চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীর থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার করেছে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর রাতে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বাহাদুরপুর গ্রামের মেঘনা নদীতে তীরে ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৫ ডাকাততে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কাউসার, পিতা-আবুল খায়ের, কমলপুর ভৈরব, রতন, পিতা-হেলু মিয়া, যাত্রাপুর, আশুগঞ্জ, রাবিজ, পিতা-দুলাল, কমলপুর, ভৈরব, সুমন, পিতা-নুরু মিয়া, গাছতলাঘাট, ভৈরব, দেলোয়ার হোসেন, মুন্সিপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার ঢাকা প্রমুখ। পুলিশ জানায় দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো তিন/চার জন ডাকাত পালিয়ে যায়। পাচজনকে গ্রেফতার করে আশুগঞ্জ থানায় এনে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে তারা মেঘনা নদীতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের জিঞ্জাসাবাদের ভিত্তিতে ৪০০পিস ইয়াবা এবং বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে পুলিশবাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট পালন করছে শ্রমিকরা।
এদিকে, আজ ১১ জুন রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করায় আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা অর্ধশতাধিক কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাসও। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে এই বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য।
এ বিষয়ে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার বলেন, ১০ জুন শনিবার কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতৃবৃন্দ আশুগঞ্জ ও ভৈরব নৌবন্দরে আসেন। এ সময় মালিকপক্ষের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই তীরে নোঙরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ মোট ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মারধর করেন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে আজ রোববার থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা কাজে যোগ দেব না। আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
তবে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কো-কনভেনার নাজমুল হোসাইন হামদু বলেন, নৌযানের পণ্য পরিবহনের নিয়ম না মেনে, এমনকি চট্টগ্রাম থেকে সিরিয়াল না নিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। এ কারণে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ ও ভৈরব নদীবন্দরে জাহাজে তদারকি করা হচ্ছিল। এ সময় জাহাজে থাকা শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র না দেখানো নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের কাউকে মারধর করা হয়নি। তাদেরকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এই বন্দরে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিদেশী মদসহ ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাত ৮টা থেকে আজ ১১ আগস্ট রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫৫৬ বোতল ফেনসিডিল, ২০ কেজি গাঁজা ও ৪ বোতল বিদেশী মদ।
আটককৃতরা হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোঃ হাসনাত, হবিগঞ্জের চুনারঘাটের জীবন, হবিগঞ্জের মাধবপুরের মাহমুদুর রহমান, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের জাবেদ হোসেন। পরে আটককৃতদের মাদক দ্রব্যসহ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার আটক করা হয়। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক জয়ন্তি বিশ্বাস জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে মহাসড়কের উপর চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাসী করে এসব মাদক উদ্ধার করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানান।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন জামাতা ও শ্বশুর। তবে এ আসনে ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের নাম বেশি চাউর হচ্ছে।
এ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। তবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও তাঁর শ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি নজর কাড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
এখানকার প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা, তাঁর শ্বশুর জাপার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির (রওশন) সহসভাপতি জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক), সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলমকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা বলছেন, রেজাউল ইসলাম ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। একই আসনে তাঁর শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান। রেজাউল তখন মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। সে সময় ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন রেজাউল। তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন। গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনেও জিয়াউল হক অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে বর্তমানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে ৩৯ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ও জনপ্রিয়তার কারণে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মঈন উদ্দিন।
রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে, যার একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। আশা করি, আওয়ামী লীগের সভাপতির আদেশ এখানে পালিত হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে হতাশ করবেন না।’
জাপার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘কে নির্বাচন করল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি এ জনপদে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচন করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যেতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর কোনো চাপ নেই।’
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইরে মাহফিলের মাইক বাঁধতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সালমান আল অন্তর (২৩) নামে এক যুবক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
১৮ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর (পঃ) ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের পুথাই গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ রবিবার মৈশাইর বাজারের মাদ্রাসার উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী মাহফিল হওয়ার কথা রয়েছে। মাহফিল উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জালাল মিয়ার বাড়ির ছাদে উঠে মাইক বাঁধতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে লাইন টানতে গিয়ে অন্তর অসাবধানতাবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে গুরুত্ব আহত হয়। পরে অন্তরকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওইখানের রাতে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।