চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (১২) হত্যার ঘটনায় তার সৎ মাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সৎ মা শারমিন আক্তার।
এর আগে মেয়েটির ভাই আরমিন ভুইয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সুমাইয়া উপজেলার মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার মেয়ে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী সুফিয়া বেগম তিন সন্তান বাড়িতে রেখে প্রবাসে যান। পরে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন সুমাইয়ার বাবা। বিয়ের পর থেকে সৎ মায়ের অত্যাচারে দুই ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যান শামীম মিয়া। ছোট হওয়ায় সুমাইয়াকে সৎ মায়ের কাছে রেখে যান। সৎ মায়ের অত্যাচারে কয়েকবার আরমিন ভূঁইয়া তার বোনকে ঢাকায় নিয়ে যেতে চান।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য আগের দিন বিকেলে সৎ মায়ের কাছে ফুল কেনার জন্য টাকা চায় সুমাইয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে নির্যাতন করেন শারমিন। ওই দিন রাতের কোনো এক সময় শারমিন আক্তার এবং অজ্ঞাত আসামিরা গলাটিপে সুমাইয়াকে হত্যা করে।
এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য সুমাইয়াকে ডাকতে যায় সহপাঠীরা। এ সময় তারা সুমাইয়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। খবর পেয়ে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠায় পুলিশ।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হলে মেয়েটির গলায় আঙুলের ছাপ দেখতে পান চিকিৎসক। পরে মেয়েটির সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সুমাইয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইভটিজিংয়ের দায়ে মো. মাঈনুদ্দিন (২৮) নামে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের রাবেয়া মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
মাঈনউদ্দিন বায়েক ইউনিয়নের ধোপাখলা গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাঈনুদ্দিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঈনুদ্দিন উল্লিখিত বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা প্রশাসনকে অবহিত করে। স্থানীয় লোকজন মাইনুদ্দিনকে আটক করে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার টি-আলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাচ্চু মিয়া কসবা উপজেলার কালতাসার গ্রামের নাজির আলীর ছেলে ও জাহাঙ্গীর আলম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কুড়িপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে উপজেলা সদরের টি-আলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পর্শে শাকিব মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বড়ঠুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাকিব ওই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাকিব পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
শাকিবের পিতা আবু সামা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। শাকিব কিছু বিদ্যুতের কাজ জানতো। বিদ্যুতের সমস্যা দুর করতে মেইন সুইচের সংযোগ স্থলে কাজ করার সময় সে বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়ঠুটা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সভানেত্রীর বরাত দিয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার আমলে না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সায়েদুর রহমান স্বপন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের আপন ফুফাতো ভাই। গতকাল রবিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। স্বপন ছাড়াও কসবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও দুইজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তারা হলেন, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস এড. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূইয়া। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২১ এপ্রিল রবিবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সায়েদুর রহমান স্বপন কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রচার-প্রচারণা করে আসছেন। তিনি কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। তিনি মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব।
এড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সায়েদুর রহমান স্বপন আইনমন্ত্রীর আপন ফুফাতো ভাই। তিনি মন্ত্রীর ভাই পরিচয় দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের আত্মীয়দের প্রার্থী না হতে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তা মানছেন না।
এ বিষয়ে সায়েদুর রহমান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, আমি মন্ত্রীর ফুফাতো ভাই। মন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় নই। আমি দলীয় প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করছি না। আমি ৩০ বছর ধরে কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যপারে দলীয় কোন লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তাই নির্বাচন করতে আমার কোন বাঁধা নেই।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস বলেন, চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।