চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় সড়ক মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া কৌশলী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন তিনি। দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে নিয়মিত পরিদর্শনও করছেন। স্বস্তি প্রকাশ করছেন সড়কে চলাচলকারী চালক যাত্রী ও পথচারীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বাড়িউড়া পর্যন্ত দু’পাশের ঝোপঝাড়ে সন্ধ্যার পর ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই যাত্রীবাহী গাড়িতে ডাকাতি করে। নিজেদের রক্ষায় আবার ওই ঝোপঝাড়ের সহায়তায় সটকে পড়ে ডাকাতদল। অনেক সময় যাত্রীবেশে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে এসে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে মারধর করে ঝোপঝাড়ে ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। একই কায়দায় সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকা থেকে ভূঁইয়ার ঘাট পর্যন্ত সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে ওই ঝোপঝাড়েই আশ্রয় নেয় ডাকাতরা। উভয় সড়কের ঝোপঝাড় ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের নিরাপদ সহায়ক। তাই ওই দুই সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে তাদের আশ্রয় ও নিরাপদ জায়গা ঝোপঝাড় ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছেন ইউএনও।
সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ও কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় রাজস্ব ফান্ডের টাকায় উভয় সড়কের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়মিত কাজ পরিদর্শন করছেন। ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ দেখে স্বস্তি প্রকাশ করছেন চালক যাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা।
সিএনজি চালক মো. খালিদ বলেন, সন্ধ্যার পর এই সড়কে আমরা আতঙ্কে থাকি। ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে হঠাৎ বের হয়ে ইটা বা কাঠের টুকরা ফেলে গাড়ি আটক করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। পরিচ্ছন্নতার ফলে ডাকাতদের নিরাপদে ওঁৎ পেতে বসে থাকার জায়গা থাকবে না। খুবই ভালো লাগছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, সড়কে চলাচলকারী চালক ও জন সাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই আমরা দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় এই পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। ঝোপঝাড় না থাকলে সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ বাংলাদেশের উদ্যোগে ও লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ। এ সময় লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে কামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৪ জন দক্ষ চক্ষু চিকিৎসক বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে প্রায় দুইশতাধিক নারী-পুরুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৪ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্যবিবাহ বন্ধকরণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। একে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম মিয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল কাদের, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক বসির উদ্দিন তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুস সাত্তার, উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ মুখলেছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথবন্ধু দাস প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ আইনশৃংখলা উন্নয়ন ও নাসিরনগরের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি নিদের্শ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকলকে সেবা দেয়ার মন মানুষিকতা নিয়ে কাজ করার আহবান জানান। প্রশাসনের সকল বিভাগে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, নাসিরনগর থানা, সরকারি বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হাওর অঞ্চলের মানুষের জন্য দ্রুত চিকিৎসা সেবার জন্য প্রায় ২১ লাখ টাকা ক্রয়ে ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি ডাকবাংলো চত্বরে কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমবারের মত পবিত্র কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কয়েকটি ধাপে বাছাইকৃত সেরাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এবতেদায়ী, দাখিল, আলিম-কামিল, কওমী মাদ্রাসার নুরানী, নাজেরা ও কিতাব বিভাগ এবং সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্তসহ মোট ৭টি ক্যাটাগরিতে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রত্যেক ক্যাটাগরি/গ্রুপের প্রথম স্থান অর্জনকারী ৯১ জন প্রতিযোগী চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
৭টি ক্যাটাগরিতে ১ম স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা, ২য় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে নগদ অর্থসহ ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকালে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: নুরে আলমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আল মামুন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান মো: সফিকুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো: তৌহিদ মিয়া।
এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ২৩ মার্চ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাথমিক পর্বের বাছাই শুরু হয়ে কয়েকটি ধাপে প্রথমবারের মত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার উদ্যোগে এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতায় এই কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার বাছাই সম্পন্ন হয়। প্রতি ক্যাটাগরিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের উপহার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে উপজেলা ব্যাপী পবিত্র কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোঃ মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম (৩৮) ও মোঃ হাসান মিয়া (৩৪) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের খন্দকার মোঃ শফিকুর রহমানের ছেলে এবং হাসান মিয়া একই গ্রামের তালিব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে উপজেলার প্রথম স্মার্ট বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলো ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়। এর ফলে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ও শতবর্ষী এ বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ সাইফ উদ্দীন আহম্মদ শিবলী, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেখসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯৬৬জন ছাত্রছাত্রী এবং ২১জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। স্মার্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন থেকে এ বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা, অনলাইনে বেতন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে আইডি কার্ড পাঞ্চ করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও প্রাণবন্ত পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার। এ কার্যক্রম চালু হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন।
বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, পরীক্ষার আগে পরীক্ষা ফি গ্রহণ করলেই মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে অভিভাবকরা নিশ্চিত হতে পারবে। জানতে পারবে তাদের সন্তানেরা স্কুলে কখন যাচ্ছে, কখন স্কুল থেকে বের হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সময় মতো উপস্থিতির মূল্যায়ন রিপোর্ট, পরীক্ষার সিট প্ল্যান, পরীক্ষার ফলাফল, বেতন ফি জমা দেওয়ার ভোগান্তি কাটিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সব কিছুই সহজে করা যাবে। অন্যদিকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্লাবসহ স্মার্ট বিদ্যালয়ের সব সুবিধাই এখন থেকে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে।
অভিভাবক জয়ন্ত দেব বলেন, বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। বিদ্যালয়ের সবকিছুই এখন ঘরে বসে সহজেই জানতে পারবো।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শায়ন্তী রায় জানান, আমরা খুবই খুশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে ডিজিটাল করার যে স্বপ্ন দেখছে। আমরাই হবো স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম হাতিয়ার।
ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেখ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাননীয় সাংসদ বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি মহোদয়ের সার্বিক পরামর্শে এ বিদ্যালয়টিকে স্মার্ট বিদ্যালয়ে রুপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। আশা করি এর ফলে বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার অনেকাংশেই বাড়বে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সৈয়দ সাইফ উদ্দীন আহম্মদ শিবলী বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পরই থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই বিদ্যালয়টি উপজেলায় একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এজন্য মাননীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়কে আমরা স্মার্ট বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেছি। আশা করছি পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট বিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারবো।