চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মাদকসহ নারীকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তের গৌরাঙ্গলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি জানান, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তের গৌরাঙ্গলা এলাকা থেকে ৬ কেজি গাঁজা এবং ২ বোতল ইস্কাফ সিরাপসহ নারী মাদক চোরাকারবারি রোকসানাকে (৪২) আটক করা হয়েছে। আটক নারীর বাড়ি বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ শাহ দৌলতপুর গ্রামে।
তিনি আরো বলেন, আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কালিয়া উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা, দেশীয় তৈরি অস্ত্র রামদা, জিআই পাইপ, নগদ টাকা ও ৭টি মোবাইলসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
৯ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের চোরখালী ও খাশিয়াল গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, চোরখালী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রফিকুল মোল্লা (৩০), খাসিয়াল গ্রামের জমির উদ্দিন এর ছেলে আকবর উদ্দিন, হাসমত বিশ্বাস (৩০), হাসমত বিশ্বাসের ছেলে নাঈম বিশ্বাস (২০), হাসমত বিশ্বাসের স্ত্রী বিনা বেগম, ও পুঠিমারী গ্রামের আকাশ।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাসিয়াল -জয়নগর এলাকায় নিয়মিত টহল চলাকালে পুটিমারী বাজারের পাশে একটি স্কুলের ফ্যান চুরি করার সময় আকাশ নামের একজন চোরকে গ্রামবাসী ধরে হস্তান্তর করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ জানায় চুরি করা টাকা দিয়ে সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে মাদক ব্যবসায়ী আকবরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৩ পিস ইয়াবা, ৮০ গ্রাম গাঁজা ও চারটি দেশীয় অস্ত্র এবং নগদ ৩৩,২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আকবর জানায়, রফিকুল নামে এক ডিলারের কাছ থেকে সে এই সকল মাদক সংগ্রহ করে। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আকবর ও তার স্ত্রী এবং ২ সহযোগীকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী চোরখালীতে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা এবং ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, কালিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে ৬ জন আসামি নড়াগাতী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে নড়াগাতী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাঁদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈরী আবহওয়া চলছে। আজ ২৭ মে সোমবার সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে বৃষ্টি। এর ফলে জেলার তিতাস ও মেঘনা নদীতে বেড়েছে পানি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রবিবার থেকে আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর নৌবন্দর থেকে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য লোড-আনলোড। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১শ’ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। গত দুইদিনে তিতাসের পানি বেড়েছে দশমিক ৩৫ মিটার এবং মেঘনার পানি বেড়েছে দশমিক ৮৬ মিটার। তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বৃষ্টির কারণে জেলা শহরে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমেছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদীর গোকর্ণঘাটে ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং মেঘনা নদীর ভৈরববাজার পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৮ মিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কোনো নিম্নঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহববু আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা না থাকলেও সরাইল, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় শাখাওয়াত হোসেনকে স্বাগত জানান বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কুশল বিনিময় শেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জেলার দায়িত্বভার তুলে দেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের হাতে। এ সময় জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে আসলে নবাগত পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিছুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) কামরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেন। নবাগত পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালনে এবং জেলার আইনশঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৫৮ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা। আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত ৩দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত ৩দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭০,৬০০ টি বাঁজি, ৯৪৫ কেজি চিনি, ২৭০ কেজি বাসমতি চাউল, ২৫,২০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১ টি কাভার্ড ভ্যান, ৯৭ বোতল হুইস্কি, ৯৪ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১২৮৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।