অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে নেপালকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। ৫২ রানে গুটিয়ে যাওয়া নেপালকে ৪০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই সহজে পরাজিত করেছ বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার মালয়েশিয়ার ইউকেএম ক্রিকেট ওভালে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ১৮.২ ওভার শেষে ৫২ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। জবাবে ৪০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
৫৩ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলায় কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ২১ রানের জুটি গড়ে স্বস্তি এনে দেন সাদিয়া ইসলাম ও অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। তবে কেউই অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। ২৪ বলে ১ চারে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন সাদিয়া ইসলাম। ২৪ বলে ১২ রানে আউট হন সুমাইয়া।
এরপর আফিয়া আশিমা ইরাকে (৯) সাথে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন জান্নাতুল মাওয়া। দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৫ রান করায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পান তিনি। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারায় নেপালের মেয়েরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে ওপেনার সানা প্রবীণের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল সীমানা কেসি (১০)। শেষ পর্যন্ত নেপালের ইনিংস থামে ৫২ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে দু’টি উইকেট লাভ করেন জান্নাতুল মাওয়া। একটি করে উইকেট লাভ করেন নিশি, ফাহমিদা ছোঁয়া ও আনিসা আক্তার সোবা। এছাড়া রান আউটের শিকার হয় নেপালের ৫ ব্যাটার।
স্পোটর্স ডেস্ক
প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর বসেছে। ২ জুন প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আইসিসির দুই সহযোগী সদস্য স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। ডালাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ব্যাপক শাসন করে কানাডা স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে অ্যারন জোন্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ ২ জুন রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ৩০ মিনিটে দুই প্রতিবেশী দল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন শুরু করেন কানাডার দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ডালিওয়াল। এইি উদ্বোধনী জুটি করে ৪৩ রান। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় অ্যারন জনসনের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ৬৬ রানে পারগাত সিংয়ের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৭ বলে ৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর নবনীতকে নিয়ে দারুন জুটি গড়েন নিকোলাস কির্তন। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় নবনীতের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৪৪ বলে ৬১ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর নিকোলাসের ব্যাটে ভর করে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় কানাডা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার স্টিভেন টেলরকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ১৬ বলে সমানসংখ্যক রান করেন তিনি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। অ্যারন জোন্স ও অ্যান্ড্রেস গুসের ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। জোন্সই বেশি মারমুখী ছিলেন। মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফিফটির দেখা পান গুসও। মাত্র ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৬৫ রান করেন গুস। এরপর কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন জোন্স। তিনি অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৪০ বলে চারটি চার ও ১০ ছক্কায় ৯৪ রান করে। আর এতে ১৪ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল স্বাগতিকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অনলাইন ডেস্ক :
বয়সকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে মাঠে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি প্রো লিগে আল খোলুদের বিপক্ষে পর্তুগিজ এই তারকা দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের ৯২৮তম গোলের। পর্তুগিজ তারকার গোলের রাতে ১৪ মার্চ শুক্রবার ১০ জনের দল নিয়েও জয় পেল আল নাসর। ৩-১ ব্যবধানে তারা হারিয়েছে খোলুদকে।
বয়স ৪০ পেরিয়ে এক মাস। কিন্তু এখনো মাঠে তরুণদের মতো পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন রোনালদো। ক্রমান্বয়ে এগোচ্ছেন হাজারতম গোলের মাইলফলকের পথে।
সৌদি প্রো লিগে এবারের মৌসুমে আল নাসর খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল রোনালদো। লিগটিতে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলস্কোরার পর্তুগিজ তারকা। ২৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৯ গোল।
দুই ম্যাচ পর আল নাসরকে জয়ে ফেরাতে শুক্রবার রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই ক্যারিয়ারের ৯২৮তম গোলে দলকে লিডে ফেরান তিনি। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে জন ডুরানকে পাস দিয়েছিলেন সাদিও মানে। কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড গোলমুখে বল পেয়েও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন। তার শট বারে লেগে ফিরে আসে। সুযোগ পেয়ে যান রোনালদো। তিনি কোনো ভুল করেননি। গোলরক্ষক ও দুই ডিফেন্ডারের ফাঁকে খুঁজে নেন ঠিকানা।
২৬তম মিনিটে আল নাসরের দ্বিতীয় গোলেও ছিল রোনালদোর অবদান। মাঝমাঠ থেকে ডি-বক্সের বাঁ প্রান্তে তিনি লম্বা পাস বাড়ান আল নাজদিকে। তিনি পাস দেন গোলমুখে থাকা মানেকে। বাকিটা সেরে নেন সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড। বিরতির আগেই ব্যবধান ৩-০ করে নেয় আল নাসর। ৪১তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নিচু শটে বল জালে জড়ান ডুরান।
বিরতির পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় আল নাসর। ৫৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নাওয়াফ বউশাল। তবে একজন কম নিয়ে খেললেও আল নাসরকে খুব বেশি চাপে ফেলতে পারেনি খোলুদ। ৭২তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জ্যাকসন মুলেকার জোরালো শটে একটি গোল শোধ করে খোলুদ। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
২৫ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে আল নাসর। শীর্ষে থাকা আল-ইত্তিহাদের সঙ্গে সমান ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ১০। অন্যদিকে, খোলুদ ২৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ১০-এ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
২৩ রানে ৩ উইকেট ছিল না বাংলাদেশের। ধুঁকতে থাকা সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের দায়িত্বের সবকিছুই পূরণ করলেন তিনি। হাঁকালেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
শান্তর অপরাজিত ১২৯ বলে ১২২ রানের ইনিংসের উপর ভর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অবশেষে সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ২৫৫ রানের জবাবে ৬ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা।
এদিন দুর্দান্ত জুটি করে দারুণ একটি রেকর্ড করেছেন শান্ত ও মুশফিক। লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে তাদের গড়া ১৩১ রানের জুটিটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ১১১ রানের জুটি ছিল মুশফিক ও সাব্বির রহমানের।
বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৮৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে শান্তর সঙ্গে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন ওপেনার লিটন দাস। বাঁহাতি লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার গুড লেন্থে করা বল ডিফেন্ড করতে গেলে ব্যাটের কানায় লাগে লিটনের। সেই বল উপড়ে ফেলে লিটনের লেগ স্টাম্প। গোল্ডেন ডাক মেরেই সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ ওপেনার।
মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। মিডঅফে খেলতে গিয়ে মাহিশ থিকসানার হাতে সহজ ক্যাচ হন সৌম্য (৯ বলে ৩)। দাঁড়াতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়ও। ৮ বলে ৩ রান করে প্রমধ মাদুশানের বলে তিনিও বোল্ড হন।
এরপর শান্তকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি। ফিরেছেন ৩৭ বলে ৩৭ রান করে। লাহিরু কুমারাকে ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন দিলশান মাদুশঙ্কার।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংবান্ধব পিচে টস জিতে ব্যাট নিতে ভুল করেনি লঙ্কানরা। ব্যাটিংবান্ধব পিচে তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের তোপে ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই রীতিমত ঘাম ঝরছিল বাংলাদেশের। আভিস্কা ফার্নান্ডো আর পাথুম নিশাঙ্কা ঝোড়ো গতিতে রান তুলে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তাদের ৫৯ বলে ৭১ রানের মারকুটে জুটিটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব।
সাকিব নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের দশম ওভারে এসে আঘাত হেনেছেন। ৩৩ বলে ৩৩ করে আভিস্কা ফার্নান্ডো অনেকটা সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়েছেন।
নিজের পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কাকেও ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। এবার স্লিপে সৌম্য সরকার নিয়েছেন ক্যাচ। নিশাঙ্কা করেন ২৮ বলে ৩৬।
এরপর ১৪তম ওভারে আরও এক শিকার তানজিম সাকিবের। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারি সাদিরা সামারাবিক্রমা (৩) ডিফেন্ড করতে গিয়েও ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। মুশফিকুর রহিম ঝাঁপিয়ে পড়ে নেন দারুণ এক ক্যাচ।
চতুর্থ উইকেটে আবার জুটি করে শ্রীলঙ্কা। এই উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আশালঙ্কা করেন ৭৩ বলে ৪৪ রানের জুটি। তবে তাদের ফিফটি রানের জুটি করতে দেননি অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭ বলে ১৮ রান করা আশালঙ্কাকে ফেরান বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তিনি।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কাকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। ফিফটি হাঁকানোর সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনি। তবে তাকে বেশি দূর এগুতে দেননি সেনসেশনাল পেসার তাসকিন আহমেদ।
৭৫ বলে ৫৯ করা মেন্ডিসকে মিডঅফ অঞ্চলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান তিনি। মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দ্রুতগতির ৬৯ রানের জুটিও ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। জেনিথ লিয়ানেজের সঙ্গে ৬৮ বলে এই জুটি করেন মেন্ডিস।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন লিয়ানেজ। শরিফুলের বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেট মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১৪ বলে ১৩ রান করা হাসারাঙ্গাকে তাওহিদ হৃদয়ের হাতের ক্যাচ বানান তাসকিন।
প্রমধ মাদুশান ৮ ও লাহিরু কুমারা ৫ রান করেন। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
কাতারে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ। মঙ্গলবার আর্থনা সামিটের আগে দোহার ম্যান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বের সঙ্গে স্বাগত সংবর্ধনায় অংশ নেন তারা।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশ সফরে গেছেন। এই চার কৃতী ক্রীড়াবিদ হলেন- জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আর্থনা সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন জাতীয় চার নারী ফুটবলার এবং ক্রিকেটার।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা। এ সময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
কাতারের দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এবারের আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান। চার দিনের এ সফর চলাকালে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।