বিভিন্ন দাবিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 September 2024, 436 Views,

শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্যের অপচেষ্টা শিক্ষা ধ্বংসাত্মক- জীবন ধ্বংসাত্মক -দেশ ধ্বংসাত্মক অপরাধ ও গুন্ডাতন্ত্র মাত্র” বললেন- আল্লামা ইমাম হায়াত (মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক)। শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্য বন্ধ ও নিষিদ্ধের দাবিতে বস্তুর উর্ধে মানব সত্তা ও মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিকনির্দেশনায় আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার- সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব ( humanity revolution) স্টুডেন্ট ফ্রন্ট এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শেখ রাসেল এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন- মঞ্জু আহমেদ (আহবায়ক ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা)। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের উপদেষ্টা সদস্য আশরাফুল হক সুমন, নজরুল ইসলাম, শাহজাদ ভূইয়া, সালমা সাফিরাহ্।

banner

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এস এম শাহিন, শরীফ মৃধা, রাহিম রায়হান, সাদিয়া জাহান রিতা, শেখ রোমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দেওয়া লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আমরা সকল বস্তুর ঊর্ধ্বে স্রষ্টার নামে স্রষ্টার আলো মহান রাসুলের আলোকে জীবনের আত্মিক সত্যভিত্তিক ও সকল একক গোষ্ঠীবাদি ধর্মবাদি জাতিবাদি অপরাজনীতি বিরোধী মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব সকল সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতির শাখা মারাত্মক ক্ষতিকর ও অনধিকার অন্যায় মনে করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব মানবতার রাজনীতিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে উপলব্ধি করি।

আমাদের বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি এই যে- প্রাকৃতিক শক্তির পর রাজনীতিই জীবন, সম্পদ ও দুনিয়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি বিধায় মানুষ দাবি করে অরাজনৈতিক হওয়া যায়না। অরাজনৈতিক হওয়া কিম্বা মানবতা বিরোধী কোনো একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির অংশ হওয়া দুইটাই জীবন বুঝতে অক্ষমতা। নির্দলীয় হওয়া আর অরাজনৈতিক হওয়াও এক নয় ভিন্ন বিষয়।

আরো বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব যে কোনো মানুষের জন্য জীবনের যে কোনো স্তরে অরাজনৈতিক হওয়া যেমন জীবন অস্বীকার হিসেবে উপলব্ধি করি তেমনি জীবনবিরোধী মানবতাবিধ্বংসী অপরাজনীতিকেও জীবন ধ্বংসাত্মক ও মানবতা ধ্বংসাত্মক বিষাক্ত আঁধার ও মানবতার বিরুদ্ধি অপরাধ উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও মানবতার রাজনীতিকে আলাদা কেও দেখিনা এবং জীবন ও মানবতার রাজনীতি একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও রাজনীতিকে যেমন আলাদা মনে করিনা তেমনি রাজনীতিও নাগরিকত্বকেও আলাদা মনে করিনা বরং একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনের অপরিহার্য মানবতার রাজনীতি বা যে কোনো রাজনীতি আর দলীয় রাজনীতির সাংগঠনিক বিষয়কেও এক নয় উপলব্ধি করি।

আমরা সব মত পথ আদর্শের যার যার রাজনৈতিক দর্শন ও দল নিয়ে চলার অধিকার যেমন স্বীকার করি তেমনি কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান- সরকার ও রাষ্ট্রের উপর বলপূর্বক কোনো ধর্ম- মত- পথ- মতবাদের রাজনীতি বা দলীয় আধিপত্য চাপিয়ে দিয়ে দস্যুতান্ত্রিক অপরাজনীতি ও জবরদখলের অপরাজনীতিকে চরম ঘৃনার সাথে জীবন মানবতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চরম ধ্বংসাত্মক অপরাধ মনে করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনসত্যের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে জীবনের নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি হিসেবে ও জীবনের ভালোমন্দের সাথে একাকার বিষয় হিসেবে রাজনীতিকে উপলব্ধি করি।

আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সব মানুষের জন্য জীবনের উদীয়মান কাল থেকেই বিশেষভাবে ছাত্রজীবন থেকেই সুরাজনীতি ও কুরাজনীতি বুঝে সুরাজনীতির ধারক হওয়া জরুরী বিশ্বাস করি।

বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের নামে একক ধর্মরাষ্ট্রের নামে অধর্ম উগ্রবাদি হিংস্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং একক জাতিবাদি উগ্রবাদি পাশবিক রাজনীতি- এই দুই একক গোষ্ঠীবাদি রাজনীতি জীবনের স্বাধীনতা ও মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক বিপজ্জনক ও সংঘাতময় এবং জীবনের সকল সংকটের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও বক্তব্যে বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব বিশেষভাবে ছাত্রজীবনকে জীবন বুঝার- জীবনের সত্য ও মিথ্যার ধারা বুঝার-জীবনের সুপথ কুপথ বুঝার-জীবনের শত্রু মিত্র চিনার-জীবন ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝার-জীবনের অধিকার স্বাধীনতা চাওয়া পাওয়া এবং শোষন- বঞ্চণা- রুদ্বতার কারন সকল অপশক্তির অপরাজনীতির ধারা বুঝার ও মানবতার মুক্তির পথ বুঝার জন্য জীবনের একাকার বিষয় হিসেবে এবং জীবন ও মানবতার সুরক্ষা হিসেবে জীবনের প্রাকৃতিক মানবতার রাজনীতির সক্রিয় একাকার ধারক দিশারী হওয়া অক্সিজেনের মত জরুরী মনে করি।

কিন্তু আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় কেন্দ্র, আদালত, রাষ্ট্রীয় বাহিনী, হসপিটাল, অফিস, কর্মস্থল, কল কারখানা, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অঙ্গন ইত্যাদি বিশেষ কাজের বিশেষ স্থান ও সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান গুলোতে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসিয়াল শাখা সংগঠন ও দলীয় সংঘাত, দলীয় আধিপত্য বিস্তার, সরাসরি প্রকাশ্য দলীয় কর্মসূচী পালন করা খুবই ধ্বংসাত্মক অন্যায় অপরাজনীতি মনে করি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চর্চা অবশ্যই থাকবে থাকতে হবে তবে সেটা হতে হবে কেবলমাত্র একাডেমিক ও সংঘাতমুক্ত এবং নিরাপদ সৌহার্দ্যমূলক।

প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় সাংগঠনিক মাঠের রাজনীতির কর্মসূচি ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক যা কেবল গুন্ডাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য দলীয় রাজনীতি নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব অবাঞ্ছিত সংঘাত ও দলীয় আধিপত্য থেকে মুক্ত না রাখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসল উদ্দেশ্য ধ্বংস হয়ে অসৎ স্বার্থের বিপজ্জনক হাতিয়ার হয়ে যাবে।

যে কোনো বিষয় ভালো হলেও সব কিছুর যথার্থ স্থান- কাল- পাত্র না বুঝলে ভালো বিষয়ও পরিণতিতে ক্ষতিকর হয়ে যায়।
সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ লক্ষ্যের বিশেষ প্রতিষ্ঠানে পরস্পর দ্বান্দ্বিক ও সংঘাতময় দলীয় রাজনীতির শাখা হলে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়

আল্লামা মাহ্‌মূদুল হাসান : ইখলাস মানুষের দিলে সৃষ্টি হয়। আর Read more

প্রাথমিক তদন্তেই ভুয়া মামলার আসামিরা রেহাই…

অনলাইন ডেস্ক : উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন Read more

গাজীপুরে শফিক, তারিক, পাপনের ১০ তলা…

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুর সদরের চান্দনা Read more

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ…

অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা Read more

ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরো ৮১ ফিলিস্তিনি…

অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮১জন ফিলিস্তিনি Read more

কৃষি বীজ সংরক্ষণাগার ভেঙে দোকান নির্মাণের…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি Read more

মিথ্যা মামলা করলে কী কী শাস্তি?

অনলাইন ডেস্ক : দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিস্কার

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা Read more

আখাউড়ায় অবৈধ চায়না রিং জাল ধ্বংস

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা Read more

রেলপথে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন Read more

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

অবৈধ বাঁধ অপসারন, লাখ টাকা জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 3 July 2023, 1142 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের দাবির মুখে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সীতানগরের কাজলা বিলের প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধ দখলবাজদের দেয়া বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।

banner

আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বাঁধটি অপসারণ করেন।

এ সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার অপরাধে দখলদার কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দীর্ঘদিন পর জলাশয়টি উম্মুক্ত করে দেয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সিতানগর গ্রামের কাজলা বিলের উম্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মান করেন একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে করে মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সিতানগর ও কাশিনগর গ্রামের শতাধিক জেলে পরিবার।

উপায়ন্তু না দেখে গ্রামবাসী জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য দখলদার কিলন মিয়া ও গৌর সাহাকে একাধিক নোটিশ দেয়া হয়।

নোটিশ পেয়েও তারা জলাশয়টি উম্মুক্ত করে না দেয়ায় সোমবার দুপুরে বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন। তিনি জলাশয়ে থাকা বাঁধটি অপসারন করে দেন ও কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নিশিকান্ত ঋষি জানান, গ্রামের শতাধিক পরিবার এই বিলের সাথে জড়িত। প্রভাবশালী গৌর সাহা এবং কিলন মিয়া এই বিলের মধ্য বাঁধ নির্মান করেন। এতে এলাকার জেলে স¤প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। জেলেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে জলাশয়টি উম্মুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, দখলদাররা জলাশয় দখলের বিষয়টি স্বীকার করায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর আলোকে দখলদার কিলন মিয়াকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন থেকে জেলেরা উম্মুক্তভাবে জলাশয় থেকে মাছ শিকার করতে পারবেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 3 August 2023, 1207 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

banner

গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামের মোঃ সোহেল (২৬), পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৫৫), একই গ্রামের আমীর হোসেন ওরফে মীর হোসেন ওরফে নাইক্কা (৩৬) ও পৌর এলাকার কাজীপাড়ার মোঃ উজ্জ্বল মিয়া (৪০)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সোহেল ১০ বছরের সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সাজাপ্রাপ্ত, দুলাল মিয়া ১ বছর ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত, আমীর হোসেন ওরফে মীর হোসেন ওরফে নাইক্কা ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ও উজ্জ্বল মিয়া ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভাটপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোর নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 November 2023, 928 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল্লাহ আল মাহাদী (১৬) নামের কিশোর নিহত হয়েছেন। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের বড়হরণ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহাদী উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মাসুকুল ইসলামের ছেলে।

banner

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহাদী বড়হরণ বাজারে একটি দোকানে টেইলারিংয়ের কাজ করে। আজকে তার এক বন্ধুর সঙ্গে জুতা নিয়ে ঢিলাঢিলি করার সময় মাহাদীর জুতা বাজারের দোকানের চালে আটকিয়ে যায়। পরে মাহাদী জুতা জন্য চালে উঠলে ওইখানে থাকার বিদ্যুৎতিক তারের সঙ্গে স্পর্শ হইলে মাহাদী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মাহাদীকে মৃত ঘোষনা করে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এতিম ও দুঃস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করলেন গণপূর্ত মন্ত্রী

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 7 April 2024, 1236 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি শিশু পরিবারের শিশু ও দুঃস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

banner

আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির পক্ষ থেকে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুবুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার পার্টি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যে দোয়া কামনা করেন।

একাংশের সম্মেলন বর্জনের ঘোষণার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 16 January 2025, 377 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। অনুষ্ঠিতব্য দ্বিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই পক্ষের নেতাদের সাথে আলোচনা করে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান। এর আগে আজ দুপুরে এক সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা সম্মেলনে যাবেন না।

banner

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তাঁরা দুজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনজন দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, আজ বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। পরে তারেক রহমানের সাথে স্কাইপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বৈঠক হয়। সেখানে জেলার কমিটি ও নেতৃত্বের নানা অসংগতি তুলে ধরেন মুশফিকুর রহমান। ওই সভা শেষে ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান রাতে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ভাইয়ের সঙ্গে একটু আগে আমার কথা হয়েছে। সম্মেলনের ১৮ জানুয়ারির তারিখ পরিবর্তন হবে। সম্মেলনের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আগামী ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।’