চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১১ মামলার আসামী ইব্রাহিম মিয়াকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম নবীনগর পৌর এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, গোপান সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়নপুর নিজ বাড়ী থেকে ১১ মামলার আসামী ও শীর্ষ সস্ত্রাসী ইব্রাহিম মিয়াকে গ্রেফতার করেন। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া এলাকায় গতকাল ২৪ জুলাই বুধবার রাতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার টংকি ইউনিয়নের বাইরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২০) মোটরসাইকেল যোগাযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর আসার পথিমধ্যে চারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত থেকে আসা রাব্বির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৩জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে ছাব্বির (২০), জিনদপুর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের কাদির মেম্বারের ছেলে পিয়াস। ঘটনাস্থলে ছাব্বির ও কুমিল্লা নেওয়ার পথে রাব্বি ও পিয়াস মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর সদরে ১৯৬৮ সালে সাবরেজিস্ট্রি জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময় হতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান করণিক মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাক মসজিদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে মসজিদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন বিধায় ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের অরিজিনাল দলিলপত্রাদি সংরক্ষণে রাখেন।
মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় পুত্র নারায়ণপুর ডি.এস কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক, সাংবাদিক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমান হেলাল ১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে সাব রেজিস্টার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ তফাজ্জল হোসেনের নিকট ওই মসজিদের প্রতিষ্ঠালগ্নের অরিজিনাল দলিল পত্রাদি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক মাহাবুব আলম লিটন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, কাওসার আলম ভূঁইয়া অপু, আবু হাসান আপন, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জারু মিয়া ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজার এলাকায় আজ ১৫ জুলাই সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে অভিযানকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি ও খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের জায়গাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছিল। উচ্ছেদের সময় ২০০ শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক একতলা, দুইতলা বিশিষ্ট মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু মুছা। এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সম্পর্কে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ চলাচলের রাস্তার উভয়পাশের জায়গাগুলো দখলে রেখেছিলো। তাদেরকে বারবার বলার পরও তারা তাদের স্থাপনা গুলো সেচ্ছায় অপসারণ করেন নি। যার কারণে পূর্বে থেকে অবগত করে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান কালে দুই শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক পাকা আধাপাকা স্থাপনা, দুতলা মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নবীনগর উপজেলায় কয়েক বছর ধরে ওল কচুর আবাদ হচ্ছে। খরচ কম কিন্তু ফলন বেশি হওয়াতে কৃষক বসত বাড়ি কিংবা ফলজ বাগানে সীমিত পরিসরে আবাদ করছে। ইব্রাহীমপুর ব্লকের ওল চাষী মোখলেছ মিয়া বলেন- আগে নবীনগরে বাণ্যিজিক ভাবে ওল কচু চাষাবাদ দেখিনি, আমি এ বছর চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ইতিমধ্যে অনেকেই ওল চাষে আগ্রহী। ওল কচুর পাশাপাশি বীজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। বড়িকান্দি ব্লকের কৃষক আজিজ মিয়া জানান- ওল কচু আমাদের এলাকায় নতুন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই নতুন ফসল আবাদ করেছি। ২০ শতক পরিত্যক্ত উচু জমিতে আবাদ করেছি এখন পর্যন্ত গাছের বৃদ্ধি ভালো। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- ওল কচু গাছে তেমন কোন রোগ হয় না, তবে পাতা ও কচু পঁচা রোগ দেখা যেতে পারে, ওল কচুর ক্ষেত্রে কীট পতঙ্গ তেমন কোন সমস্যা হয় না। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, গোড়া মাটি উঁচু করে দেয়া ও খড় বা আচ্ছাদন দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। জৈব সার ব্যবহার করা ভাল। তবে রাসায়নিক সার যেমন- ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি ও কিছু দেওয়া যায়। গাছ লাগানোর ৭-৯ মাস পর যখন ৮০% গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাবে, তখন ওল সংগ্রহ করতে হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান- কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্র্রকল্পের আওতায় আমরা নতুন জাতের কন্দাল ফসল জনপ্রিয় করার জন্য প্রদর্শনী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকি। ওল কচু চাষের জন্য ফেব্রুয়ারি – এপ্রিল পর্যন্ত ভাল সময়, এর পর রোপণ করলে ফলন কমে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সাথে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সিয়াম নামে (৬ বছরের) শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়ে গেছে। সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে দিনভর নিখোঁজ রয়েছে ওই সন্তানের মা রিনা বেগম। নিখোঁজ সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার আলিয়াবাদ গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রায়হান মিয়ার ছেলে, রিনা বেগম তার স্ত্রী ।
সরেজমিনে নিখোঁজ সিয়ামের বাড়িতে গেলে তার চাচা ওবায়দুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল দশটায় রিনা তার ছেলে সিয়ামকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়,চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ আনতে গেলে সেই সময় হারিয়ে যায় সিয়াম। হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি, ওই সময় হাসপাতালের সামনে থাকা এক পথচারী রিনাকে বলেন, একটি ছেলে রসুল্লাবাদ গ্রামের অটোরিকশায় উঠতে দেখছি। এই কথা শুনে রিনা ছেলের খোঁজে বেড়িয়ে যায়। আমাকে দুপুর ১ টার দিকে ফোন করে সিয়াম নিখোঁজ হওয়াসহ এসব কথা জানান রিনা। তখন রিনা নবীনগর ফল বাজারে আছে এবং তার মোবাইলে চার্জ নেই একথাও আমাকে বলেছে। এটাই ছিলো তার সাথে শেষ কথা। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।সংবাদ পেয়ে আমরাও সিয়ামকে খোঁজতে বেড়িয়ে যায়।
এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ছবি দিয়ে নিখোঁজ হবার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। দিন শেষে রাত হয়ে গেলো এখনো তাদের কোনো খোঁজখবর পাইনি।একদিকে ছেলে নিখোঁজ অন্য দিকে ছেলেকে খোঁজতে গিয়ে মা নিখোঁজ। এই ঘটনার পর থেকে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা নবীনগরে এলাকাবাসী ভীড় করছে সিয়ামদের বাড়িতে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মা ও ছেলের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বাজারের সিসি ক্যামেরা ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে না তাদেরকে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে,পুলিশ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।