চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার এ মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং তাদের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে। শতভাগ পাসের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী এ+, ১৬ জন এ এবং ২১ জন এ- পেয়েছেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতা ও আমাদের শিক্ষকমণ্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে শিক্ষার্থীরা এই সফলতা অর্জন করেছে। আমরা আল্লাহর কাছে সবার জন্য দোয়া করি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে কাঠের রেকের চাপায় নারায়ণ চন্দ্র দাস (৬০) নামে এক নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উলজেলার রূপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নারায়ণ চন্দ্র দাস উপজেলার রুপসদী ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের দক্ষিণ দাস পাড়ার মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণ গত দুই বছর যাবত রূপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিল। প্রতিদিনের মত সোমবার রাতে প্রতিদিনের মতো ডিউটিতে যায় নারায়ণ। ভোরে একটি দোকানের সামনে বসলে ভারি কাঁচযুক্ত কাঠের একটি রেক নারায়ণের উপর পড়ে গেলে এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নারায়ণ মারা যান। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে সাড়ে ৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আমেনা মুক্তা (২৬) ওই ইউনিয়নের মাছিমনগর এলাকার বাহেছ মিয়ার স্ত্রী, একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া (৩৮) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (২৫)।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে গোপন খবর পেয়ে মাছিমনগর এলাকার আমেনার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সে সময় সাড়ে ৫ হাজার ইয়াবাসহ আমেনা ও ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আশিক মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি এলাকায় কবর সংলগ্ন পুকুর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশিক মিয়া উপজেলার কলাকান্দি ২নং ওয়ার্ডের আফজাল মিয়ার বড় ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে আশিক জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
পরিবারের লোকজন রাতে ও গতকাল সকালে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি।
সকালে পুকুরের পানিতে আশিকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরন করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মহিউদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে কোন এক সময় তাকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। এসময় তারা অটোরিক্সাটি নিয়ে যায়। আমরা খুনীদের সনাক্ত করতে কাজ করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রুবেলের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এএসআই আল আমিন মানিক ও উপজেলার মধ্যপাড়ার রবি উল্লাহকে। ভুক্তভোগী রুবেল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মামলার তিন নম্বর আসামি রবি উল্লাহর সঙ্গে রুবেলের পরিবারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ ছিল। রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলাও করেছেন, যা চলমান রয়েছে। ১৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে তারই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো কারণ ছাড়াই এক নম্বর আসামি এএসআই আল আমিন অপর ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। থানায় নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল আমিন আবারও তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রুবেলের পুরো শরীর মারাত্মক জখম হয়। থানায় নির্যাতনের বিষয়ে রুবেলের মা আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ১৬ মার্চ দুপুর ২টায় রুবেলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রুবেলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় অথচ ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রেখে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ধারায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন। ২০ মার্চ সোমবার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, শুনেছি আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। এএসআই আল আমিন মানিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে গরু চুরির অভিযোগে গাছে বেঁধে মুমিন (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে তার মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভোরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের একটি গাছে বাঁধা অবস্থায় মুমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুমিন উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, ভোরে ফরদাবাদের একটি বাড়িতে গোয়ালঘরে গরু চুরি করতে চোর ঢুকে। চোরে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গরু ডেকে ওঠে। গরুর ডাকে বাড়ির লোকজন সজাগ হয়ে এসে দেখে চোর। তাদের চিৎকারে আশপাশের বাড়িঘরের লোকজন চোরকে গণপিটুনি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখে। ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছে বাঁধা অবস্থায় মুমিন নামে এক চোরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, নিহত মুমিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। তাকে স্থানীয়রা মুমিন চোরা বলে ডাকতেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।