অনলাইন ডেস্ক :
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপাতত নাটক থেকে বিদায় নেয়ার কথা জানিয়েছেন। ২ ডিসেম্বর সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী ফারিয়া জানান, তাকে আর নাটকে দেখা যাবে না। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত থাকায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিনেত্রী শাহরিন ফেসবুকে লেখেন, ‘যারা মাঝখানে আমাকে ফোন করেছিলেন, মেসেজ করেছিলেন কাজের জন্য, সরি আমি কারও ফোন ধরতে পারিনি, মেসেজের রিপ্লাইও দিতে পারিনি। কারণ, ওই ফোনটাই আমি অনেক দিন ইউজ করিনি। সো সবার রিপ্লাই একসাথে দিচ্ছি, আপাতত নাটকে কাজ করছি না। কবে করব এটাও জানি না কিন্তু ভালো টিভিসি হলে করব। ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে বিনোদন জগতে অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন পা রাখেন। এরপর বিজ্ঞাপনে মডেল ও নাটকে অভিনয়ে নিজের জায়গা গড়ে তোলেন। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি নাটকে তার কাজ দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রযোজক ও ব্যবসায়ীদের নানাভাবে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উঠতি মডেল, অভিনেত্রী তাসনিয়া রহমানের নামে। কয়েকজন ভুক্তভোগী তার ব্যাপারে এমন অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক নেতা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা সাধারণ ডায়েরির একটি অংশে ঐ প্রযোজক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, তার সাবেক স্ত্রী অভিনয় করতে ইচ্ছুক তাসনিয়া নামের একটি মেয়েকে সিনেমার নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন মহলে নিয়ে যান। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ তথ্য আসার পর শোবিজ অঙ্গন বিশেষ করে এফডিসিতে কানাঘুষা শুরু হয় কে এই তাসনিয়া?
তিনি আরো জানান, তার সঙ্গে তাসনিয়া রহমানের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। সে কৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও তুলে রাখে। পরে তাকে সেগুলো দেখিয়ে একের পর টাকা আদায় করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে তিনি বেশ কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন। এরপরও তার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তিনি।
আরেকটি মাধ্যম জানাচ্ছে, এফবিসিসিআই-এর এক সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন এ মডেল-অভিনেত্রী। তবে আদালতে দাখিল করা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী নির্দোষ প্রমাণিত হন। মামলায় জিততে না পেরে তাসনিয়া তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই নিজের সঙ্গে তার ছবি ফেসবুকের কাভারে ব্যবহার করছেন বলে ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করছে। ওই ব্যবসায়ী এ বিষয়ে আইনি সহায়তা নেবেন বলেও জানা গেছে।
আরো একটি অভিযোগ উঠেছে তাসনিয়ার বিরুদ্ধে। কয়েকবছর আগে তাসনিয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন এক আইটি ব্যবসায়ী। কিছুদিন ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একই বাসায় থেকে ছিলেন তাসনিয়া। পরে বিবাহিত ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী গণমাধ্যমে নানা তথ্য প্রমাণ পাঠিয়ে জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তাসনিয়া অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরে পারিবারিক চাপে তাকে ছাড়তে রাজি হন ওই ব্যবসায়ী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাসনিয়া তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাচ্ছে। অন্যথায় মিডিয়ার কাছে ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় প্রকাশ করার হুমকি দিয়েছেন।
আরেকজন উপস্থাপিকা তার স্বামীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাসনিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে বেশ কিছু কল রেকর্ড, কথোপকথনের স্ক্রিনশট গণমাধ্যমে এসেছে।
বিষয়গুলো নিয়ে তাসনিয়া রহমান বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যে। কেউ যদি প্রমাণ দেখাতে পারে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাহলে অভিযোগগুলো মাথা পেতে নেব। কারণ কেউ কোনও প্রমাণ দেখাতে পারব না যে কারো এক টাকা মেরে দিছি। আমি মুদি দোকানেও বাকি রাখি না, কারণ আল্লাহ না করুক যে কোনও সময় আমি মারা যেতে পারি। এভাবে যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে আমি শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলবো।
প্রসঙ্গত, অভিনয়ের নতুন মুখ তাসনিয়া রহমান। কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও কাজ করা হয়েছে তার। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ সিরিজের একটি চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিজের সামর্থ্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন দলটির তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তিনি একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। রাজা টানা পাঁচ ম্যাচে খেলেছেন অর্ধশত রানের বেশি ইনিংস। কেবল ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও সমান উজ্জ্বল ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। গত রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। ওই হারের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচটিতে তিনি খেলেছেন ৪২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। পাশাপাশি মাত্র ১৩ রানেই শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তবে তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও দলের হার ঠেকাতে পারেনি।
এর আগে খেলা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন রাজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে রুয়ান্ডার বিপক্ষে তিনি প্রথম ফিফটি হাঁকান। ৩৬ বলে ৫৮ রানের পাশাপাশি ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৬৫ রান এবং ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। তৃতীয় ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮২ রান এবং ২১ রানে শিকার করেছেন ২ উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৫ রান এবং ২৮ রানে ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন।
এর আগে সর্বোচ্চ টানা চার টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের টানা চার ম্যাচে রানের পরিসংখ্যান ছিল এরকম— ৫৯ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ৬১ (অস্ট্রেলিয়া), ৫৬* (ভারত) ও ৬৯* (ভারত)। এভাবে সমান চারটি করে টানা ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড আছে আরও পাঁচ ক্রিকেটারের। তারা হচ্ছেন— উইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইল, নামিবিয়ার ক্রেইগ উইলিয়ামস, কানাডার রায়ান পাঠান, ফ্রান্সের গুস্তাভ ম্যাককন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিক্সের। পাঁচটি অর্ধশতরান করে সবার ওপরে ওঠে গেলেন রাজা।
গত প্রায় দুই বছর ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করছেন রাজা। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের জন্য এই সময়টা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দেশের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ সময়ে পথ হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তারা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আফ্রিকান অঞ্চলে নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে ছিটকে পড়ে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটিপতি লিগ হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজি এ টুর্নামেন্টে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলো তাদের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি সই করে থাকে। সেই চুক্তির মতোই এবার বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিসই করতে যাচ্ছে আইপিলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। এ চুক্তি কার্যকর হলে ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দেশের লিগেও খেলার সুযোগ পাবেন।
আইপিএলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকলে ক্রিকেটাররা নিজ দেশের জাতীয় দলে খেলতে গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের অনুমতি নিতে হবে।
কারণ সেরা ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে বার্ষিক চুক্তির দিকে এগোচ্ছেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, জোফরা আর্চার হতে পারেন এ ধরনের প্রথম ক্রিকেটার। যিনি দেশের আগে পাকাপাকিভাবে বেছে নিতে পারেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে ধরে রাখার জন্য বার্ষিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। আর্চার প্রস্তাব মেনে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখতে হলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে।
চোটের জন্য গত বছর আইপিএল খেলতে পারেননি আর্চার। এবারো কনুইয়ের চোটের জন্য প্রতিযোগিতার মাঝপথে দেশে ফিরে গেছেন। গত বছর নিলামে আর্চারকে ৮ কোটি টাকা দিয়ে কিনেও সেই অর্থে লাভ হয়নি মুম্বাইয়ের।
আগামী দিনে যাতে এমন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আর্চারের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তির ভাবনা মুম্বাই কর্তৃপক্ষের। তাহলে আর্চার বছরে কতগুলো ম্যাচ দেশের হয়ে খেলবেন, কোন কোন সিরিজে খেলবেন- এসব কিছুই নির্ধারণ করবে মুম্বাই। ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমতি না নিয়ে তাকে খেলাতে পারবে না ইংল্যান্ড।
আর্চার মুম্বাইয়ের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিতে থাকলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন।
ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শুধু আর্চার নন ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির নজরে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যালেক্স হেলস। ২০২২ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে কিনলেও আইপিএল থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তার সঙ্গেও বার্ষিক চুক্তি করতে যাচ্ছে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নতুন করে লিখল নেপাল। এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চীনের হাংঝুতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
এই ম্যাচে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৩১৪ রান তুলেছে নেপাল। গোটা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই এটা সর্বোচ্চ রান। এর আগে এই রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের দখলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ সালে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলেছিল আফগানরা।
এই ম্যাচে আরো রেকর্ড গড়েছে নেপাল। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছে নেপালিরার। যার আগে আফগানরা হাঁকিয়েছিল ২২টি।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির রেকর্ডটাও নিজেদের করে নিয়েছে নেপাল। নেপালের দীপেন্দ্র সিং আইরে মাত্র ৯ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন। তিনি ভারতের যুবরাজ সিংয়ের ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। আইরে ১০ বলে ৫২ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন। তার মধ্যে তিনি ৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৫২০।
অন্যদিকে রোহিত শর্মা ও ডেভিড মিলারকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন নেপালের কুশাল মাল্লা। ৩৪ বলে শতক তুলে নিয়েছেন তিনি। ৫০ বলে করেছেন ১৩৭ রান। এই ইনিংসে তিনি আটটি চার ও ১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। রোহিত ও মিলার ৩৫ বলে টি-টোয়েন্টিতে শতক হাঁকিয়েছিলেন।
আর নেপাল এসব রেকর্ড গড়েছে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে।