অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটে। দেশের বাইরে দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি পূর্ণশক্তির ছিল না। যেকোনো দিক বিচারেই এই সিরিজ জয়ের মাহাত্ম্য বেশি। সঙ্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে আছে ১০ উইকেটের জয়।
প্রস্তুত ছিল ইতিহাসের পট। যা বৃষ্টিতে ধুঁয়ে যেতে পারত। কিন্তু আবহাওয়া পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আকাশ। গল্পের শেষটা বাংলাদেশও টেনেছে তুলি দিয়ে। চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ উতরে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ‘বাংলাধোলাই’ করে ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছিলেন বাসিত আলি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বলেছিলেন,‘শুধু বৃষ্টিই বাঁচাতে পারে বাংলাদেশকে। এছাড়া দুই দলের কোনো তুলনা চলে না। হোম কন্ডিশনের পুরো সুবিধা পাবে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে তাদের মাঠেই টেস্টে হারিয়েছে পাকিস্তান।’
তবে প্রথম টেস্ট শেষে ভিন্ন চিত্র দেখা দিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদের মাঠে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর আজ ৬ উইকেটের জয়ে প্রথমবার তাদের বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণে সিরিজও জিতেছে।
অথচ, পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বাসিত বাংলাদেশের জন্য যারে আর্শীবাদ বলে জানিয়েছিলেন সেই বৃষ্টিও তার উত্তরসূরীদের বাঁচাতে পারল না। গতকাল অবশ্য নিজেই সুর পাল্টিয়েছেন বাসিত। তিনি জানান, ধবলধোলাই প্রাপ্য পাকিস্তানের।
বেরসিক বৃষ্টি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পুরো চার সেশন নষ্ট করে দিলেও ধবলধোলাইয়ের মুখ থেকে রক্ষা পায়নি পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দল হিসেবে পাকিস্তানকে তাদের মাঠে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে প্রথম কোনো দল হিসেবে তাদের মাঠে এমন তিক্ত স্বাদ দিয়েছিল ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃষ্টিতে শেষ সেশন নষ্ট হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আজ অবশ্য গত দিনের সুরটা দীর্ঘ করতে পারেননি তারা। দলীয় খাতায় ১৬ রান যোগ করার পরেই ফিরতে হয় জাকিরকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে মীর হামজার গুড লেন্থের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার।
সতীর্থর দেখানো পথে দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পাওয়ার পর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২৪ রান করে খুররম শেহজাদের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ৭০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন। দ্বিতীয় সেশন শুরু হতেই ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। দারুণ শুরু করা মমিনুলও ফেরেন ৩৪ রানে।
জয়ের বাকি কাজটুকু পরে সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মুশফিকের ২২ রানের বিপরীতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।
ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেই যেমন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে থেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন লিটন দাস। অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা লিটনের অবদান শুধু বললে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের কথাও বলতে হবে। ৭ম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি না গড়লে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পাওয়াটা হয়তো হতো না। ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭ম উইকেট জুটিতে যা বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।
মিরাজ-লিটনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন পেসাররা। পাকিস্তানকে ১৭২ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করে। প্রথমবারের মতো টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে অলআউট করার পথে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। বাকি ৫ উইকেটের ৪ টি নাহিদ রানা এবং অন্যটি তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন সাদমান ও মুশফিকুর রহিম।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টির সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটে হারিয়েও জুনিয়র টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো। কারণ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে ভারতের কাছে হার।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি নেমে আসে ১৩ ওভারে। যেখানে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীরা। ক্যারিবীয়দের হয়ে অমৃতা রামতাহলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান, নাইজান্নি কাম্বারব্যাচ করেন ১৩ এবং আসাবি কলেন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এই তিন ব্যাটসম্যান বাদে কেউই দু’অংকের রান করতে পারেননি। ১৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৪ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা।
টাইগ্রেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন নিশিতা আক্তার নিশি। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এক সময় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তিনি। আনিসা আক্তার সোবা ৩ ওভারে ১৩ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। এক উইকেট পান জান্নাতুল মাউয়া।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। ফাহোমিদা ছোয়া এবং জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ৮.৫ ওভারে তুলে ফেলে এই রান। ফেরদৌস ২৫ এবং ছোয়া ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সুপার সিক্সে তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ৩ জুন সোমবার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ ট্রফি ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সহজে জিতেছে। ফাইনালও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নেপাল সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আজ ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই নেপাল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি।
এদিন শুরুতে ১-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপাল পরক্ষণে ১-১ স্কোর করে লড়াইয়ের আভাস দেয়। ধারাবাহিকতায় ২-১ স্কোরে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি। তবে স্বাগতিকরা বেশিক্ষণ তাদের রাজত্ব করতে দেয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬-২ স্কোরে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে। এই সময়ে একবার অলআউট করে লোনাও পায় মিজান-আল আমিনরা। স্বাগতিকদের পয়েন্ট নেওয়ার অভিযানে নেপালও কম যায়নি। গ্রুপ পর্বের চেয়ে আজ পয়েন্ট বেশি পেলেও বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।
বিরতির পর এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সময় স্কোর দাঁড়ায় ২৯-১১ তে। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ একবার অলআউট হয়। ৪৩-২৮ পয়েন্টে নেপাল পিছিয়ে থাকে। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস বলে দিচ্ছিল, ট্রফি জেতা কতটা সার্থক হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নেপালের কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ২৭ অক্টোবর রবিবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ৭-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে এই ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও গত আসরের থেকে এই ভুটান দল সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৭ বার গোল দিয়েছে দলটি। এমন দলের বিপক্ষে ফাইনালে উঠার ম্যাচে তাই বাড়তি সতর্ক বাংলাদেশ। খেলেছে নিজেদের সেরা ফুটবলটাই। ফাইনালে পা রেখেছে সাফের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই। ভুটানকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা অবশ্য প্রথমার্ধেই পরিষ্কার করে রেখে গিয়েছিল সাবিনা খাতুনের দল। প্রথমার্ধেই ভুটানের জালে ৫ গোল দিয়েছিল সাবিনা-তহুরারা। বিরতির পর সেই ব্যবধান আরও বাড়বে সেটাই ছিল অনুমেয়। হয়েছেও তাই। তবে ফাইনালের আগে চোট সতর্কতায় কোচ পিটার বাটলার বেশ কয়েকজনকে উঠিয়ে নেওয়ায় ব্যবধানটা তত বড় হয়নি এই যা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ। অনেকটা ফাকায় দাঁড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ান তহুরা। পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। এই গোলের পর মাঝে একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। ৭১ মিনিটে গোল করেন মাসুরা পারভিন। সানজিদার নেওয়া কর্নার কিক দারুণ হেডে জালে জড়ান এই রক্ষণভাগের ফুটবলার। এরপর আর গোল না হলে ৭-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। নিশ্চিত করে আসরের ফাইনাল।
এর আগে, প্রথমার্ধের পুরো সময় জুড়ে দাপট ছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের ৭ মিনিটে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে দূর পাল্লার শটে জাল কাঁপালেন এই উইঙ্গার। বাংলাদেশ পেয়ে গেল জয়ের রসত। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। ঋতুপর্ণার গোলের পর ১৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা খাতুন। গোলরক্ষক খানিকটা সামনের দিকে থাকায় ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। তাতে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ায়।
২৪ মিনিটে সাবিনার গোলরক্ষককে ফাকি দেওয়া শট গোলপোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। নিশ্চিত গোল মিস হওয়ায় হতাশায় মুখ লুকান সাবিনা। অবশ্য এর এক মিনিট না যেতেই বল জালে জড়িয়ে গোল আদায় করে নেন সাবিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে।
৩৪ মিনিটে আবারও তহুরার ম্যাজিক। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত শটে জাল কাঁপান তিনি। তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। এক হালি গোল হজম করে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় ভুটান। এর দুই মিনিট না যেতেই ফের গোল। এবার গোলপোস্ট থেকে রুপনা চাকমার নেওয়া দূর পাল্লার শট মাঝ মাঠ থেকে দারুণ দক্ষতায় নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভুটানের ফুটবলারদের কাটিয়ে গোল করে আসেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পঞ্চম দফা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
খানিক পর অবশ্য এক গোল শোধ দিয়েছে ভুটান। দেখি লাজুম ৪০ মিনিটে এক গোল শোধ দেন। এ দফায় আর তাকে রুখতে পারেনি রুপনা। অনেকটা একাই পেয়ে গিয়েছিলেন রুপনাকে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি লাজুমের। ব্যবধান কমিয়ে বিরতিতে যায় ভুটান। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে আর দুই গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৭-১ ব্যবধানে।
একই দিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ভারত ও নেপাল। সেই ম্যাচের জয়ী দল আগামী বুধবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও পাঁচটি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ছিল আজ। যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
এরপর মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে জিম্বাবুয়ে। মিরাজের ৫ উইকেট আর তাইজুলের ৩ উইকেটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে পাঠানো তো দূরের কথা, থামে ১১১ রানে। এতে বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। এতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
আজ বুধবার ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান ইসলাম। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন মিরাজ।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল।