অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে পৃথক অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে তিনি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের EK 0587 নম্বর ফ্লাইটযোগে যাত্রা করবেন। সেখানে তিনি ফ্লোরিডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ২৮তম এশিয়ান ট্রেড, ফুড ফেয়ার অ্যান্ড কালচারাল শো-২০২৪ এর উদ্বোধন করবেন।
ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে ৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে তিনি প্যারিসের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন। প্যারিসে তিনি বিল্ডিং অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে অংশ নেবেন।
যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরার পথে মরক্কো ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তার যাত্রা বিরতি করার কথা রয়েছে। আগামী ১০ মার্চ তিনি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK 0712 নম্বর ফ্লাইটযোগে ঢাকা ফিরবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রয়াত দুই এমপির পুত্রসহ ২৫জন জামানত হারিয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সাবেক দুই এমপি পুত্র হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯১০। এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
এই আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ৪২৭ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম ওরফে গরীবুল্লাহ সেলিম-(লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ২০৪ ভোট, ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন (হাতুড়ি প্রতীক) ১৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই আসনে নির্বাচন করেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭জন প্রার্থী। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০।
এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এই আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট, এই আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ৪ হাজার ৩১৮ ভোট, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক) ৯৯৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক), ৩৭৯ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ( ফুলের মালা প্রতীক) ৫২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩-(সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৯হাজার ৭৮৮। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শাহ জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক) ৯৩১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক) সোহেল মোল্লা ৬৮৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), মুজিবুর রহমান হামিদী ৪৭৩ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), ৩৭৬ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক), সৈয়দ মাহমুদুল হক ৩০৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান ওরফে ওমর (মশাল প্রতীক), ২২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ২লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
এই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান (আম প্রতীক) ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট ও ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা প্রতীক) ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১লাখ ৭৬হাজার ৮৭৩ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান ১লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন ( লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান (মিনার প্রতীক) মাত্র ২ হাজার ৭৫৪ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা প্রতীক) মাত্র ৭৭৬ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার (একতারা) ৭৬২ ভোট, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ (ঈগল প্রতীক) ৪৭১ ভোট ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ প্রতীক) মাত্র ৪৩৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ০৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৯৭০জন। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক) ২ হাজার ৮১৭ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া (একতারা প্রতীক) ১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
উখিয়া বালুখলী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট কাজ করছে। এছাড়া আরো একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
আজ ৫ মার্চ রবিবার বিকেলে উখিয়া বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বাজার এলাকায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। এখনও আগুনের সূত্র বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ জানান, হঠাৎ করে তার শিবিরে আগুন জ্বলে উঠে। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে আমার লোকজনকে সড়িয়ে নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।
ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. সাইফুল জানান, তাদের ক্যাম্পের একটি ঘরে প্রথম আগুনের ঘটনা ঘটে। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে আগুনের তীব্রতা অনেক।
ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করি। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার ঘর পুড়ে যায়। একই বছরের ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬টি কেবিন পুড়ে যায়। এরপর একই বছরের ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামে একটি শরণার্থী শিবিরে এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যাওয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষের ঘর।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের আমেরিকান হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে থাকা মা ফার্মেসি, মা মেডিকেয়ার এবং স্বাগতা ফার্মেসি থেকে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রায় ৬ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তিন ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১৯ জুন সোমবার অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (আমেরিকান হাসপাতাল) যৌথ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁরা পিলে চমকানোর মতো তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। আমেরিকান হাসপাতালের পাশে থাকা তিনটি ফার্মেসি থেকে তাঁরা বিপুল পরিমাণ বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করেছেন। এ অপরাধে প্রত্যেক ফার্মেসিকে ২০ হাজার করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টদের সতর্কও করা হয়েছে। তবে ফার্মেসি মালিকদের অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসকরাই অনিবন্ধিত ওষুধ রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লেখেন।
প্রতীক দত্ত জানান, অভিযানের সময় তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এসব বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধগুলো লেখেন। এসব ওষুধ কেবল এখানকার কয়েকটি ফার্মেসি ছাড়া বাইরে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘রোগীদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে সরকারি হাসপাতালের স্লিপে বিভিন্ন অনিবন্ধিত ওষুধ লেখার প্রমাণও পেয়েছি আমরা। বিক্রয় নিষিদ্ধ এসব ওষুধ বিক্রি বাবদ চিকিৎসকরা মোটা অঙ্কের কমিশন পান বলে ফার্মেসি মালিকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের সব রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পাশের মেডিলিভ নামক ল্যাবে করানোর জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীন বলেন, অভিযানে জব্দ করা ওষুধগুলো ঔষধ প্রশাসনের নিবন্ধিত নয়। এসব ওষুধ কোনো ফার্মেসিতে বিক্রি করা যাবে না ও ডাক্তাররাও সেগুলো ব্যবস্থাপত্রে লিখতে পারবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের এমন আচরণ চরম উদ্বেগের।
হাসপাতালের একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট বলেন, হাসপাতালকে ঘিরে দালালরা উঠেপড়ে লেগেছে। কয়েকজনকে এরই মধ্যে বেরও করে দেওয়া হয়েছে। এরা আগে রোগীদের হয়রানি করে বেনামি কিছু ক্রিম বিক্রি করে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিত। এরাই অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফের) বাঁধায় দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কসবায় প্রকল্প কাজ পরিদর্শনের পর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফ নির্মান কাজে আপত্তি তুলে। এক পর্যায়ে বিএসএফ’র বাঁধায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ের কুটনৈতিক তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র সাথে কার্যকর যোগাযোগ শুরু করে।
অবশেষে আড়াই বছর পর বিএসএফের বাঁধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী অংশের নির্মান কাজ পুনরায় হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির অসম্পন্ন হওয়া কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। বিশেষ করে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হয়।
একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসু আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি স¤প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি জানান, গত ১ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম নাজমুল হাসান আখাউড়া আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে পকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক সুুবক্ত গীন জানান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্পের সব ধরনের বাঁধা দূর হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি শেষ হবে। এতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সময়ও কমে আসবে।
এ সময় বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আশিক হাসান উল্লাহ, তমা গ্রুপের ট্রেগ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিনসহ বিজিবি ও রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর আশপাশের এলাকার জন্য সদকাতুল ফিতর নির্ধারণকল্পে আজ ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও মুফতিয়ানে কেরামদের এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ সভায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, মুফতি শামছুল হক মুফতি মুহসিনুল করিম সহ শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ১৪৪৪ হিজরি ২০২৩ ইং সনের ফিতরা জনপ্রতি (১০০ টাকা) নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান।