চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ মঈন উদ্দিন মঈনকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে আড়াইসিধা ইউনিয়নবাসী।
অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন সাংসদ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ মো মঈন উদ্দিন বলেন, ফুল পঁচে যায়, ফুলের ভালোবাসা নয়, আমি আপনাদের হৃদয়ে আত্মার আত্মীয় হয়ে থাকতে চাই। আপনারা আমাকে যেভাবে শ্রম, অর্থ ও সময় দিয়ে আমাকে সংসদে পাঠিয়েছেন তার ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। এই ৫ টি বছর আপনাদের মাঝে কামলা হিসেবে থাকব।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কাদির ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আড়াইসিধা ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ, সহ-সভাপতি আলহাজ¦ আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান কবীর, প্রবীন আওয়ামী নেতা হেবজুল বারি, আড়াইসিধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম মিয়া, লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদ মাষ্টার, শরীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈফ উদ্দিন, দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো সালাউদ্দিন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহানা মকবুল, সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজহার ভুইয়া, সোহেল আলম, আরমান খন্দকার, সামসুল আলম, ইউপি মেম্বার শাহ আলী, নজরুল ইসলাম, কামাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আড়াইসিধার বিশেষ ব্যক্তিবর্গসহ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
গণসংবর্ধনা শেষে দেশের খ্যাতনামা শিল্পী ফকির সাহাব উদ্দিন, ক্লোজআপ তারকা সাজুসহ নামকরা শিল্পীদের গানে গানে মুখরিত ছিল মঞ্চ।
স্টাফ রিপোর্টার :
আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের কয়েকটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের নোনার বাড়ির মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান, মুন্সিবাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে হাজী সাইফুল ইসলাম এবং বাবরের বাড়ির আমির হামজার ছেলে মনির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একাইট্টা, বল্লম ও টেঁটা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ও শনিবার গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগার মত তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি) গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ পুরো গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দুই দফা সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর রেশ যেন কিছুতেই কাটছে না।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ রহমান জানান, পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দু’পক্ষই তাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র জড়ো করতে থাকে। টের পেয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১০৫টি বিভিন্ন জাতের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সংঘর্ষের পর থেকে দুর্গাপুর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করাসহ সার্বক্ষণিক পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৩-৪শ’ লোকের নামে মামলা দায়ের করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১৭৫ বোতল বিদেশী মদ এবং ৩০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ৮টা এবং ভোর রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় মাদক বহনকারী একটি পাজেরো জীপ ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চাষাড়া এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মালির পাথর (পঞ্চসার) গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন (৪৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. রফিক (৩১) ও একই এলাকার মো. তানভীর (২০)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিউল কবির বলেন, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি পাজেরো জীপ আটক করা হয়। গাড়িটি তল্লাশি করে ১৭৫ বোতল বিভিন্ন ব্যান্ডের বিদেশি মদের বোতল উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন এবং আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে ভোরে একই এলাকায় অপর অভিযানে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. রফিক ও তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে লিফলেট বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। তিনি সড়কপথে ঢাকা থেকে আশুগঞ্জে পৌছেই তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত ছেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি আশুগঞ্জের মুন্সি মাকেট থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। আশুগঞ্জ বাজারের প্রতিটি দোকানে লিফলেট বিতরণ শেষে আশুগঞ্জ বন্দরের ধানের গালাতে শ্রমিকদের সাথে শ্রমিকদের সুখ দু:খের কথা শুনেন। এসময় শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। রাজিব আহসানের সাথে শ্রমিকরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রাজিব আহসান তাদের কথা মনযোগসহকারে শুনেন।
এ সময় রাজিব আহসান স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা একেবারে তৃণমুলে পৌছে দেওয়ার জন্য তিনি শনিবার আশুগঞ্জে আসেন। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল এবং জনগণকে সাথে নিয়ে আগামীতে দেশ পরিচালনা করতে চাই।তার জন্য বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীদেরকে জনগণের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করার জন্য আহবান জানান। জনগণ যেভাবে চাই সেভাবে মানুষের মিশে দলকে গ্রহনযোগ্য করে তোলার কাজ করতে হবে। জনগণের সাথে সুসম্পর্ক তৈরীতে ব্যর্থ হলে দল নতুন করে নতুন নেতৃত্ব খোঁজ করবে।দ্রব্যমুল্যে নিয়ন্ত্রনে সরকারকে আগের সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।এজন্য সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি এবং সহযোগিতা করব। তবে সরকারকে হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী আমলা এবং সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে। তার জন্য আরো কঠোর হতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন আগামীর বাংলাদেশে কোন ভোদাভেদ থাকবে না। বেশী টাকা, কম টাকা এসবের কোন বৈশম্য থাকবে না। মোট কথা বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করলে সাম্যতার নতুন বাংলাদেশ গঠন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসময় তার আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের টিম লিডার শফিক আহসান সোহান, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের আহবায়ক মো. আলমগীর খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিলীপ, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন এবং আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল বিপ্লব প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় ঔষধসহ বাবুল আহমেদ (২৬) ও রুবেল আহমেদ (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ঔষধ বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান ও জব্দ করা হয়। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাবুল আহমেদ সিলেট জেলার জৈয়ন্তাপুর উপজেলার রামপ্রসাদ গ্রামের আবদুন নূরের ছেলে ও রুবেল মিয়া একই গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার একটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। পরে তাদের কাভার্ডভ্যান তল্লাশী চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ ৯৬ হাজার পিস Diclo-m ট্যাবলেট, ৩৫৫ পিস Practin সিরাপ ও ১ লাখ ৮০ হাজার পিস Dekxon ট্যাবলেট ও ৩ লাখ ৬৮ হাজার পিস Cyproheptadin ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে ঔষধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে ঔষধ আনা হয়েছে বিধায় তাদেরকে গ্রেফতার ও ঔষধ ও বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহ ও অন্যত্র পাঠানোর ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন চালকল মালিকরা।
চাল সরবরাহকারীদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামে গুদামে চাল দিয়ে তাঁদের মুনাফা হয় না। চাল নিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করায় গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া।
জানা গেছে, এক মাসে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৪০০ টন। তবে এক মাসে সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টন। দৈনিক ৪৮০ টন চাল সংগ্রহের কথা থাকলেও সংগ্রহের পরিমাণ ৩০০ টনের কম।
তবে খাদ্য বিভাগের দাবি, আশুগঞ্জের বরাদ্দের একটি অংশ (২০ হাজার টনের বেশি) জেলা সদর ও সরাইল উপজেলায় সংগৃহীত হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ৫২ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার দুই শতাধিক চালকল থেকে চাল সরবরাহ করার কথা। গত ১৫ মে থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু করে খাদ্য বিভাগ। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে।
খাদ্যগুদাম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাল প্রদানে ৫০টি ট্রাক (প্রতি ট্রাকে ১৮-২০ টন) সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব ট্রাকের কোনোটি ২ দিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে। গুদাম থেকে সংগৃহীত চাল অন্যত্র (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন খাদ্যগুদাম) প্রেরণের জন্য রয়েছে মাত্র ৬টি ট্রাক।
চালকল মালিকরা জানান, আশুগঞ্জ গুদামের ধারণক্ষমতা আড়াই হাজার টন। প্রতিদিন সংগৃহীত চালের বিপরীতে অন্যত্র প্রেরণ অর্ধেক।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও খান অটো রাইস মিলের মালিক মো. জিয়াউল করিম সাজু খান বলেন, চাল সংগ্রহের ধীরগতির কারণে চাল নিয়ে এসে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় তাঁদের।
সরকারি গুদামে চাল দিয়ে চালকল মালিকদের লাভ নেই বলে দাবি করেন মো. জিয়াউল করিম। তিনি বলেন, সরকারি দামের চেয়ে খোলাবাজারে চালের দাম বেশি। তার পরও মালিকরা সরকারি সংগ্রহ অভিযান সফল করতে প্রস্তুত। তিনি দ্রুত গুদাম সমস্যার সমাধান ও চাল অন্যত্র পাঠানোর গতি আরও বাড়ানোর দাবি জানান।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওবাইদুল্লাহ, উন্দা মিয়া রাইস মিলের মালিক মো. সাদেক মিয়া ও রজনীগন্ধা অটো রাইস মিলের মালিক হাসান ইমরানও একই মত দিয়েছেন।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মো. বাবুল আহমেদ ও উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. হেলাল সিকদার বলেন, চলতি বছর চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অনেক। ডেসপাস দ্রুত করা না হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নাও হতে পারে।
গুদামের ধারণক্ষমতা কম বলে স্বীকার করেছেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, সামনে ঈদ থাকায় চাহিদামতো ট্রাক মিলছে না। ফলে অন্যত্র পাঠানোয় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশুগঞ্জের বরাদ্দের ২০ হাজার টনের বেশি চাল জেলা সদর ও সরাইল উপজেলা খাদ্যগুদামে নেওয়া হচ্ছে। চাল সংগ্রহ গতিশীল করা হবে। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।