অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতোলা। কোনো না কোনো ইস্যু নিয়ে কিছুদিন পর পরই সংবাদের শিরোনামে আসেন এই অভিনেত্রী। এর মধ্যে অধিকাংশ সময়ই নামের সাথে জুড়ে থাকে বিতর্ক। কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে কথা বলে কটাক্ষের মুখে পড়েন। তারকার ওপর হামলা নিয়ে সমবেদনা জানানোর পরিবর্তে নিজের লাখ টাকার ঘরি শো-অফ করেন। এ দৃশ্য দেখে অসংবেদনশীল তকমা দেয়া হয় তাকে। পরে এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিনেত্রী ঊর্বশী।
এদিকে, এবার এ অভিনেত্রী বাথরুম থেকে ফাঁস হওয়া আপত্তিকর ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বাথরুমে প্রবেশ করছেন ঊর্বশী। এ সময় পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
এরপরই প্রশ্ন উঠে-এ ধরনের ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রকাশ্যে এলো কীভাবে? এ নিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা যখন নানান আলোচনা-সমালোচনা করছেন, বিষয়টি নিয়ে তখনই প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেত্রী।
এ ব্যাপারে ঊর্বশী রাউতোলা বলেন, নির্মাতারা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, আমাদের সিনেমা নিয়ে কোনো ধরনের হাইপ নেই, আলোচনাও নেই। এ সিনেমার জন্য জমি বিক্রি করতে হয়েছে। তারা এমনটাও বলেছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে যদি কোনো শোরগোল তৈরি করা না যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের বিপরীতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।
এ অভিনেত্রী বলেন, নির্মাতারা এসে আমার বিজনেস ম্যানেজারের সাথে আলোচনা করেন এবং অনুমতি নেন আমাদের। আর আমাদের সিনেমার দৃশ্য এমনই ছিল, আলাদা কিছু শুটিং করিনি। এ জন্য তিনি বলেছিলেন, এটি আমরা আরো আগে মুক্তি দিতে পারি কিনা। আর প্রযোজকদের কথা ভেবে প্রোমোশনের জন্য এমনটা করি। যা ‘ঘুষপেটিয়া’ সিনেমার দৃশ্যের ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা পোশাকের মতোই রঙিন। বিপরীতে টেস্টে সেটি ধূসর। এর আগে ১৭ টেস্টে টাইগাররা মাত্র একটিতে জিতেছিল। সেটি তাদের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে একাধিকবার ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও টেস্টে কোনো জয়ই ছিল না। শান্ত-তাইজুলরা আজ সেই খরা কাটালেন, ঘরের মাঠে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নিলেন কিউইদের বিরুদ্ধে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ১৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের দৃশ্যপটটা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনেই তৈরি করে রেখেছিল। যদিও ম্যাচের আগে অনিশ্চয়তা ছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা গড়াবে কি না। দুই ইনিংসেই কিউইদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিনবান্ধব হয়ে পড়া উইকেটে চতুর্থ দিন তার ঘূর্ণিতে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার শেষ দিনে নেমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আগেরদিন ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ড্যারিল মিচেল। অবশ্য এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ টেকেননি। চোখ রাঙাতে পারেননি সেভাবে।
বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষাটা যা একটু বাড়িয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তাদের ২য় ইনিংসের সেরা জুটিটা উপহার দিয়ে সাউদি আউট হওয়ার পরই জয় ধরা দিল। ব্যক্তিগত ফাইফারে (৫ উইকেট) তাইজুল কিউইদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ১৮১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন মিচেল। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের ৬টি ছাড়াও নাঈম হাসান ২টি, মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল একটি করে শিকার ধরেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৩ টেস্টে। ৩টি টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিলেটের এই টেস্টে জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো কিউইদের। নিজেদের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে, ক্রাইস্টচার্চে। ৩২৪ রান তাড়া করে তারা ১৯৯৪ সালে জিতেছিল। এই ম্যাচে তাদের সামনে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ছিল ৩৩২ রানের।
চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারালেও সফরকারী স্পিনার এজাজ প্যাটেল লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। লড়াই হলেও, তাদের জয়ের স্বপ্ন দেখা ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো। তবে তার আশা একেবারেই অমূলকও ছিল না, ক্রিজে ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটার মিচেল। তিনি যদি কিছু করে ফেলতে পারেন!
শেষদিনে দ্রুত কিউই ইনিংস থামাতে মিচেলের উইকেটই সবার আগে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সেটি পেতে লাগল ১০ ওভার। ১০ম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিচেল। নাঈম হাসানের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে বন্দি তিনি। এর আগে মিচেল ১২০ বলে ৫৮ রান করেন। ইশ সোধির সঙ্গে ৯১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
ততক্ষণে হার প্রায় নিশ্চিত কিউইদের, ফলে শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা নিয়ে নামেন কিউই অধিনায়ক। সাউদির আগে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ ছক্কা মারেননি। শেষ পর্যন্ত ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে টেস্টে ১২তম বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
এরপর শেষ উইকেটটাও তুলে নেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার। তার বলে সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো জাকির হাসানকে ক্যাচ তুলে দেন সোধি (৯১ বলে ২২)। ৩১ বছর বয়সী তাইজুল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।
ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তা-পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে কিংবা ড্যারিল মিচেল- কে নেই সফরকারীদের দলে। অন্যদিকে, ঠিক বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও অধিনায়ক সাকিবকে ছাড়াই সিলেটে খেলতে নামে লাল-সবুজের দল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের ভার ওঠে শান্তর কাঁধে। তরুণ নেতৃত্ব ও দল নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে দারুণ শুরু পেল স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩১৭। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ জবাব দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৩২ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এর আগে এতবড় রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই নিউজিল্যান্ডের। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁ-হাতি পেসারের খাটো লেন্থের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টম লাথাম। ডাক খেয়ে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
লাথাম ফেরার পর কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এ যাত্রায় ব্যর্থ হন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন তিনি! লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২৪ বলে করেন ১১ রান।
এরপর তাইজুলকে অনুসরণ করলেন মেহেদী মিরাজও। থিতু হওয়ার আগেই হেনরি নিকোলসকে বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি নিকোলস। টপ এজ হয়ে বল ওঠে সোজা আকাশে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে কয়েক পা সরে বল তালুবন্দি করেন নাঈম। ২ রান করে নিকোলস ফেরায় ৩০ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এরপর মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কনওয়ে। চা বিরতি থেকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দেন কনওয়ে। ২২ রান করে এই ওপেনার ফেরায় দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফেরে সফরকারীদের চার ব্যাটার। এভাবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে একশ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় সাউদির দল। ৫ম দিনে এসে ‘মিরাকল’ কিছু না হলে নিউজিল্যান্ডের পরাজয় আর বাংলাদেশের জয় আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালে ‘মুজিব’ সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভ। যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমায় তিনি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করে পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন মাত্র এক টাকা। পরে জানা যায়, রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট পেয়েছেন আরিফিন শুভ। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এবার সেই প্লট হারাতে চলেছেন শুভ।
হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আরিফিন শুভর সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের প্লটও বাতিল হচ্ছে।
আরিফিন শুভর প্লট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজউকের চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত যেগুলো রেজিস্ট্রেশন হয় নাই, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে; যা বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।’
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে শুভকে ১০ কাঠা আর প্রযোজক লিটন হায়দারকে ৩ কাঠা আয়তনের একটি প্লট গত বছরের ২৭ নভেম্বরে রাজউকের বোর্ড সভায় বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এ প্লটের বিপরীতে শুভ সরকার-নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে একটি চুক্তিপত্রও গ্রহণ করেন। কিন্তু সময় স্বল্পতায় তিনি এ প্লটের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করে নিতে পারেননি। এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শুভর প্লটসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলো নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরিফিন শুভ ও লিটন হায়দারের প্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ সংস্কৃতিকে ভালবাসে, খেলাধূলাকে ভালবাসে তারা সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদকে পছন্দ করেন। