চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বসত বাড়িতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন কৌশল” বিষয়ক দুইদিনব্যাপী কৃষক-কৃষানীর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) শারমিন জুঁই।
জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের হল রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) শারমিন জুঁই বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনাবাদী পতিত ও অব্যবহৃত বসতবাড়ি চাষের আওতায় আনা এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। বাড়ির আঙিনায় খালি জায়গায় পাঁচ স্তরে এই সবজি চাষ করতে হবে। এতে পাঁচ রকমের সবজি চাষ করা যায়। যার ফলে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটাবে। এই বাগান বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিও করে। বাড়িতে সবজি চাষ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারা যায়। প্রতিদিন একজন মানুষের সবজি ও ফল মিলে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পুষ্টি প্রয়োজন, যা আমরা এই বাড়ি থেকে উৎপাদন করতে পারি। খুব সহজে নিরাপদ উপায়ে বাড়িতে আমরা এই পুষ্টি বাগান করতে পারি। দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ৩০ জন কৃষক-কৃষানী অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ। অভিযানে বিহাইর গ্রামের একটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৬০০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ১ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করাসহ ৩১টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের আভিযানিক দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে ৩১ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির, উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বড় কয়েকটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক আমরা উচ্ছেদ করেছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভনের আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ৭ জুন শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ার গ্রামের একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে তার সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফারাবী তাকে গুলি করে কোমড়ে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ সময় তার (ইজাজের) বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের পিতা হাজী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের একটি বিশেষ টিম, সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের একটি ব্রীজের পাশের ঝোপের মধ্য থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর হাসান আল ফারাবী জয় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী পূর্ব বিরোধের জের ধরে ও এলাকায় তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজাজকে মাথায় পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
পুলিশের কাছে দেয়া জয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জালাল হোসেন খোকা এবং জয় খুবই ঘনিষ্ঠ, ইজাজও তাদের সাথে চলাফেরা করতো, তারা একই পাড়ার বাসিন্দা। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতো খোকা ও জয়। তবে তাদের সব সিদ্ধান্ত ইজাজ ও তার সাথে কয়েকজন মেনে না নিয়ে কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতো। আর এ কারনেই ইজাজ ও তার কয়েকজন বন্ধুর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো খোকা ও জয়। এই বিরোধ আস্তে আস্তে চরম আকার ধারন করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৩৫৪ বোতল বিদেশী মদসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় মাদক বহনকারী ২টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী ব্রীজ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ৬ এপ্রিল রোববার দুপুরে র্যাব-৯ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভোলা জেলার সদর উপজেলার উত্তরচর নোয়াবাদ গ্রামের মোঃ শাওন (৩২), সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্বপুর উপজেলার উত্তর কাফনা গ্রামের মিরাজুল ইসলাম (৩৪), একই এলাকার মোঃ সেলিম মিয়া (৩০), ভোলা জেলার সদর উপজেলার কালিকানগর গ্রামের ওবায়দুল রহমান (৩১), সুনামগঞ্জ জেলার কাফনা গ্রামের মোঃ শাহজাহান (২৬) ও একই এলাকার মোঃ দ্বীন ইসলাম (৩০)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, এর, সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জের যৌথ আভিযানিক দল শনিবার বিকেলে শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরী জাতীয়করণ করার ১দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও জেলা কমান্ডারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে আনসার সদস্যরা।
আজ ২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মঞ্চে জড়ো হয়ে আনসার সদস্যরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহর বাইপাস এলাকার জেলা কমান্ডার অফিস ঘেরাও করে।
আন্দোলন চলাকালে আনসার সদস্য নোমান মিয়া বলেন, আমরা এত বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করে আসছি। আমাদের যখন বিশ্রামের নামে ছুটিতে পাঠানো হয়, তখন আমাদের বেতন ভাতা দেয়া হয়না। আমরা তখন কিছুই করতে পারিনা। আমরা যতবার কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বাংলায় আমরা আর বৈষম্য চাইনা। আমাদেরকে চাকরী জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের ১দফা দাবি আদায়ে সারাদেশ আমরা একত্রিত হয়েছি। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হবে, আমরা কর্মবিরতি পালন করে যাব।
রবিউল নামে আরেক আনসার সদস্য জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে আনসার বাহিনী গঠনের পর থেকে আমরা চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করি। সকল বাহিনীর সাথে আমরা কাজ করি। যখন দেশে পুলিশ বাহিনী ছিলো না। আমরা থানায় কাজ করেছি, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা যখন চুক্তিতে থাকি না, তখন আমাদের বেতন দেয়া হয়না। সব বাহিনী থেকে সবচেয়ে অবহেলিত আমরা আনসার বাহিনীর সদস্যরা। আমরা আর চুক্তি চাই না। আমরা এখন মুক্তি চাই। আমাদের ১ দফা দাবি আমাদের চাকরী জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা জেলা কমান্ডারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি তিনি আমাদের পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, আমাদের আগামীকাল ঢাকায় মহাসমাবেশ রয়েছে। আমরা সবাইকে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে আনসার সদস্যদের সাথে একমত পোষন করে জেলা কমান্ডার মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, তাদের দাবি আদায়ে সবসময় তিনি পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, আমার সৈনিকরা ভালো থাকলে আমরা ভাল থাকবো। তাই আমিও চাই তাদের ১দফা দাবি পূরণ হোক। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।