চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্রসহ শাহাব উদ্দিন (৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন চারপাড়া গ্রামের মোঃ দুলাল মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, বাঙ্গরা এবাদুল করীম উচ্চ বিদ্যালয়ে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ চারপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে দুইটি দেশীয় বন্দুক, চাইনিজ কুড়াল, ১টি তালা কাটার মেশিন, ১টি কম্পিউটারের সিপিও ও স্কুলের ৩টি ল্যাপটপ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল উদ্ধার করে।
বাঙ্গরা মোহাম্মদ এবাদুল করীম উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে বিদ্যালয়ের ৪ টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টরসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি হয় আর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ৩টি ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল উদ্ধার করেছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চারপারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্কুলের মালামাল ও দুইটি দেশিয় বন্দুকসহ শাহাবুদ্দিন নামের একজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা তদন্ত অবস্থায় আমাদের অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে সাইমা মম নামের ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সাপটি কোবরা জাতের সাপ ছিলো বলে নিশ্চিত করেন পারিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমা মারা যায়।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কান্দি-রেজতপুর গ্রামের নাসিরুদ্দিন স্বপনের মেয়ে।
সাইমার বড় ভাই ইমন শাহরিয়ার জানান, নিজ বসতঘরে সাইমা রাতের খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য পাশের রুমে গেলে সেখানে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে আমরা ছুটে আসি। সেখান থেকে সাপে কেটেছে বুঝতে পেরে তাকে নবীনগর উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সাপের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কুমিল্লা নেওয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমার মৃত্যু হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাসমিত করিম বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। আমাদের এখানে সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
দারিদ্র্যতা হারাতে পারেনি তাকে। কঠোর পরিশ্রম করে আজ সাফলতার স্বাদ পেয়েছে সে। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচার পাঠাগারে বসে পড়ত। কখনো দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই কখনো বা প্রাইভেট পড়িয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুমাইয়া আক্তার।
সুমাইয়া আক্তার জেলার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সে এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এ প্লাস এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা যায়, সুমাইয়া আক্তাররা দুই বোন। সে বড়, ছোট বোন উন্মে হানি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সুমাইয়ার বাবা পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তার বাবা প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। সুমাইয়ার মা পারভীন আক্তার গৃহিনীর পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে পরিবার চালান। সুমাইয়া মায়ের সঙ্গে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জির কাজ করত ও প্রাইভেট পড়াত। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচা স্বপন মিয়ার পাঠাগারে প্রায় সময় বসে নিরবে লেখাপড়া করত সুমাইয়া। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি সে প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করত।
সুমাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া বলেন, সুমাইয়াকে কখনো চাপ দেইনি যে এ প্লাস পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের এ প্লাস না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে এ প্লাস এর যোগ্যতা অর্জন কর। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সুরাইয়া প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা নিয়মিত লেখাপড়া করতো। পাঠাগারে সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোন দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করে পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ এ প্লাস পেয়েছে। এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। সুরাইয়া যেন ভবিষ্যৎতে একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। সুমাইয়া গুঞ্জন পাঠাগারের আবৃত্তি বিভাগের পরিচালকও।
সুমাইয়া জানান, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতেন। আমি ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চাই। সেই জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলাচং হাই স্কুলের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, সুমাইয়া মানবিক বিভাগ থেকে এ প্লাস পেয়েছেন। এতে আমরা ভীষণ খুশি। সামনে পড়ালেখার সুযোগ পেলে সে আরও ভালো রেজাল্ট করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার নাটঘর গ্রামে আগুন লেগে এক কৃষকের দুই গরুসহ গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ওই কৃ কের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘরের আব্দুর রশিদ ডিলার বাড়ির কৃষক আব্দুর রহমানের গোয়ালঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হুমায়ূন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বরাতে আব্দুর রহমানের চাচাতো ভাই মো. খোরশেদ আলম জানান, আজ সকালে গোবর পরিষ্কার করার জন্য রান্নাঘর থেকে বাঁশের পাত্র দিয়ে ছাই এনে গোয়ালঘরে রাখা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সেই ছাই থেকে গোয়ালঘরে রাখা পাটে আগুন ধরে যায়। পরে মুহূর্তেই সেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়ালঘরে পাট ছাড়াও অনেক পাটখড়ি, লাকড়ি, চাল, চালের পাত্রে নগদ টাকা রাখা ছিল। স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে দুটি গরুসহ পুরো গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষক পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির ফরহাদ শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, বিষয়টি জানলাম। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সিএনজি অটোরিকসার ধাক্কায় জবা রাণী বিশ্বাস (০৭) নামে এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নবীনগর টু রাধিকা সড়কের শিবপুর কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জবা রাণী বিশ্বাস শিবপুর গ্রামের সূূর্য বিশ্বাস এর মেয়ে। সে শিবপুর সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ বিদ্যানিকেতনের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জবা বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হন। পথিমধ্যে দোকান থেকে খাবার কিনতে যাবার সময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে তার মৃত্যু বরণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, নিহতের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে রয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।