনিরা আক্তার নামে ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহত মনির হোসেনের পরিবার তার মরদেহ সরকারিভাবে দ্রুত দেশের আনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী। এ ছাড়া, বিডিআর হত্যা মামলা, দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আনিসুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আনিসুল হকের প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক ওরফে বাচ্চু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হকের বাবা-মা দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় রেলপথ ধরে হাঁটার সময় মালবাহী একটি ট্রেনের ধাক্কায় মো. আলী আশরাফ (৩২) নামের এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চকচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী আশরাফ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কসবায় কর্মরত ছিলেন। কসবা রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ভবনে থাকতেন তিনি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চকচন্দ্রপুর এলাকায় রেলপথ দিয়ে হাঁটার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মালবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দিলে রাস্তার পশ্চিম পাশে পড়ে যান আলী আশরাফ। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।