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক বড় ঐতিহ্য রয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ১ নভেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনুর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা-অনুর্ধ্ব-১৭ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম আরো বলেন, ফুটবলের উত্তেজনা কমেনি দিন দিন আরো বাড়ছে। আজকে যারা অনুর্ধ্ব-১৭ দলে খেলছেন তাদের মধ্যে ভাল খেলোয়াড় বাছাই করে বিভাগীয় পর্যায় এবং একদিন জাতীয় পর্যায়ে খেলবে। তিনি সকলের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও টুর্ণামেন্ট পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আবুল কাসেম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ ইউসুফ কবির ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ পাল, সদস্য আবেদ, প্রবীর চৌধুরী, বুলবুল প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা বালক/বালিকা বনাম নাসিরনগর উপজেলা বালক/বালিকা। বিপুল দর্শকদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের উত্তেজনামুলক খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোল না করতে পারায় ট্রাইব্রেকারে সদর উপজেলা বালক এবং বালিকা উভয় দল নাসিরনগর বালক এবং বালিকা দলকে পরাজিত করে।
খেলার সময়ে মাঠের ৪ পাশের কানায় কানায় দর্শকে ভরপুর ছিল।
খেলায় ভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান ও মোঃ রিপন।
অনলাইন ডেস্ক :
কোপা আমেরিকার এবারের আসরের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গী পেরু ও চিলি।
আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গী কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে। দুই গ্রুপে আরও একটি করে দল যোগ হবে। যাদের আসতে হবে প্লে-অফ পেরিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আজ কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আসরে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্য দেশের সঙ্গে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল (কনকাকাফ) থেকে খেলবে ৬টি দেশ।
ড্র’য়ে ‘বি’ গ্রুপে মেক্সিকো ও জ্যামাইকার সঙ্গী লাতিন আমেরিকার দুই দেশ একুয়েডর ও ভেনেজুয়েলা। ‘সি’ গ্রুপে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছে উরুগুয়ে, বলিভিয়া ও পানামা।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের ২০ জুন শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচে আটালান্টায় প্লে-অফ পেরিয়ে আসা দলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ১৪ জুলাই মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
একনজরে কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের ড্র:
গ্রুপ এ: আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি, কনকাকাফ ৫
গ্রুপ বি: মেক্সিকো, একুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, জ্যামাইকা
গ্রুপ সি: যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে, পানামা, বলিভিয়া
গ্রুপ ডি: ব্রাজিল, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, কনকাকাফ ৬
অনলাইন ডেস্ক :
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৫৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.১ ওভারে ২০১ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তান তুলে নিয়েছে ১৪২ রানের জয়।
পাকিস্তানের পেসার হ্যারিস রউফের আগুনে পুড়েছে আফগানরা। ডানহাতি এই পেসার তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তার ওই ফাইফারে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে হাসমতউল্লাহ শাহেদির দল।
ওয়ানডে ফরম্যাটে আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন রান ৫৮। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে তাদের ওই রানে অলআউট করেছিল। তার আগের বছর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৩ রানে থেমেছিল আফগানরা। ২০১০ সালে কেনিয়া তাদের ৮৮ রানে অলআউট করেছিল। একশ’ রানের নিচে ওটাই ছিল তাদের শেষ অলআউট হওয়ার ঘটনা।
সর্বশেষ এই হাম্বানতোতায় শ্রীলঙ্কায় বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল আফগানিস্তান। অলআউট হয়েছিল ১১৬ রানে। এছাড়া গত ছয়-সাত বছরে এতো বড় ব্যাটিং বিপর্যয় দেখিনি সাহসী ক্রিকেট খেলতে থাকা আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আয়োজক আফগানিস্তান। নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতায় মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। মুজিব উর তিনটি ও রশিদ খান-মোহাম্মদ নবী দুটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে থামিয়ে দেয়।
পাকিস্তানের হয়ে ইমাম উল ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া মিডল অর্ডারে ইফতিখার ৩০ ও শাদাব খান খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান চতুর্থ ওভারে ৪ রানে হারায় তিন উইকেট। শুরুর তিন ব্যাটার ডাক মেরে ফিরে যান। সেখান থেকে আর উঠতে পারেনি দলটি। আফগানদের হয়ে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৮ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। আর কেউ দশ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে হ্যারিস রউফ ৬.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি দুই উইকেট নেন। একটি করে উইকেট দখল করেন নাসিম শাহ ও শাদাব খান।