চলারপথে রিপোর্ট :
‘‘নিজেরা অনিয়ম করব না, কাউকে অনিয়ম করতে দেবো না’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৈষম্য ও অনিয়ম বিরোধী নাগরিক সমাজের কমিটি গঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমরেড মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, মো. হুমায়ুন কবীর, আবুল কালাম নাইম, ওমর ফারুক জুন্নুন, শেখ মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য ও অনিয়ম বিরোধী নাগরিক সমাজ নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি নিম্নরূপ: সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক জুন্নুন, সহসভাপতি কানু লাল মজুমদার, হুমায়ুন কবীর, আবুল কালাম নাইম, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ম কামাল, দপ্তর সম্পাদক সফিউল আলম কাজল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কোহিনুর আক্তার, প্রচার সম্পাদক রুদ্র মো. ইদ্রিস, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক কাজী মইনুল ইসলাম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম পাহলোয়ান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নেহার রঞ্জন সরকার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সোহেল সরকার, বাজার বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ছাদেকুর রহমান এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. মোরজান মিয়া।
এছাড়াও ২০জনকে সাধারণ সদস্য করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে, সকল অনিয়ম দূর করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া শহরের যানজট নিরসন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধসহ পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত রাখতে জনসচেতনতামুলক কাজ করবে এই সংগঠন।
বক্তারা বলেন, আমরা নিজেরা অনিয়ম করব না, কাউকে অনিয়ম করতে দেবো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশের ন্যায় একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা পর্যায়ের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে গভ: মডেল গার্লস হাইস্কুলে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হচ্ছে।
“ডিসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম” শীর্ষক স্কিমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯ টি উপজেলা এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া ও মুরাদনগর এই ৩ টি উপজেলার মোট ৩৯৬জন প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জুলফিকার হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিউল্লাহ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মার্জিয়া রিংকু, জেলা প্রোগ্রামার জিসান আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পর্যায়ে গণিত বিষয়ে নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনার ও হাজী আব্দুল কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও উলচাপাড়া মালেকা-ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ জেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনারগণ উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আগামী ৮ নভেম্বর উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের রজত জয়ন্তী আজ ১ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
দুপুরে বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোপাল সূত্রধর।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ তাজুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত “সৌধ হিরন্ময়” চত্বরে পুষ্পস্তক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকালে সৌধ হিরন্ময়ে পুষ্পস্তক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পুষ্পস্তক অর্পন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতিকে মেধা শুন্য করার নীল নকসা বাস্তবায়নের জন্যে বিজয়ের আগ মুহুর্তে সারা দেশে বুদ্ধিজীবীদেরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ইতিহাসের বর্বর হত্যাকান্ড চালানো হয়। আমি আজকের দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হারপাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে এ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, জেলা আইসিটি অফিসার (প্রোগ্রামার) মোঃ সামছু উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিক্ষাতে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আহ্বান জানান।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর, কসবা এবং নবীনগর উপজেলার ১শ জন নারী উদ্যোক্তকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক ৫মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারিসোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা-আল শাহীন।
সংলাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।